ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি, জেনে নিন- চাকরির ভাইভা সাজেশনসহ বিস্তারিত!
ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির জন্য অনেকেই আগ্রহী। কেননা বর্তমানে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ঔষধ কোম্পানি রয়েছে যেগুলো সবার শীর্ষে অবস্থান করছে এবং দক্ষ ও যোগ্য জনবল নিয়োগের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যেটা বর্তমান যুবসমাজের অত্যন্ত আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে বলা যায়।
আরও দেখুনঃ জেনে নিন- সঠিকভাবে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম
আর তাইতো ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করার ইচ্ছেটা অনেকেরই ধীরে ধীরে আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা ভালো বেতন, নানা সুযোগ সুবিধা এবং সেবা করার সুযোগ, সবমিলিয়ে ওষুধ কোম্পানির চাকরি একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা পাঠকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে– ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি সংক্রান্ত নানা বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করব।
সেই সাথে ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির জন্য চাকরির ভাইবার সাজেশন সাজেস্ট করব। যেটা ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি পেতে অনেকটাই কাজে আসবে। তো বন্ধুরা তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি সম্পর্কে এ টু জেড।
ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি কি?
ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি বলতে বোঝায় সেলস রিপ্রেজেন্টটিভ কে। তবে হ্যাঁ, এক্ষেত্রে এক এক কোম্পানি সেই চাকরি প্রার্থী বা চাকরিজীবীকে আলাদা আলাদা নামে বা পদে অভিহিত করে থাকে। যেমন:
- মার্কেটিং অফিসার
- মেডিসিন প্রমোশন অফিসার
- সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ
- প্রফেশনাল সার্ভিস অফিসার
- প্রফেশনাল সার্ভিস প্রোভাইডার সহ প্রমুখ।
তবে এই প্রত্যেকেরই কাজ হচ্ছে কোম্পানির ঔষধকে প্রমোট করা অর্থাৎ মার্কেটিং কলাকৌশল অবলম্বন করে সেটা বিক্রি করা।
সুতরাং ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি বলতে মূলত বুঝায়, নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মীদের কোম্পানির বিধি-নিষেধ মেনে এবং মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের সেই কোম্পানির ঔষধ প্রমোট ও বিক্রি করা অর্থাৎ ঔষধ কোম্পানি গুলোতে আপনি বেতনের বিনিময়ে যে কাজ করার শর্তে নিযুক্ত হোন তাই হলো ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি। ।
আরও পড়ুনঃ এইচএসসি পাশে সরকারি চাকরি কোনগুলো
ঔষধ কোম্পানির চাকরি কেমন?
বর্তমানে ঔষধ কোম্পানির চাকরি অত্যন্ত সম্মানজনক এবং সম্ভাবনাময় পেশা। কেননা বাংলাদেশে এখন ঔষধ শিল্প একটি ক্রমবর্ধমান সেক্টর হিসেবে অবস্থান করছে। আর আপনি যদি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুসন্ধান করেন তাহলে জানতে পারবেন, আমাদের এই দেশে বর্তমানে প্রায় ২৫৮ টির মত ঔষধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান সক্রিয় রয়েছে।
আর স্বাভাবিকভাবে এটা আমরা সবাই জানি যে, জন্ম থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত যে কোন মুহূর্তে যে কোন সময় মানুষকে ঔষধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়। সেই সাথে মানুষের পাশাপাশি প্রকৃতির সকল জীব অর্থাৎ গাছ-গাছালি পশু পাখিও কখনো কখনো ঔষধের উপর নির্ভর হয়ে পড়ে। অতএব প্রতিনিয়ত ওষুধের প্রয়োজন আমাদের প্রাথমিক জীবনে থেকেই যাচ্ছে। আর তাই এর ব্যবহার কমার বদলে দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক।
হ্যাঁ একটা সময় ছিল। যখন মানুষ খুব সাধারণ রোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে মারা যেত। কেননা সে সময় তেমন উন্নততর প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটানো সম্ভব হতো না। এমনকি তেমন উন্নতমানের ওষুধও ছিল না। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের দ্রুত অগ্রগতির ফলে এখন সকল প্রকার জটিল রোগের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আর এই বিষয়টা যদি আপনি চিন্তা করেন তাহলে স্বাভাবিকভাবে এটা বুঝতে পারবেন, ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করাটা আসলে কতটা লাভজনক এবং এটার ভবিষ্যৎ ঠিক কতটা উজ্জ্বল।
তবে হ্যাঁ, এই উত্তরটি যদি আপনারা আমাদের কাছ থেকে আশা করেন তাহলে বলবো, ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করা অত্যন্ত সম্মানজনক এবং লাভজনক। অতএব ঔষধ কোম্পানির চাকরি, চাকুরীবপ্রার্থীদের জন্য একটি আদর্শ চাকরি হিসেবে গ্রহণযোগ্য। তবে একটা কথা না বললেই নয়, সেটা হলো:-
“আপনি যদি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে সেই সাথে উদ্যমী ও কর্মঠ হতে হবে।”
আপনার মাঝে যদি দায়িত্ব নিয়ে একাগ্রতার সাথে কাজ করার মন-মানসিকতা থেকে থাকে এবং আপনি যদি বাস্তব জীবনের চড়াই উত্তরায় সম্পর্কে সচেতন থাকেন তাহলে এই চাকরিটি আপনার জন্য অধিক বেশি ভালো হবে এবং আপনি নিজের একটা ভালো ক্যারিয়ার আশা করতে পারবেন।
আরও দেখুনঃ ইন্টারভিউ টিপস | কিভাবে ইন্টারভিউ দিতে হয়?
ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা কি?
ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা হিসেবে আপনার লাগবে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ধৈর্যধারণের ক্ষমতা। কেননা বেশিরভাগ ঔষধ কোম্পানিগুলো যে সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে তাতে উল্লেখ করা থাকে, শূন্যপদ সমূহে আবেদনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই ডিগ্রী, অনার্স অথবা মাস্টার্স পাস হতে হবে।
তবে হ্যাঁ, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি এসএসসি এইচএসসিতে বায়োলজিক্যাল সাইন্স থেকে থাকে তাহলে আপনি এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। তবে যারা মাদ্রাসা বোর্ডের স্টুডেন্ট অর্থাৎ এসএসসি ও এইচএসসি তে মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেছেন তাদের জন্য ঔষধ কোম্পানির চাকরি গ্রহণযোগ্য নয়।
কেননা মাদ্রাসা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এই চাকরি দেওয়া হয় না বললেই চলে। মূলত জেনারেল বোর্ড এর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের যোগদানের জন্য বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে ঔষধ কোম্পানিগুলো। সুতরাং আপনি যদি ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করতে চান তাহলে আপনাকে বিজ্ঞান বিভাগের স্টুডেন্ট হতে হবে।
আবার মানবিক বিভাগ থেকেও আপনি আবেদনের সুযোগ পাবেন। তাই আগ্রহীরা দেরি না করে এখনই ওষুধ কোম্পানির ওয়েবসাইটে সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। তবে তার আগে আসুন আরও জেনে নেই– আপনি সাধারণত কোন ঔষধ কোম্পানিগুলোতে চাকরি করতে পারবেন এবং ফার্মাসিটিক্যাল চাকরির ক্ষেত্রে একজন ফার্মাসিস্ট হিসেবে আপনি কি কি কাজ করবেন?
বাংলাদেশের সেরা ঔষধ কোম্পানি গুলোর নাম কি কি?
বর্তমানে আমাদের দেশে সেরা ওষুধ কোম্পানিগুলো হিসেবে ১৫ টি অবস্থান করছে। সেগুলো হলো:-
- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড
- ওরিয়ন ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড
- হেল্থকেয়ার ফার্মাসিউটিকাল লিমিটেড
- অ্যাপোলো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড
- জেনিথ ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড
- পপুলার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড
- এসিআই ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড
- জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড
- এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড
- ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড
- ওয়ান ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড
- ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড
- আমুলেট ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড
- জেনিথ ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড
- জিসকা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড
একজন ফার্মাসিস্টের কাজ কি?
অনেকেই জানেন না একজন ফার্মাসিস্ট এর কাজ কি, ফার্মাসিস্ট হিসেবে যদি ঔষধ কোম্পানিতে কেউ নিযুক্ত হন তাহলে কি কি কাজ করতে হবে আপনাকে। মূলত এ পর্যায়ে একজন ফার্মাসিস্ট এর কাজ সমূহ উল্লেখ করব যথা:-
- ঔষধ সম্পর্কিত গবেষণা
- উৎপাদিত ঔষধের মান পরীক্ষা করা
- উৎপাদিত ঔষধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা
- উৎপাদনের ক্ষেত্রে আইন কানুন মেনে চলার দিকে নজরদারি করা
- ঔষধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সকল প্রক্রিয়া অবলম্বন করে তা সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্পন্ন করা
তাছাড়াও রিটেইল ফার্মাসিস্টরা ওষুধের হিসাব রাখা, সার্জিক্যাল সাপ্লাই এবং ট্রেনিং স্টাফ তৈরির কাজ করে থাকে। অন্যদিকে হসপিটাল ফার্মাসিস্টরা যুক্ত থাকে হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমের সাথে পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্টরা সরাসরি ওষুধ উৎপাদনের সাথে এবং রিসার্চ ফার্মাসিস্টরা ফার্মাসিটিক্যাল সাইন্সের সাথে নিযুক্ত থাকে।
অতএব আপনি যদি একজন ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করেন তাহলে আপনাকে উপরে উল্লেখিত কাজগুলো সম্পাদন করতে হবে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রকাশ করবেন এবং বিনিময়ে যথাযথ পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারবেন।
ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির বেতন কত?
ইতোমধ্যে আমরা ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা কত হবে, কোন কোন বিষয়ে অবগত হতে হবে এবং ঔষধ কোম্পানির চাকরির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। তবে কথা হচ্ছে একজন মানুষ যদি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মচারী হিসেবে নিযুক্ত হয় তাহলে সে মোটামুটি কত হাজার টাকা বেতন পাবেন?
এর উত্তরে বলা যায় ঔষধ কোম্পানির বেতন সর্বনিম্ন ১৬ হাজার থেকে শুরু করে ৩৫ হাজার পর্যন্ত। তবে আপনি যদি সিনিয়র কর্মচারী হয়ে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে বেতনের পরিসীমাটা হয়তো আরেকটু বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে শুরুর দিক থেকে একজন ঔষধ কোম্পানির ফার্মাসিস্ট মূলত ১৫ হাজার বেতন পায়।
ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার উপায়
ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার জন্য উপায় হিসেবে আপনি দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। একটি হচ্ছে অনলাইন অপরটি হচ্ছে অফলাইন।
অনলাইন পদ্ধতি
বর্তমানে বাংলাদেশী এমন অসংখ্য চাকরির সার্কুলার প্রকাশ করা ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি ঔষধ কোম্পানির চাকরি বিজ্ঞপ্তি সহ অন্যান্য সকল সরকারি বেসরকারি চাকরি বিজ্ঞপ্তি গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই প্রথমত ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার জন্য উপায় হিসেবে আপনি অনলাইন পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
ঠিক একইভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার শর্ত উল্লেখ থাকে। তাই ঘরে বসেই আপনি সার্কুলার সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আপনার পছন্দসই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনও করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ চাকরির নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সবার আগে পাওয়ার সকল উপায়
অফলাইন পদ্ধতি
আমি ছাড়া online একটিভ থাকি না তাদের জন্য মূলত অফলাইন পদ্ধতি। তবে এখন মনে হয় না এমন কোন মানুষ রয়েছেন যে অনলাইনের সাথে সংযুক্ত নন। তবে আমরা যারা চাকরির সার্কুলার কিভাবে খুঁজে বের করতে হয় বা কোথায় পাওয়া যায় এ সম্পর্কে খুব একটা জানেনা তাদের জন্য এই পদ্ধতি কার্যকরী।
কেননা এখনো পর্যন্ত এমন অনেক মানুষকেই পাওয়া যাবে যারা অন্যের মুখে মুখে শুনে অনেক চাকরিতে আবেদন করেন। পাশাপাশি ঔষধ কোম্পানির কিছু চাকরি রয়েছে যেগুলোতে আবেদনের জন্য ডাকযোগে যোগে আবেদন ফরম পূরণ করার মাধ্যমে তা পাঠাতে হয় আবার কিছু কিছু আবেদনের জন্য সরাসরি যেতে হয় তাদের নির্ধারিত ঠিকানায়। যা অফলাইনের অন্তর্ভুক্ত।
ঔষধ কোম্পানিতে নিয়োগ | ঔষধ কোম্পানি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
বর্তমানে ঔষধ কোম্পানির জন্য আপনি চলমান চারটি বিজ্ঞপ্তি সংগ্রহ করতে পারবেন যে কোন ওয়েবসাইট থেকে। কেননা নতুন জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে চারটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে খুব সম্প্রতি। তাই এখনই তা সংগ্রহ করতে আপনি google এ সার্চ করতে পারেন–
- হেলথ কেয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
- এসিআই কোম্পানি লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
- বেনহাম ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড নিয়োগ ২০২৩
- একমি কোম্পানি নিয়োগ ২০২৩
ঔষধ কোম্পানিতে আবেদনের নিয়ম
ঔষধ কোম্পানিগুলোতে যে সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় সেগুলোতে আবেদন করা খুবই সহজ। মূলত কিছু সার্কুলার রয়েছে যেগুলোতে আপনাকে সরাসরি ভাইবার জন্য ডাকা হবে এবং কিছু কিছু সার্কুলার রয়েছে যেগুলো আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার পরবর্তীতে পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে সিলেক্টেড হবেন।
ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির ভাইভা
ঔষধ কোম্পানিগুলোতে কিছু কিছু জনবল নিয়োগ দেওয়া হয় পরীক্ষার মাধ্যমে। আর তাই যে সকল ঔষধ কোম্পানি আগেই লিখিত পরীক্ষা নিয়ে ফেলে তারা মূলত পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রার্থী নির্বাচন করেন। আর ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির ভাইভা পরীক্ষাতে যদি কেউ টিকে যেতে চান তাহলে তাকে ইংরেজিতে একটু হলেও এক্সপার্ট হতে হবে। সেই সাথে, নিজের লুক এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিকঠাক রাখতে হবে। কেননা প্রত্যেকটি চাকরির ক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীর জুতা, ইনশার্ট প্যান্ট ট্রাই ইত্যাদি সবকিছু ভালোভাবে নজরে রাখা হয়। অতএব আপনাকে ফিটফাট হয়ে ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির ভাইভা পরীক্ষায় হাজির হতে হবে।
আর হ্যাঁ কিছু কিছু ঔষধ কোম্পানির রয়েছে যেগুলোতে ট্রাই পড়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক। তাই আবেদন করার পরবর্তীতে এ সম্পর্কে জেনে নেবেন। জানলে অবাক হবেন এমনকি আপনার হাসিও পেতে পারে ওই সকল কোম্পানিগুলো আপনার সাথে ট্রাই এর ব্যবসা করে নেবে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি ওই সকল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আপনাকে এটা বলবে যে আমাদের কাছে ট্রাই আছে। মূল্য শুধুমাত্র ১০০ থেকে দেড়শ টাকা যেটা আপনাকে কিনতে হবে নয়তো আপনাকে এই ভাইবা থেকে বাতিল করা হবে।
আরও পড়ুনঃ চাকরির পরীক্ষায় গণিতে ভালো করার উপায় (সেরা পরামর্শ)
ঔষধ কোম্পানির পরীক্ষার সাজেশন
ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির জন্য যে চাকরি পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয় সেগুলো খুব একটা কঠিন নয়। আপনি যদি নিজে থেকে স্মার্ট এবং কনফিডেন্স থাকতে পারেন তাহলে ঔষধ কোম্পানির যেকোনো চাকরি পরীক্ষায় আপনি টিকে যাবেন ইনশাল্লাহ।
আর চাকরি পরীক্ষায় সাধারণ যে বেসিক বিষয়গুলো আপনাকে প্রশ্ন করা হতে পারে সেগুলো তো জেনে রাখাটা খুবই জরুরী। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আরও যে আর্টিকেলটি পড়তে পারেন সেটা হলো:-চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (টিপস ও ট্রিকস)
আর হ্যাঁ ফার্মাসিটিক্যালস চাকরির ক্ষেত্রে মূলত জীববিজ্ঞান থেকে কিছু ব্যাসিক প্রশ্ন ধরা হয়। গণিত থেকেও কিছু প্রশ্ন আসে আর সাধারণ জ্ঞান সেটা তো যেকোনো পরীক্ষাতে এসেই থাকে সেটা আমরা সকলেই জানি। অতএব চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি যদি বেসিক সম্পর্কে ধারনা রাখেন এবং ফুলফিল কনফিডেন্স থেকে থাকে তাহলে আপনি ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন।
আর হ্যাঁ আলোচনার এ পর্যায়ে ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির সময় ভাইভাতে আপনাকে যে সকল প্রশ্ন সাধারণত করা হতে পারে সেগুলো সম্পর্কে অবগত করব। যথা:-
- আপনি কে, কোথায় থেকে এসেছেন এবং আপনি বর্তমানে কি করছেন?
- আপনি কেন চাকরি করতে চান?
- আপনার বাবা কি করে এবং বাড়িতে কে কে রয়েছে?
- পরিবারে সদস্য সংখ্যা কত, বিবাহিত নাকি অবিবাহিত এবং আপনার পরিবারের মাতব্বর কে?
- আগে কোথাও কোন জব করেছেন কিনা?
- আগে যদি কোন চাকরি করে থাকেন তাহলে সেটা ছেড়ে দেওয়ার কারণ কি?
- আপনার এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন কি?
- আপনি আমাদের কোম্পানিতে চাকরি করার জন্য কতটা উপযুক্ত বলে মনে করেন নিজেকে?
- আমাদের কোম্পানির হয়েছে সকল কাজ করতে হবে সেগুলো করতেই আপনি কতটা কনফিডেন্টফুল ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর আশা করা যায় আপনি যদি ভাইভা পরীক্ষায় অতিরিক্ত বেশি নার্ভাস না হয়ে যান তাহলে এই প্রত্যেকটা প্রশ্নেরই প্রায় উত্তর দিতে পারবেন।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি ও চাকরির ভাইবা সাজেশন সম্পর্কিত আমাদের আজকের আলোচনা পর্ব এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।