বেঞ্চ সহকারী কি? বেঞ্চ সহকারী সম্পর্কে A টু Z

বেঞ্চ সহকারী কি? বেঞ্চ সহকারী সম্পর্কে A টু Z.

চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে হরহামেশাই বেঞ্চ সহকারী পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ থাকে। কেননা মাঝেমধ্যেই অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত এর কার্যালয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এমনকি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন নোটিশ প্রকাশিত হয়, যেটাতে উল্লেখ থাকে বেঞ্জ সহকারি পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। 

কিন্তু কথা হচ্ছে– বেঞ্চ সহকারী কি? বেঞ্চ সহকারীর কাজ কি এবং তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কি কি! মূলত যে সকল পাঠক বন্ধুরা, ব্রেঞ্চ সহকারি সম্পর্কে A টু Z জানতে ইচ্ছুক তারা আজকের আর্টিকেলটি স্কিপ না করে পড়া কন্টিনিউ করুন। কেননা আজ আমরা– বেঞ্চ সহকারী কি এবং বেঞ্চ সহকারী সম্পর্কে A টু Z আলোচনা করতে চলেছি। তাহলে আসুন শুরু করা যাক।

আরও পড়ুনঃ একসাথে একাধিক চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার টিপস

বেঞ্চ সহকারী মানে কি?

বেঞ্চ সহকারি মানে হলো – পেশকার। বলতে পারেন যারা ন্যায়পালিকা সম্পাদন করে বিচার প্রদান করেন কিংবা আদালতের কাজে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করেন তারাই হচ্ছে বেঞ্জ সহকারি। তাই এর এক কথায় উত্তর হতে পারে বেঞ্জ সহকারী মানে– বিচারকের কাজে সহায়তাক কর্মী। 

বেঞ্চ সহকারী কারা?

ইতোমধ্যে আমরা জানিয়েছি- বেঞ্চ সহকারী মানে বিচারকের কাজে সহায়তা করা। আর এখানে বেঞ্চ বলার কারণ- জাজ বা ম্যাজিস্ট্রেট এর একটা স্পেশাল ফর্ম। আপনি যদি একটু ঘাঁটাঘাটি করেন তাহলে জানতে পারবেন ম্যাজিস্ট্রেট এর একটি স্পেশাল ফর্ম হচ্ছে “বেঞ্চ”। 

আবার যদি একটু লক্ষ্য করেন তাহলে সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্ট এর কোন রায় এর সময় দেখবেন নিউজে লেখা থাকে “ফুল বেঞ্চ” বিব্রত বোধ করেছেন বা এমন কিছু। যেহেতু এক সময় বিচার বিভাগ আর নির্বাহী বিভাগ একসাথেই ছিল মানে ডিসি অফিসের ম্যাজিস্ট্রেটরাও জাজ কোর্ট এর ম্যাজিস্ট্রেট এর মতই ছিলেন তাই দুইজন দের সহকারী কে বলা হয়”বেঞ্চ সহকারী”। 

আর তাদেরই এই নামের প্রচলিত আরেক নাম হলো পেশকার, যিনি কেস বা মামলার নথি বিচারক এর সামনে পেশ করেন। পাশাপাশি এক্সিকিউটিভ কোর্টে মামলার তারিখ দেখা থেকে শুরু করে নথির কিছু অংশ লেখা, নথি ঠিক ঠাক রাখা, মোবাইল কোর্টে জরিমানার রশিদ লেখা, অভিযোগপত্র / জব্দ তালিকা লেখা ইত্যাদি সব কাজই সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন পরে বেঞ্জ সহকারীকে। 

অতএব যারা আদালতের বিভিন্ন কাজে বিশেষ সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে তারাই হলেন বেঞ্জ সহকারী। যাদের অন্যতম দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- আদালতে ন্যায়পালিকার অধীনে কাজ করে এবং মূল ন্যায়পালিকা সহযোগিতা প্রদান করা। 

বেঞ্চ সহকারীর কাজ কি?

একজন ব্রেঞ্চ সহকারীর কাজ আদালতের বিভিন্ন কার্য সম্পাদনের জন্য প্রায় সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা। আর তাদের কাজগুলো প্রতিষ্ঠানের ধরন এবং প্রতিষ্ঠানের আইনি প্রয়োজনীয়তার উপর ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন-

১. ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাল কর্ট কেসের তথ্য সংগ্রহণ: বেঞ্চ সহকারীদের মধ্যে বেশিরভাগ সময় কোর্টের তথ্য সংগ্রহণ এবং তা সাজানোর দায়িত্ব থেকে থাকে। অতএব তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা।

২. প্রতিরক্ষা দপ্তরের কাজ: বেঞ্চ সহকারীদের প্রতিষ্ঠানের প্রতিরক্ষা দপ্তরে কাজ করতে হয় এবং সেই প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট নীতি এবং আইনের প্রতি অনুগত থেকে চলতে হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন কোর্ট কেসের তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা দপ্তরের কাজ সঠিক প্রক্রিয়া সম্পাদন করাও একজন বেঞ্জ সহকারীর কাজ। 

৩.প্রতিষ্ঠানের আইনিক মামলায় সহায়ক: বেঞ্চ সহকারীরা প্রতিষ্ঠানের আইনিক মামলা সম্পর্কে প্রাধিকৃত দলকে সাহায্য সহযোগিতা করার কাজ করে এবং আইনকে অনুসরণ করতে সাহায্য করে থাকে। 

৪. দল সম্পাদন এবং নীতি বিকাশ: বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, প্রতিরক্ষা দপ্তরের কাজ সম্পাদন এবং প্রতিষ্ঠানের আইনিক মামলায় সাহায্য সহযোগিতা করার পাশাপাশি বেঞ্চ সহকারীরা প্রতিষ্ঠানের দল সম্পাদন এবং নীতি বিকাশে সাহায্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। যেটা অধিক কার্যকর এবং আইনমুক্ত করতে সাহায্য করে। আর এটাও তাদের কাজের অন্তর্ভুক্ত বলা যায় দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনের একটি অংশ। 

৫. ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাল কর্ট কেসের ড্রাফ্ট তৈরি: আপনারা যারা কোর্ট কেস সম্পর্কে অল্প বিস্তার জেনে থাকেন তারা এটা জানবেন নিশ্চয়ই ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল কোট কেসের বিভিন্ন ড্রাফট ফাইল তৈরি করতে হয়। যেগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর একজন বেঞ্চ সহকারী মূলত কোর্ট কেসের ড্রাফ্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে সেটা আইনিক দলের জন্য প্রস্তুত করণের কাজ সম্পাদন করে থাকে। 

৬. সাক্ষরক দলের সাথে কাজ: বেঞ্চ সহকারীদের কাজের মধ্যে অক্সফোর্ডে অথবা সাক্ষরক দলের সাথে কাজ করতে হতে পারে, যাতে আইনিক দলের সাথে সুস্থ সাংঘাতিক সাম্প্রতিক দক্ষতা দেখানো সম্ভব হয়। আর তাই স্বাক্ষরক দলের সাথে কাজ করাও একজন বেঞ্জ সহকারীর কাজ।  

এক কথায়– আইনিক কাজে সকল প্রকার সাহায্যের সহযোগিতা করা এবং ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট কেস এর সাথে কর্মরত থাকা একজন বেঞ্জ সহকারীর কাজ। তো আলোচনার এ পর্যন্ত আমরা আদালতে বেঞ্জ সহকারী কাজ কি এ সম্পর্কে জানলাম। এবার আসুন ধারাবাহিকভাবে বেঞ্জ সহকারী সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

বেঞ্জ সহকারি দায়িত্ব ও কর্তব্য কি কি?

মূলত নির্ধারিত কাজ সঠিকভাবে সঠিক মাধ্যমে সঠিক সময়ের মধ্যে সম্পাদন করাই হচ্ছে একজন বেঞ্জ সহকারীর অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। তবে হ্যাঁ, নিম্নলিখিত উপাদানের মাধ্যমে বেঞ্জ সহকারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে। যথা —

১. আইনী উদ্দেশ্যে পর্যালোচনা: বেঞ্চ সহকারিদের প্রধান দায়িত্ব হলো আইনী মামলা এবং আইনের প্রয়োগের সাথে সুরক্ষা ও ন্যায়বিচারে নিশ্চিতকরণ। তারা আইনের প্রয়োগের সময় নির্দিষ্ট আইনি প্রধানকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করবে এবং ন্যায় বিচারের জন্য কাজ করে যাবে।

২. সরকারের আইন ও নীতি প্রয়োগ: বেঞ্চ সহকারিদের নীতি স্তরে সরকারের নীতি এবং আইন কে আপেক্ষিকভাবে পর্যালোচনা করা এবং তা প্রয়োগ করতে সাহায্য করা অন্যতম দায়িত্ব। পাশাপাশি এদের কর্তব্য হলো নীতি তৈরি, বৈধানিক পর্যালোচনা, এবং নীতি সম্পর্কিত সংশোধন ও পরিবর্তনে সাহায্য করা ও অনবরত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাওয়া।

৩. সম্প্রদায় সংস্কার: বেঞ্চ সহকারিদের জনগণের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে হয় এবং সরকারের নীতি ও আইনের প্রয়োগের সময় জনগণের সমর্থন ও মন্তব্যের জন্য একত্রিত হতে সাহায্য সহযোগিতা করার দায়িত্ব পালন করতে হয়। অতএব এর মানে দাঁড়ালো একজন বেঞ্জ সহকারীর অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে সম্প্রদায়ের সংস্কার করা। 

এবার আসুন জেনে নেই– বেঞ্চ সহকারি কততম গ্রেড, বেঞ্জ সহকারীর পদোন্নতি, বেঞ্জ সহকারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে আরো কিছু। 

আরও পড়ুনঃসাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান ২০২৩ সম্পর্কিত সকল প্রশ্ন ও সমাধান

বেঞ্চ সহকারী কত তম গ্রেড

বেঞ্জ সহকারীর ১৬ তম গ্রেড এর চাকরি। মূলত বেতন গ্রেড এর ওপর নির্ভর করে বলা যায় এই পদে নিয়োজিত ব্যক্তিরা সর্বনিম্ন ৯,৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ২২,৪৯০ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক হিসেবে মাসে পেয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ, এটি ১৬ তম গ্রেড এর চাকরি হলেও আগের চাকরির শ্রেণীর দিক বিবেচনা করে এটি তৃতীয় শ্রেণীর চাকরির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। 

আপনি যদি আদালতে বেঞ্জ সরকারের কাজ করেন। মানে — মামলার নথি, বিচারক এর সামনে পেশ করেন, নথির কিছু অংশ প্রয়োজনের সময় সঠিকভাবে লিখেন, নথি সংগ্রহ করেন এবং এক্সিকিউটিভ কোর্টে মামলার তারিখ দেখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অভিযোগ পত্র লেখা এবং সেগুলোর সঠিকভাবে সংরক্ষণের কাজে নিযুক্ত থাকেন তাহলে আপনি বেঞ্জ সহকারী হিসেবে মোটামুটি ৯ হাজার এর অধিক পারিশ্রমিক পেয়ে থাকবেন। 

বেঞ্চ সহকারীদের বেতন কত টাকা

ইতোমধ্যে আমরা বেঞ্জ সহকারীর একটি সাধারণ বেতন ভাতা উল্লেখ করেছি। তবে হ্যাঁ প্রতিষ্ঠানের উপর ভিত্তি করে বেতন ভাতার অনেকটাই তারতম্য থেকে থাকে। পাশাপাশি বেতন-ভাতার সঙ্গে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা ও অন্যান্য ভাতা প্রদান করা হয়।

এ কারণে আমরা আলোচনার এ পর্যায়ে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের বেতন ভাতা, জেলা শহরে একজন বেঞ্জ সহকারীর বেতন ভাতা পাশাপাশি অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন ও সাভার পৌর এলাকাতে বেঞ্জ সহকারীর বেতন ভাতা সম্পর্কে একটি ধারণা প্রদান করব। 

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে বেঞ্চ সহকারীর বেতন

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত বেঞ্চ সহকারী পদে নিয়োজিত কর্মীরা মূল বেতন হিসেবে পেয়ে থাকেন ৯,৩০০ টাকা এবং পাশাপাশি অন্যান্য ভাতা হিসেবে আরো পেয়ে থাকেন– 

  • চিকিৎসা ভাতা-১৫০০ টাকা
  • টিফিন ভাতা-২০০ টাকা
  • বাড়ি ভাড়া-৬০,৪৫(মূল বেতনের ৬৫%)
  • যাতায়াত ভাতা-৩০০ টাকা
  • শিক্ষা সহায়তা ভাতা-৫০০/১০০০ টাকা।

তাহলে মাস শেষে অন্যান্য ভাতা এবং মূল বেতন যোগ করে কত এমাউন্ট হতে পারে সেটা নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন। এবার আসুন জেলা শহরে নিয়োজিত একজন বেঞ্জ সহকারীর বেতন কত হতে পারে সেটা জেনে নেওয়া যাক।

জেলা শহরে বেঞ্চ সহকারীর বেতন

যে সকল বেঞ্জ সহকারীরা জেলা শহরে কর্মী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন তারা মূল বেতন হিসেবেও সেই একই অ্যামাউন্ট পেয়ে থাকেন অর্থাৎ মাসে ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা পর্যন্ত মাইনে পান। পাশাপাশি অন্যান্য ভাতা হিসেবে আরো পেয়ে থাকেন–

  • চিকিৎসা ভাতা-১৫০০ টাকা
  • টিফিন ভাতা-২০০ টাকা
  • বাড়ি ভাড়া-৪,৬৫০ (মূল বেতনের ৫০%)
  • যাতায়াত ভাতা-৩০০ টাকা
  • শিক্ষা সহায়তা ভাতা-৫০০/১০০০ টাকা।

 অন্যদিকে অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন ও সাভার পৌর এলাকাতে নিয়োজিত বেঞ্জ সহকারীরা মাসে পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়ে থাকেন মূল বেতন – ৯৩০০ টাকা এবং অন্যান্য ভাতা হিসেবে–

  • চিকিৎসা ভাতা-১৫০০ টাকা
  • টিফিন ভাতা-২০০ টাকা
  • বাড়ি ভাড়া-৫,১১৫ (মূল বেতনের ৫৫%)
  • যাতায়াত ভাতা-৩০০ টাকা
  • শিক্ষা সহায়তা ভাতা-৫০০/১০০০ টাকা।

এখন প্রশ্ন হলো – বেঞ্জ সহকারি পদে চাকরির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য যোগ্যতা হিসেবে কি কি প্রয়োজন! 

বেঞ্চ সহকারী পদে আবেদনের যোগ্যতা

আপনি যদি বেঞ্জ সহকারি পদে আবেদন করতে চান তাহলে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃত বোর্ড হতে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় বা সম্মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। পাশাপাশি কখনো কখনো বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ থাকে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে। তবে অন্যান্য দক্ষতা হিসেবে আরো লাগবে এম.এস. অফিস, ইউনিকোড ও বেসিক ডাটাবেজ পরিচালনায় প্রশিক্ষিত। 

বেঞ্চ সহকারী নিয়োগ

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বেঞ্জ সহকারী পদে মাঝেমধ্যেই বিশাল সংখ্যক জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। শূন্য পদ পূরণের উদ্দেশ্যে মূলত বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় চাকরির খবর প্রকাশিত ওয়েবসাইটে উক্ত নোটিশ গুলো প্রকাশ করা হয়।  

তো আপনি যদি বেঞ্জ সহকারীর পদটিতে চাকরি করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে সম্প্রতি প্রকাশিত চাকরির সার্কুলার গুলো অনুসরণ করুন। সেই সাথে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সকল নিয়মকানুন মেনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। 

বেঞ্জ সহকারী পদে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

আপনি যদি এই পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার যাবতীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে। কেননা বিজ্ঞপ্তির নোটিসে প্রার্থীর নাম থেকে শুরু করে পিতা-মাতা এবং স্থানীয় ঠিকানা ইত্যাদি সবকিছুই উল্লেখ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে। সেই সাথে সেটাইতো ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও চারিত্রিক সনদপত্র প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই সঠিক প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য বারবার প্রকাশিত বেঞ্জ সহকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

আর হ্যাঁ, আপনি যদি জানতে চান অনলাইন এবং অফলাইনে চাকরির আবেদন করার নিয়মাবলী সম্পর্কে, তাহলে দেরি না করে এই সম্পর্কিত আরো একটি আর্টিকেল পড়ে ফেলুন এখনই।  এবার আসুন বেঞ্জ সহকারি সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আর্টিকেলটির আলোচনা পর্ব শেষ করা যাক। 

বেঞ্চ সহকারী সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর 

১. বেঞ্চ সহকারী কি কাজ করে?

উত্তর: বেঞ্চ সহকারী ন্যায়মূলক মামলা সৃষ্টি, সহায়ক তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, যাচাই ও সাক্ষরিক কাজে সাহায্য সহযোগিতার কাজ করে। 

২. বেঞ্চ সহকারীর কাজের জন্য কি যোগ্যতা প্রয়োজন?

উত্তর: একজন বেঞ্চ সহকারী হতে হলে মিনিমাম এইচএসসি অথবা স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন হতে হবে এবং সাধারণভাবে ন্যায় পেশায় কাজ করার জন্য প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে। এক কথায়, বেঞ্চ সহকারীর সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য যে সকল দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন সেই সকল যোগ্যতারই প্রয়োজন। 

৩. বেঞ্চ সহকারীর প্রধান দায়িত্ব কী?

উত্তর: বেঞ্চ সহকারীর প্রধান দায়িত্ব হলো বেঞ্চের ন্যায়মূলক কার্যক্রমে সাহায্য করা, ন্যায়মূলক নথিপত্র প্রস্তুত করা, ব্যবস্থাপনা করা, সাক্ষরিক কাজ করা, যাচাই করা ও প্রয়োজনে ন্যায়মূলক পরামর্শ প্রদান করা। 

৪. বেঞ্চ সহকারীর বেতন কত?

উত্তর: বেঞ্চ সহকারীর বেতন৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা। 

৫. বেঞ্চ সহকারীর কর্মসূচি কী ধরণের হতে পারে?

উত্তর: একজন বেঞ্চ সহকারীর কর্মসূচি বেঞ্চের প্রয়োজনগুলির আওতার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। যেমন- ন্যায়মূলক নথিপত্র তৈরি করা, ন্যায়মূলক দলিল সংগ্রহ করা, ন্যায় সাক্ষরিক কাজ করা, প্রশাসনিক কাজে সাহায্য ও অন্যান্য কাজে সহায়ক কাজ করা। 

৬. বেঞ্চ সহকারীর কাজে কি প্রকারের সুযোগ-সুবিধা থাকে?

উত্তর: বেঞ্জ সহকারীর কাজে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যেগুলোর প্রত্যেকটি আমরা আমাদের আর্টিকেলে তুলে ধরেছি। তাই আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমরা বলব পুনরায় আর্টিকেলটি পড়ুন। 

৭. বিআরটিএ(BRTA) বেঞ্চ সহকারী কাজ কি?

উত্তরঃ বি আর টি এ দিন সহকারীর কাজ হল সরকারি নীতি নির্ধারণমূলক কার্যাবলী সম্পন্ন করা। 

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকের আলোচনার ইতি টানছি এখানেই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *