জেনে নিন- জুনিয়র অডিটর বা অডিটর এর কাজ ও যোগ্যতা সম্পর্কে A টু Z
জুনিয়র অডিটর বা অডিটর এর কাজ কি– এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আবার এমন অনেকেই রয়েছি যারা অল্পস্বল্প জানি, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে এ বিষয়ে ধারণা নেই। তাই আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা জুনিয়র অডিটর এর কাজ এবং একজন জুনিয়র অডিটর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন ইত্যাদি সকল বিষয়ে আলোচনা করব। যেগুলো আপনাদের চাকরিজীবনে অনেকটাই কাজে আসবে বলে আশা করা যায়। তাহলে আসুন আমাদের মূল আলোচনা পর্ব শুরু করি।
আরও পড়ুনঃ একসাথে একাধিক চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার টিপস
জুনিয়র অডিটর বা অডিটর এর কাজ
কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যক্রম যেন সরকারি বিধি-নিষেধ অনুযায়ী হয়ে থাকে এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়ম-শৃঙ্খলা অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয় সেটা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব থেকে থাকে জুনিয়র অডিটরের হাতে। যে বা যারা এই কাজগুলো করেন তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্রেনিং নিয়ে থাকে ফিমা (FIMA) অর্থাৎ ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট একাডেমিতে।
একজন জুনিয়র অডিটর হিসেবে আপনি যদি নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান সেক্ষেত্রে জুনিয়ার অডিটর কাকে বলে, জুনিয়র অডিটরের কাজ কি, জুনিয়র অডিটরের কাজের ক্ষেত্র সমূহ এবং বেতন স্কেল সহ গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়াবলী সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরী। তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ধারাবাহিকভাবে আমাদের পরবর্তী স্টেপগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
জুনিয়র অডিটর কাকে বলে?
কোন প্রতিষ্ঠানের অফিসে টুকিটাকি হিসাব সংক্রান্ত, নোটিশ সংক্রান্ত এবং তথ্য সংক্রান্ত কাজগুলো যাদের দ্বারা সম্পাদন করা হয় তারাই হচ্ছে জুনিয়র অডিটর।
সুতরাং একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যক্রম যেন সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে সরকারি নিয়ম-নীতি ও প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট বিধি অনুযায়ী সম্পাদন করা হয় তার সুনিশ্চিত কারীকেই বলা হয় জুনিয়র অডিটর।
একজন জুনিয়র অডিটর অ্যাকাউন্টেন্সি, ফিন্যান্স এবং ব্যাংকিং বিভাগ থেকে সরকারি, বেসরকারি প্রাইভেট ও বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত হওয়ার সুযোগ পান। প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত অডিটর এবং জুনিয়র অডিটর এই দুই পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।
আর এই জুনিয়র অডিটর কে মূলত ১৬ তম গ্রেডের জব হিসেবে ধরা হয়। তবে হ্যাঁ, বেতনের দিক থেকে এটাকে গ্রেডের পাল্লায় পরিমাপ করাটা একেবারেই যুক্তিযুক্ত হবে না। কেননা অন্যান্য এই একই গ্রেডের চাকরির থেকে জুনিয়র অডিটর পদের চাকরিটি অনেক অনেক গুণ ভালো এবং স্যালারির পরিমাণ বেশি।
পাশাপাশি রয়েছে আরও নানা সুযোগ সুবিধা। যা আমরা ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করব। এবার আসুন জেনে নেই জুনিয়র অডিটর এর কাজ সমূহ কি কি!
আরও পড়ুনঃ চাকরি সন্ধান কর্মপরিকল্পনার ৬টি ধাপ (ক্যারিয়ার ব্যবস্থাপনা)
জুনিয়র অডিটর এর কাজ কি কি?
দেখুন ইতোমধ্যে আমরা বলেছি, একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যক্রম যেন সঠিক নিয়মে সম্পন্ন করা হয় সেই কাজগুলো করে থাকে জুনিয়র অডিটরেরা। তবে সেই সকল প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র অডিটরও থেকে থাকে। কিন্তু তারা কাজগুলো করার জন্য শুধু সঠিক ইনস্ট্রাকশন প্রদান করে থাকে অপরদিকে সম্পূর্ণ কাজ সম্পাদন করে জুনিয়র অডিটর।
আর জুনিয়র অডিটর হলো, একটা অডিটিং পেশা। যা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাজের অন্তর্ভুক্ত। জুনিয়র অডিটর হিসেবে একজন লোক যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করে সেখানে তিনি প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় হিসাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন অংশ প্রদর্শন এবং পণ্যের গুণগত মান, প্রদত্ত সেবা বা পণ্যের সঠিকতা যাচাই, সম্ভাব্য ঝামেলা বা সমস্যার কারণ চিহ্নিত করাই হচ্ছে জুনিয়র অডিটর এর দায়িত্ব।
একজন অডিটর কি ধরনের কাজ করে, একজন জুনিয়র অডিটরের কাজের ধরন কেমন এ বিষয়ে না জানলে অবশ্যই একজন জুনিয়র অডিটর হিসেবে কাজের প্রতি আগ্রহ জন্মাবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই মনোযোগ সহকারে নিজের পয়েন্টগুলো একবার পড়ুন।
এক নজরে একজন অডিটর
সাধারণ পদবী: অডিটর (সিনিয়র অডিটর, জুনিয়র অডিটর), নিরীক্ষক
বিভাগ: অ্যাকাউন্টেন্সি, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং
প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম, কোম্পানি
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল-টাইম
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: ২১ – ৩৫ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স: ২০ – ৩৫ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳ ২০,০০০/-
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কাজ, প্রতিষ্ঠান ও অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে বেতনের পরিসীমাটা কম বেশি হতে পারে।
মূল স্কিল: গণিত, হিসাববিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ফিন্যান্স, ম্যানেজমেন্ট
বিশেষ স্কিল: নির্ভুল হিসাবের দক্ষতা, সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা
একজন অডিটরের কাজ সমূহ:
✓ সরকারি নিয়ম নীতি মেনে চলার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বিধি ও নিয়ম শৃঙ্খলা অনুযায়ী আর্থিক কার্যাবলী পরিচালনার দিকে নজর দারি করা এবং তা নিশ্চিত করা।
✓ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ প্রদান করা
✓ প্রতিষ্ঠানের অডিট নিয়ে যদি কোন তদন্ত করা হয়ে থাকে তাহলে সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা।
✓ কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসেবে ভুল থাকলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানানো
✓ প্রতিষ্ঠানের যেকোনো হিসেবে ভুল থাকলে সেটা ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা
✓ সে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত হিসাব নিজের কাছে রাখা এবং সব সময় তার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করা
✓ বিল সহ অন্যান্য যাবতীয় খরচের বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করা এবং সঠিকটা তুলে রাখা।
সুতরাং এর উপর ভিত্তি করে বলা যাচ্ছে, কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির বিভিন্ন সরকারি বিল নিরীক্ষা, অর্থ পরিষদ, বেতন সেংশন, হিসাব তৈরি, হিসাবের ডকুমেন্ট সংগ্রহ, বাজেট প্রস্তুত, বিভিন্ন হিসাব প্রদর্শন নিয়ন্ত্রণ ও পর্যালোচনা করুন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ ব্যবস্থাপনা ভান্ডার হিসাব তৈরীর যাবতীয় যে কাজগুলো করার প্রয়োজন পড়ে সেগুলোই হচ্ছে একজন জুনিয়র অডিটরের কাজ।
আরও দেখুনঃ এইচএসসি পাশে সরকারি চাকরি কোনগুলো
জুনিয়র অডিটর এর যোগ্যতা
একজন জুনিয়র অডিটর হওয়ার জন্য আপনাকে এইচএসসি পাশ করতে হবে। কেননা এইচএসসি বা সম্মানের পাশ হলে জুনিয়র অডিটর পদের জন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন আপনি।
মূলত সার্কুলার যদি নিয়মিত পড়েন এবং আপডেট কি তো সার্কুলারের খবর রাখেন তাহলে জুনিয়র অডিটর পদের এমন অনেক চাকরি আপনি পেয়ে যাবেন। যেটাতে আবেদন করতে পারবেন এইচএসসি বা সমমানেন এর পাশ করার পরবর্তীতেই।
এটি মূলত তৃতীয় শ্রেণীর একটি চাকরির থেকে কিছুটা উন্নত যার বেতন অন্যান্য চাকরির তুলনায় অনেকটাই ভালো এবং সম্মানজনক পেশা হিসেবে গ্রহণযোগ্য।
জুনিয়র অডিটর এর বেতন স্কেল
জুনিয়র অডিটরের বেতন স্কেল মোটামুটি ১২-৩০ হাজার টাকা। কেননা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী অডিটর পদের মাসিক বেতন ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা। অপরদিকে আপনি যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে চাকরি করেন সে ক্ষেত্রে আপনার বেতনের পরিসীমা টা দাঁড়াবে ২০,০০০-২৫,০০০ টাকা। তবে হ্যাঁ দক্ষতা যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আপনার বেতনের পরিসীমাটা হয়তো আরেকটু বৃদ্ধি পেতে পারে। জুনিয়র অডিটরের সম্ভাব্য বেতন বারো থেকে ত্রিশ হাজার টাকা।
জুনিয়র অডিটর এর কাজের ক্ষেত্র সমূহ কি কি?
জুনিয়র অডিটরের কাজ কি জুনিয়র অডিটরের বেতন কত এ সম্পর্কে জেনেছি। তবে এগুলোর থেকেও জরুরি একটা প্রশ্ন হচ্ছে জুনিয়র অডিটরের কাজের ক্ষেত্র সমূহ কি কি? মানে আপনি যে একজন অডিটর হিসেবে কাজ করবেন এজন্য আপনি কোথায় যাবেন কারা আপনাকে কাজ দেবে?
আর তাই আলোচনার এ পর্যায়ে একজন অডিটর মূলত কোথায় কোথায় কাজ করতে পারেন সেই জায়গাগুলো উল্লেখ করব। যথা:-
- সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান
- বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান
- বিভিন্ন বিনিয়োগ সংস্থা
- বিভিন্ন কনসালটেন্সি ফার্ম
- এবং ব্যাংক ও বীমা সহ আর্থিক লেনদেনকারি সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানসমূহ।
অতএব আপনি যদি চিন্তা করে থাকেন একজন অডিটর হিসেবে কাজ করবেন তাহলে এখন থেকে আপনার আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ, বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বিনিয়োগ সংস্থা বা সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সার্কুলার দিকে নজর রাখতে হবে, যে কখন তারা একজন অডিটর বা জুনিয়র অডিটর হিসেবে নিয়োগের জন্য যোগ্য ও দক্ষ এবং উপযুক্ত জনবল খুজে বেড়াচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (টিপস ও ট্রিকস)
জুনিয়র অডিটর এর দক্ষতা হিসেবে কি কি প্রয়োজন?
শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেই চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়। আর বর্তমানে যারা আমরা বেকার জীবন অতিবাহিত করছি এবং একটা চাকরির জন্য প্রাণপণ ছুটে চলেছি তারাই শুধুমাত্র এটা জানি। কেননা সত্যি এটাই শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি যে কোন কাজে দক্ষতা ও আগ্রহ থাকতে হবে।
যেকোনো প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য আপনাকে সিলেক্ট করবে তখন যখন আপনাকে দিয়ে তারা তাদের সে কাজটি ভালোভাবে সম্পাদন করতে পারবে। আর তাই একজন জুনিয়র অডিটর হিসেবে যদি আপনি চাকরি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার মাঝে দক্ষতা ও জ্ঞান হিসেবে যেগুলো থাকতে হবে সেগুলো হলো:-
- আত্মবিশ্বাস
- বিশ্লেষণী ক্ষমতা
- ধৈর্য ও পরিশ্রম করার মন মানসিকতা
- খুঁটিনাটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার দক্ষতা
- বিচক্ষণতা ও কৌশলী মনোভাবের অধিকারী
- মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা
- কাজের জন্য গাণিতিক হিসাব সঠিক ও দ্রুত করার দক্ষতা
- পরিসংখ্যান ভিত্তিক জ্ঞান
- পাশাপাশি মাইক্রোসফট একজন সহ হিসাব সংরক্ষণ অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ব্যবহারে পারদর্শিতা।
এক কথায় জুনিয়র অডিটরের যে সকল কাজ রয়েছে সেগুলো সম্পাদন করার জন্য যা যা প্রয়োজন সেই সকল কিছু আপনার মাঝে থাকতে হবে। আর এগুলো যদি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি আপনাকে তাদের নতুন এমপ্লয়ি হিসেবে নিযুক্ত করবে।
আরও দেখুনঃ ৫ ধরনের দরখাস্ত লেখার নিয়ম।
জুনিয়র অডিটর চাকরির গ্রেড এবং পদোন্নতি
আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে ইতোমধ্যে এ বিষয়টা অবশ্যই নজরে আসবে আমরা বলেছি জুনিয়র অডিটর এর চাকরিটি মূলত তৃতীয় শ্রেণীর চাকরি। সুতরাং আপনি এটাকে ১১ তম গ্রেডের মধ্যে ফেলতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, এই ১১ তম গ্রেট কে আপনি দ্রুত ১০ তম গ্রেডে নিতে সক্ষম হবেন।
সুতরাং আপনার পদোন্নতি করা সম্ভব হবে। তবে হ্যাঁ ১১ তম গ্রেডের মধ্যে যে চাকরিগুলো রয়েছে তার মধ্যে জুনিয়র অডিটর, সিনিয়র অডিটর বা অডিটর এই পদের চাকরিটি খুবই ডিমান্ডেবল।
জুনিয়র অডিটর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
এই মুহূর্তে জুনিয়র অডিটর এর জন্য কোন প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি। তবে জুনিয়র অডিটর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2023 এর আপডেট খবর জানতে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে পারেন। কেননা জুনিয়র অডিটরের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি যদি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাহলে আমরা সেই সার্কুলার আমাদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করে থাকি। তাই সরকারি বেসরকারি যেকোনো চাকরির খবর সবার আগে পেতে আমাদের ফলো করুন সেই সাথে আরও দেখুন:- সরকারি চাকরির নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সবার আগে পাওয়ার সকল উপায়.
জুনিয়র অডিটর নিয়োগ প্রস্তুতির গাইডলাইন
জুনিয়র অডিটর নিয়োগ ভাইবা ও লিখিত পরীক্ষার জন্য আপনি যদি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে চান তাহলে বিগত সালের প্রশ্ন পত্র অনুসরণ করুন। কেননা এই পদে চাকরির ক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান এবং গণিতের ব্যাসিক বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
অতএব চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি যেটা জানেন সেটা মনে রাখার চেষ্টা করুন এবং পরীক্ষা কে ইজি ভাবে গ্রহণ করুন সেই সাথে বেসিক সম্পর্কে আরো বেশি জানার চেষ্টা করুন তাহলেই আপনি জুনিয়র অডিটর পদের নিয়োগ পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
জুনিয়র অডিটর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যম
অডিটর বা জুনিয়র অডিটর পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য অনলাইন এবং অফলাইন দুইটি মাধ্যমিক উল্লেখ করা থাকে। তাই সম্প্রতি প্রকাশিত জুনিয়র অডিটর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ এ যদি অনলাইন মাধ্যম উল্লেখ থাকে তাহলে আপনাকে উল্লেখিত লিংকে ভিজিট করে তাদের সকল ইনস্ট্রাকশন মেনে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আর যদি ডাকযোগে অথবা সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আবেদনের কথা উল্লেখ থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে অফলাইনের মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
জুনিয়র অডিটর পদে আবেদনের ফি
জুনিয়র অডিটর পদের জন্য আবেদন ফি মোটামুটি ধরা হয়ে থাকে ১১২ টাকা। তবে প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী আবেদন ফি কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
জুনিয়র অডিটর এর ভাইভা পরীক্ষা
জুনিয়র অডিটর এর ভাইভা পরীক্ষায় সাধারণত কি কি প্রশ্ন করা হয়? ভাইভা পরীক্ষা ঠিক কতটা কঠিন? এ সম্পর্কেও অনেকেই জানতে আগ্রহী। তাই যে বা যারা ভাইভা পরীক্ষার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী তারা এখনই পড়ে ফেলুন: ইন্টারভিউ টিপস | কিভাবে ইন্টারভিউ দিতে হয়? এবং ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়ার কারণ ও ব্যাখ্যা এই আর্টিকেল দুটি।
জুনিয়র অডিটর চাকরি থেকে ঘুষ খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা?
আজকাল প্রত্যেকটা চাকরি থেকে ঘুষ খাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। আর এখন ঘুষ খাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে হিউজ পরিমানে। তাই যারা হালাল এবং হারাম ইনকাম নিয়ে অধিক বেশি চিন্তা করে থাকেন তাদের স্বাভাবিকভাবেই এ প্রশ্নটি মাথায় আসে।
আসলে জুনিয়র অডিটর হিসেবে চাকরি করলেই যে শুধু আপনি ঘুষ খেতে পারবেন এমন নয়। এখন বাংলাদেশের যত শত রকমের চাকরি রয়েছে প্রত্যেকটা চাকরির মাধ্যমে আপনি ঘুষ খেতে পারবেন। তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার চয়েজের উপর যে আপনি হালাল ইনকাম করবেন নাকি হারাম ইনকাম করে দুনিয়ার বুকে শান্তিতে জীবন কাটাবেন।
তাই আপনাদের প্রশ্নের উত্তর হবে হ্যাঁ জুনিয়র অডিটর পদে চাকরি করেও ঘুষ খাওয়ার সম্ভাবনা এবং সুযোগ দুটোই রয়েছে।
পরিশেষে: তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, জুনিয়র অডিটর এর কাজ ও যোগ্যতা সম্পর্কিত আমাদের আলোচনা পর্ব আজ এখানেই শেষ করছি। পরবর্তী আর্টিকেল সবার আগে পেতে আমাদেরকে ফলো করুন সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।