বিদেশে চাকরি পাওয়ার উপায় | বিনা খরচে বিদেশে চাকরি পাওয়ার টেকনিক
বাংলাদেশে অবস্থানরত বিশাল সংখ্যক মানুষ মূলত এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। কেননা অনেকেরই স্বপ্ন থাকে বিদেশে পাড়ি জমিয়ে আলাদা কোন চাকরি করার। আর তাছাড়াও বর্তমানে সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়া সম্ভব। তাই স্বাভাবিকভাবে– অনেকেই আগ্রহী, বিদেশে চাকরি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে সমস্ত বৃত্তান্ত জানতে।
বিদেশে চাকরি পেতে হলে কি কি করতে হয়, বিদেশে গিয়ে চাকরি পেতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন পরে, বিদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হয়, বিনা খরচের বিদেশে চাকরি পাওয়ার কোন উপায় রয়েছে কিনা এবং সেখানে চাকরি করলে তার বেতন হিসেবে কেমন পারিশ্রমিক পাওয়া যায় ইত্যাদি ইত্যাদি।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের প্রবন্ধে। আজ আমরা আপনাদেরকে জানাবো— বিদেশে চাকরি পাওয়ার উপায় | বিনা খরচে বিদেশে চাকরি পাওয়ার টেকনিক। তাহলে আসুন শুরু করি।
আরো পড়ুনঃ বোয়েসেল (BOESL) কি? বোয়েসেল ও বোয়েসেল নিয়োগ সম্পর্কে A টু Z.
বিদেশে চাকরি পাওয়ার উপায়
নিজ দেশ এবং বাইরের দেশ–এর মধ্যে বেশ কিছু না কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। আর তাই আপনি যদি বিদেশে চাকরি করার পরিকল্পনা করেন তাহলে সেই দেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার মতো সক্ষমতা আপনার থাকতে হবে। মূলত বিদেশে চাকরি পাওয়ার উপায় সমূহ আমরা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরব।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন একটি চাকরি পাওয়ার জন্য স্টেপ বাই স্টেপ কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, ঠিক একইভাবে বাইরের দেশেও যদি আপনি চাকরি করতে চান তাহলেও আপনাকে তাদের নিয়ম অনুযায়ী স্টেপ বাই স্টেপ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।
আরো পড়ুনঃ এইচএসসি পাশে সরকারি চাকরি কোনগুলো
তবে হ্যাঁ আপনার যদি অনলাইন ভিত্তিক কাজের অভিজ্ঞতা থেকে থাকে। আপনি যদি রিমোট জব করতে চান তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান করেও বিদেশে চাকরি করতে পারেন। তবে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বাইরের দেশে গিয়ে সে দেশে চাকরি করার জন্য কি কি বিষয় চানা জরুরি, কোন কোন দিক খেয়াল রাখা জরুরী এবং কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন পাশাপাশি কেমন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ইত্যাদি সমস্ত বৃত্তান্ত সম্পর্কে সংক্ষেপে জানবো।
বিদেশে চাকরি পাওয়ার কৌশল ও আইডিয়া
বিদেশে চাকরি পাওয়ার কৌশল ও আইডিয়া হচ্ছে—
✓ নিজেকে বাইরের দেশের জন্য উপযুক্ত করে তোলা
✓ যে কোম্পানি বা যে পদের জন্য আপনি যোগ্য তাতে আবেদন করা
✓ প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করা ও তার সত্যতা যাচাই করা
✓ বাইরের দেশের আবহাওয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখা
✓ ভিন্ন ইন্টারভিউ সিস্টেমের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া
✓ ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট পারমিশন গ্রহণ করা
✓ ভিন্ন টাইমজনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া
✓ অর্থনীতি, সংস্কৃতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা
✓ বিদেশিদের ভাষা বোঝার সক্ষমতা তৈরি করা
✓ বাইরের দেশের আপডেটকৃত তথ্যাবলী জানা
✓ চাকরির আবেদনের জন্য নিয়মিত বিদেশী চাকরির সার্কুলার প্রকাশিত ওয়েবসাইট অনুসরণ করা
✓ নিজের মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি তৈরি করা এবং তা প্রতিষ্ঠানের সামনে ইন্টারভিউ ও পরীক্ষার সাহায্যে তুলে ধরার চেষ্টা করা
✓ পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া এবং বিদেশীদের নিয়ম কানুন ও চাকরির রুলস সম্পর্কে পূর্ব ধারণা অর্জন করা।
বিদেশে চাকরি অর্জনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তাসমূহ
আপনি বিদেশে চাকরি করতে চাইলে অবশ্যই তাদের চাকরির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে হবে। আর মজার ব্যাপার হলো, আপনি যদি একজন বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন এবং কয়েকটি কাজ করে রাখেন তাহলে বিদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য আপনাকে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না, বরং তারাই আপনাকে খুঁজে বের করবে। আর সেগুলো হচ্ছে:
- পাসপোর্ট তৈরি করে রাখা
- জীবন বৃত্তান্ত ও বায়োডাটা
বিদেশি চাকরি আপনার জন্য যে কোন মুহূর্তে প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে। আর তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে চাকরি পাওয়ার পূর্বেই পাসপোর্ট তৈরি করে রাখা। আর সেই সাথে বিদেশে চাকরি হয়ে গেলে আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
আর এটা নিশ্চয়ই জানেন যে প্রয়োজনীয় সেই ডকুমেন্টগুলো কখনোই সরাসরি গ্রহণযোগ্য হবে না। এজন্য ভিসা সিভি এবং জীবন বৃত্তান্তের সকল কাগজপত্র ওয়ার্ক পারমিট করে রাখতে হবে। সুতরাং আপনাকে সরকারিভাবে নিবন্ধন করতে হবে সে সকল কাগজপত্র।
বাইরের দেশে চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়া
বাইরের দেশে চাকরি পেতে চাইলে প্রথমত আপনাকে সে দেশের চাকরির বাজার সম্পর্কে রিসার্চ করতে হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে যা যা করতে হবে সেগুলো হলো:–
প্রথমত: সে দেশের কোম্পানি বা সেক্টরে চাকরির জন্য যে সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে তা সংগ্রহ করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে হবে (এর জন্য মনোযোগ দিয়ে পড়ুন উক্ত চাকরির সার্কুলার)
তৃতীয়ত: নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
তৃতীয়ত: চাকরির ক্ষেত্রে যদি দক্ষতা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে তাহলে আপনাকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।
মনে রাখবেন, বিদেশে চাকরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে নিজ দেশের নয় সে দেশের নিয়ম-কানুন মেইনটেইন করার অভ্যাস করতে হবে। আপনি বাইরের দেশে চাকরি পেতে পারবেন অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমে।
আমাদের দেশে যেমন অনলাইন মাধ্যমে চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকলে ঘরে বসে আবেদন করতে পারেন এবং ডাক যোগাযোগ অথবা সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আবেদনের কথা উল্লেখ থাকলে এর জন্য উল্লেখিত ঠিকানায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেতে হয়। ঠিক একইভাবে বিদেশে চাকরির ক্ষেত্রেও তাই।
আর এজন্যই বিদেশে চাকরি করতে চাইলে সেই চাকরিপ্রার্থীর পূর্বেই পাসপোর্ট তৈরি করে রাখাটা অধিক বেশি জরুরী সেই সাথে জীবন বৃত্তান্ত ও বায়োডাটা সত্যায়িত করাটাও অত্যন্ত প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ কাস্টমস সিপাই এর কাজ কি?
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ও চাকরি পাওয়ার টেকনিক
বিদেশের চাকরি অর্জনের স্বপ্ন দেখছেন, মনে মনে ইচ্ছা পুষে রেখেছেন সরকারিভাবে বিদেশে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে বেশ ভালো মানের চাকরি করে নিজের ক্যারিয়ার সেট আপ করবেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার উপায় কি?
আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আপনাদেরকে জানাবো সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে। তবে হ্যাঁ তার আগে একটা কথা না বললেই নয়। আপনি কিন্তু নিজ দেশ থেকে বাইরের দেশে অর্থাৎ বিদেশে সরকারিভাবে তিনটি উপায়ে যেতে পারেন। মূলত উপায় বললে ভুল বলা হবে, বলতে পারেন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য তিন তিনটি খাত রয়েছে। আর সেগুলো হলো
- শ্রমিক
- চাকরি প্রার্থী এবং
- শিক্ষার্থী
আপনি যদি শ্রমিক হিসেবে বাইরের দেশে কর্মে নিযুক্ত হতে চান তাহলে ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে আপনাকে এই বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। আর চাকরিপ্রার্থী হিসেবে নিযুক্ত হইতে চাইলে চাকরির কথা উল্লেখ থাকতে হবে এবং পাশাপাশি আপনি শিক্ষার্থী হিসেবেও বিদেশে পড়াশোনার জন্য যেতে পারবেন সরকারি উপায়ে।
কেননা প্রত্যেক বছর বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ সরকার সরকারিভাবে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন বাইরের দেশে। একইভাবে চাকরিপ্রার্থী হিসেবেও বেশ সংখ্যক মানুষ সার্কুলারে আবেদন করার মাধ্যমে বাইরের দেশে যেতে পারেন।
পাশাপাশি স্কলারশিপ পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। আর এই তিনটি খাতের মাধ্যমে সরকারি ভাবে যাওয়া যায়। তবে এ পর্যায়ে শুধুমাত্র আমরা চাকরিপ্রার্থী হিসেবে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন গুলো প্রদান করব।
তাহলে আসুন জেনে নেই– সরকারিভাবে আপনি বিদেশে যেতে চাইলে কি কি ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে।
১. ভিসা
২. চাকরির চুক্তিপত্র
৩. একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
৪. পাসপোর্ট
৫. দূতাবাসের ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার
৬. মেডিকেল রিপোর্ট
৭. টিকিট
৮. জনশক্তি বুড়োর ছাড়পত্র
৯. টাকা প্রদানের রশিদ
১০. টাকা প্রদানের চুক্তিপত্র
আর হ্যাঁ, মনে রাখবেন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করার সময় নিবন্ধন কার্ডের বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। তবে দেশ অনুযায়ী এই সময় সীমা টা কখনো ভিন্ন হতে পারে।
অপরদিকে বিদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য টেকনিক হিসেবে যেগুলো মাথায় রাখতে পারেন তা হলো—
- নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির সার্কুলার খুঁজে বের করা
- কোন ধরনের চাকরি খুঁজছেন সে সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা
- আপনি যে চাকরি করতে চাচ্ছেন সেই চাকরি বাড়ির কোন দেশে অধিক বেশি গ্রহণযোগ্য অর্থাৎ বাইরের কোন দেশটিতে ডিমান্ডেবল তা রিসার্চ করা
- সব সময় নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া তাই পছন্দের কর্মক্ষেত্র বাছাই করা
- জবের জন্য সঠিক ইনস্ট্রাকশন মেনে চলে এপ্লাই করা
- ব্যক্তিগতভাবে বিদেশে যাওয়ার সামর্থ্য না থাকলে সরকারিভাবে যাবার সুযোগ তৈরি করে নেওয়া
- আত্মবিশ্বাসের সাথে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলা এবং নিজেকে অনেক বেশি অ্যাডভান্স করা।
মূল কথা, বিদেশে চাকরি পাওয়ার কৌশল হিসেবে আপনাকে একজন অত্যন্ত প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে হবে এবং সেই দেশের চাকরির মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে এবং মার্কেটপ্লেস এর চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আর হ্যাঁ বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রশিক্ষণ হিসেবে সে দেশের সাথে খাপ খায় নেওয়ার জন্য সকল প্রকার প্রচেষ্টা করতে হবে আপনাকে। কেননা আপনি বাইরের দেশকে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবেন যদি পূর্ব থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। নইলে আলাদা পরিবেশ আলাদা জীবন ব্যবস্থা আপনার জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
বিদেশে চাকরির ওয়েবসাইট
বিদেশি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়মিত চাকরির সার্কুলার জানার জন্য অবশ্যই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। আর তাই আপনি যদি নিয়মিত বিদেশি চাকরির খবর জানতে চান তাহলে ফলো করতে পারেন আমাদের নিচে উল্লেখিত ওয়েবসাইট গুলো। যথা:
1. LinkedIn
2 . monster.com
5. Bdjobs.com
6. Indeed.com
7. Jooble.org
অনলাইনে বিদেশে চাকরির আবেদন
অনলাইনের মাধ্যমে বিদেশে চাকরির আবেদন সম্পন্ন করতে হলে আপনাকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সার্কুলার গুলো অনুসরণ করতে হবে। অথবা নিত্য নতুন জব সার্কুলারের নোটিস পেতে আপনি উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইটগুলোর সাহায্য নিতে পারেন। কেননা এই ওয়েবসাইটগুলো নিয়মিত বিদেশী চাকরির নিউ সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে।
তবে বিদেশে চাকরি পেতে আগ্রহীরা চাইলেই বাংলাদেশের অবস্থান করেও (www.bmet.gov.bd) ভিজিট করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমত আপনাকে ভিজিট করতে হবে উক্ত ওয়েবসাইটে পরবর্তীতে নিবন্ধনে উল্লেখিত প্রার্থীর নাম পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর সহ প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইন ফর্মে পূরণ করার মাধ্যমে আপনি আবেদন করতে পারবেন চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে।
আবেদন প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ হলে তখন আপনার কাছে একটি বার্তা পাঠানো হবে সেখানে উল্লেখ থাকবে নিবন্ধন ফি প্রদানের। যেটা আপনি টেলিটক সংযোগের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে পারবেন। আর এভাবে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করবেন উক্ত ওয়েবসাইটের উপরে ডান দিকে ডাউনলোড রেজিস্ট্রেশন কার্ড অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে।
তাহলে আর দেরি কেন? যারা যারা সরকারি চাকরি করার পেছনে না ছুটে, বিদেশে চাকরির জন্য পরিকল্পনা করছেন তারা এখনই বিদেশি চাকরির সার্কুলার অনুসরণ করুন এবং সঠিক ইনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
বিদেশে চাকরির বেতন
বিদেশে চাকরি করার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়। তবে হ্যাঁ ইনকামের পরিসীমাটা মূলত ওই ব্যক্তির দক্ষতা যোগ্যতা এবং কাজের উপর নির্ভর করে। যেমন ধরুন আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল অপারেশনস এ ম্যানেজার পদে চাকরি করেন তাহলে মোটামুটি মাসিক বেতন হিসেবে পেতে পারেন ১,৯২,৪৫৮ টাকা। তবে হ্যাঁ মাথা রাখবেন দেশভেদে টাকার পরিসীমাটা কম অথবা বেশি হতে পারে।
অল্প খরচে বিদেশে চাকরি/বিনা খরচে বিদেশে চাকরি
অল্প খরচে বিদেশে চাকরি পাওয়া সম্ভব কিনা? অনেকেই এমনটাও ভেবে থাকেন। তাদেরকে বলব আপনি যদি বাড়তি খরচ না করতে চান তাহলে আপনার জন্য শুধুমাত্র একটি মাধ্যম খোলা রয়েছে, সেটা হচ্ছে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া এবং সেখানে চাকরিরত হওয়া। এটা আমাদের সকলেরই জানা বিদেশে মূলত মানুষ সরকারি ভিসা করার মাধ্যমে যায় এবং দালালের মাধ্যমেও পাড়ি জমায় বিদেশ।
তাই দালানের মাধ্যমে বিদেশ যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে খরচ করতে হবে মোটা এমাউন্টের টাকা। কিন্তু আপনি যদি শুধুমাত্র আপনার যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে বিদেশে চাকরি পেতে চান এবং নিজ দেশ থেকে বাইরের দেশে যেতে চান তাহলে দালালের শরণাপন্ন না হয়ে সরকারি রুলস অনুযায়ী বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
পরিশেষে: বিদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে বাইরের দেশের সেই পদের সেই দেশের জন্য নিজেকে উপযুক্ত করতে হবে পরবর্তীতে বৈধ উপায়ে সরকারিভাবে নিবন্ধন ও পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পাড়ি জমাতে হবে দেশের বাইরে। আশা করা যায় আপনি ভবিষ্যতে বিদেশ জীবনে ভালো থাকবেন এবং বিদেশের চাকরি করে লাখপতি বা কোটিপতি হবেন।
2 Comments