একসাথে একাধিক চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার টিপস
বর্তমানে চাকরির বাজারের নাজেহাল অবস্থা। আর এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাকরিপ্রার্থীরা। তবে এই কথাটা অধিক বেশি সমালোচিত হলেও এটা সত্যি যে, আপনি যদি নিজেকে দক্ষ ও উপযুক্ত চাকরিপ্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির সামনে তুলে ধরতে পারেন, তাহলে আপনার চাকরির সুনিশ্চিত। আর এর জন্য অন্য কিছু নয়, শুধুমাত্র আপনাকে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ নতুন চাকরি খোঁজার টিপস
আর স্বাভাবিকভাবেই চাকরিপ্রার্থীরা সাধারণত যে সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে থাকেন তাদের প্রত্যেকটার পরীক্ষা কাছাকাছি সময়ে এসে যায়। তাই কিভাবে সেই নিয়োগ পরীক্ষায় নিজেকে উত্তীর্ণ করতে পারবেন এটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে একইসঙ্গে একাধিক চাকরির প্রস্তুতি কিভাবে নেওয়া যাবে এ সম্পর্কে অনেকেই অনেক প্রশ্ন করে থাকেন।
তাই আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে দিতে চলেছি, চাকরির প্রস্তুতির জন্য দারুন এবং কার্যকরী কিছু টিপস। আশা করছি আমাদের দেওয়া টিপস গুলো আপনাদেরকে একসাথে একাধিক চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। পাঠক বন্ধুরা, তাহলে আসুন মূল আলোচনা পর্ব শুরু করি।
একসাথে একাধিক চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার টিপস
চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি নিতে কিভাবে পড়া শুরু করব? চাকরির পরীক্ষায় নিজেকে টেকাতে চাইলে ঠিক কেমন প্রস্তুতি নিতে হবে? আজকাল এগুলো খুবই কমন প্রশ্ন। কেননা জীবনের তাগিদে মানুষ পড়াশোনাটা করে একটি চাকরি লাভের আশায়।
একটা বিষয় যদি আপনি লক্ষ্য করেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন এবং মানতেও বাধ্য থাকবেন যে, মানুষের যদি দৈনন্দিন জীবনে টাকার প্রয়োজন না পড়তো তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষারও কোন প্রয়োজন ছিল না, আর চাকরি, সেটা তো দূরের কথা।
আরও পড়ুনঃ সাম্প্রতিক চাকরির বাজার এবং এর বাস্তবতা।
মূলত একজন বেকার মানুষ চাকরির পেছনে পাগলের মত ছুটে বেড়ায় বেকারত্বের কালিমাকে দূর করতে এবং নিজের ও পরিবারের ভালো ব্যবস্থা করার আশায়। আর তাই শিক্ষা জীবন শেষ হবার সাথে সাথেই ক্যারিয়ার সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সকলেই প্রায় ব্যতিব্যস্ত।
অনেকেই রয়েছে যারা পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে চাকরিতে নিযুক্ত আবার পরিকল্পনা করেন। আবার কেউ কেউ রয়েছে একটু ভালো মানের চাকরি করার জন্য শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পরবর্তীতে ভালো পদে চাকরির জন্য এপ্লাই করেন।
এক্ষেত্রে মূলত আপনি কোন পেশায় আগ্রহী এবং কোন পেশার জন্য আপনি উপযুক্ত সেই সাথে আপনার বর্তমান অবস্থান কি এটা নির্ভর করে। তবে সত্যি এটাই আপনি যখন যে অবস্থানে থেকে যে পেশাতেই যেতে চান না কেন, প্রয়োজন শুধুমাত্র সঠিক প্রস্তুতির।
আর তাই, আপনি যদি চাকরির পরীক্ষায় টিকতে চান তাহলে আপনার বেসিক টা ভালোভাবে জানতে হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষাতেও ভালো মার্ক থাকতে হবে। কেননা চাকরি পেতে যেমন ডিগ্রী প্রয়োজন ঠিক একইভাবে চাকরির পরীক্ষায় টেকার জন্য প্রয়োজন সঠিক পূর্ব প্রস্তুতি।
তাই এই মুহূর্তে যারা একসাথে একাধিক চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার টিপস জানতে আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি পড়া আরম্ভ করেছেন তাদেরকে বলব ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ুন।
কেননা আজকে আমরা আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের নিম্ন বর্ণিত বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেবো এবং চাকরির সেরা টিপস শেয়ার করব। আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনি যা যা জানতে পারবেন:-
- শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি
- তৃতীয় শ্রেণীর চাকরির প্রস্তুতি
- সরকারি চাকরির প্রস্তুতি
- বেসরকারি চাকরির প্রস্তুতি
- চাকরির পড়াশোনা টিপস
- চাকরির পরীক্ষায় সিলেক্টেড না হওয়ার কারণ
- প্রিলিতে ফেল করার কারণ
- চাকরির পরীক্ষায় করা সাধারণ কিছু ভুল
- চাকরির প্রস্তুতির সেরা ও কার্যকরী টিপস
আরও পড়ুনঃ কোন বিষয় নিয়ে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যায়? (টিপস ও ট্রিকস)
শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি
শূন্য থেকে আপনি যদি চাকরির প্রস্তুতি নিতে চান তাহলে প্রথমত আপনার আত্মবিশ্বাস দৃঢ় রাখতে হবে। কেননা শূন্য থেকে কোন কাজ করা খুবই কঠিন আর প্রথমবারের মতো চাকরি খোঁজা এবং কোন চাকরিতে পরীক্ষা দেওয়া সেটা তো আরো বেশি কঠিন। তবে হ্যাঁ আপনি যদি শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে চান তাহলে ধারাবাহিকভাবে আপনার যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো হলো:-
- প্রথমত: সিলেবাস কালেক্ট করা
- দ্বিতীয়ত: সিলেবাস কমপ্লিট করা এবং ব্যাসিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা অর্জন।
- তৃতীয়ত: আপনার দক্ষতাকে আরও বেশি দৃঢ় করার প্রচেষ্টা করা।
- চতুর্থত: আপনার কাজের ওপর নির্ভর করে নিজের মতো করে একটি নোট তৈরি করা।
- পঞ্চমত: শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতির জন্য অনলাইনের সাহায্য নেওয়া।
আশা করা যায় ধাপে ধাপে যদি আপনি এই পাঁচটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন তাহলে চাকরির পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিতে সক্ষম হবে। কেননা একই চাকরির পরীক্ষায় একেক রকম সিলেবাস থেকে থাকে যেটা আপনি কিছুটা এনালাইসিস করলেই সংগ্রহ করতে পারবেন।
আর সেই সাথে, আত্মবিশ্বাস এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কেননা আমাদের মনোবল যদি দৃঢ় না থাকে তাহলে আমরা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি নার্ভাস হয়ে পড়ি। এতে করে চাকরির পরীক্ষা বেশ খারাপ হয়।
তাই শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি নিতে এবং চাকরির পরীক্ষায় টিকে যেতে চাইলে অবশ্যই আপনার আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে হবে এবং ওই চাকরির জন্য নিজেকে যথোপ্রযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
সরকারি চাকরির প্রস্তুতি
বর্তমান সময়ে সরকারি চাকরি পাওয়া মানে সোনার হরিণ পেয়ে যাওয়া। আর আপনি যদি সরকারি চাকরি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ভালো প্রস্তুতি থাকতেই হবে।
একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় বাংলাদেশের অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থীরা ইংরেজি এবং গণিতে অধিক বেশি দুর্বল। আর তাই সরকারি বাজে কোন চাকরির প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি এবং গণিত এর ব্যাসিক সম্পর্কে এ টু জেড জানতে হবে।
শুধু তাই নয়, আপনাকে যেমন সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বই পড়তে হবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে ঠিক একইভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে মানসিকভাবেও। কেননা আপনি যদি মানসিকভাবে প্রস্তুতি না নিতে পারেন তাহলে অনেক বেশি দক্ষ হওয়ার পরবর্তীতে ও চাকরির জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ উপযুক্ত হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন না।
অতএব সরকারীর চাকরি পেতে হলে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে হলে আপনি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার উন্নয়ন করার পাশাপাশি মানসিকভাবেও প্রস্তুত হতে হবে এবং অবশ্যই নিজের সময় মেনটেইন করে চলার অভ্যাস গরতে হবে।
আরও পড়তে পারেনঃ চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায়
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির প্রস্তুতি
আমাদের বাংলাদেশে চাকরির অনেক গ্রুপ থাকলেও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির জন্য নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত কোন গ্রুপ নেই। তবুও এই চাকরিগুলোর জন্যেও অনেক চাকরি প্রত্যাশীরা আগ্রহ প্রকাশ করে।
আর তাই আপনিও যদি এই চাকরিগুলো করতে চান, তাহলে ঠিকঠাক প্রস্তুতি নিতে হবে। আর হ্যাঁ, একটা বিষয় যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, বাংলাদেশের প্রায় সকল চাকরির পরীক্ষা মূলত একই ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। হয়তো কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত করা সম্ভব।
তবে আপনি যে চাকরিকেই নিজের পেশা হিসেবে বাছাই করেন না কেন, প্রথমত নিজের বেসিক টা ঠিক রাখতে হবে এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নগুলো অনুসরণ করতে হবে। আর হ্যাঁ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে আপনি মূলত যে সকল কাজ করতে পারবেন সেগুলো হলো:-
- ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
- ব্যক্তিগত সহকারি
- ক্যাশিয়ার
- অফিস সহকারি
- অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর
- সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর
- ষাট মোজাকরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
- হিসাব রক্ষক
- হিসাব সহকারি প্রভৃতি
আর হ্যাঁ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদসমূহে যদি আপনি চাকরির জন্য আবেদন করেন তাহলে পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল পেতে বাংলার যে বিষয় সমূহ সম্পর্কে এ টু জেড জানবেন সেগুলো হলো:-
✓ এক কথায় প্রকাশ,
✓ প্রকৃতি ও প্রত্যায়,
✓ কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র,বঙ্কিমচন্দ্র সহ জনপ্রিয় কিছু ব্যক্তিত্বের ছদ্মনাম ও জীবনী।
✓ বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক,
✓ অনুবাদ, বাগধারা, বানান,
✓ সমার্থক শব্দ,বিপরীত শব্দ, ধ্বনি,বর্ণ,সন্ধি, সমাস, কারক সম্পর্কে বিস্তারিত।
অপর দিকে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়বস্তু অর্থাৎ সাধারণ জ্ঞান এর জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে চাইলে যে বিষয়বস্তু সম্পর্কে এ টু জেড জানবেন সেগুলো হলো:-
✓ ৫২’র ভাষা আন্দোলন,
✓ ভৌগোলিক উপনাম,
✓ বিভিন্ন দেশের পার্লান্টে ভবনের নাম,
✓ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা,
✓নদ-নদী,
✓ দিবস,
✓ কৃষি, বিভিন্ন স্থাপনা
✓ ৬৬ ছয় দফা,
✓ ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ,
✓ মেগা প্রকল্প,
✓বিভিন্ন দেশ,
✓ রাজধানী ও মুদ্রা,
✓ পরিসংখ্যান (জনশুমারি, বাজেট),
✓ উপজাতী,
✓ক্রিকেট ও ফুটবলসহ ইত্যাদি।
পাশাপাশি গণিতে ভালো করার জন্য সিক্স থেকে শুরু করে ক্লাস টেন পর্যন্ত যে ব্যাসিক অংক গুলো রয়েছে সেগুলোর ফুল ফেল করবেন। এর জন্য আপনি চাইলে পড়তে পারেন চাকরির পরীক্ষায় গণিতে ভালো করার উপায় (সেরা পরামর্শ) আর্টিকেলটি। আর হ্যাঁ কম্পিউটার ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আপনি একটি শর্টকাট নৈবিত্তিক সাজেশন কিনে ফেলতে পারেন। যেখানে বেসিক বিষয় সমূহ সম্পর্কে জানলেই যথেষ্ট।
আর সেই সাথে টাইপিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে এক্সপার্ট হতে হবে। কেননা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদের পরীক্ষাগুলোতে কম্পিউটার ব্যবহারিক পরীক্ষায় বিশ মিনিটে আপনি কতগুলো শব্দ টাইপ করতে পারবেন তা গণনা করে যাচাই-বাছাই করা হয়। মোটকথা আপনি সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে বেসিক শব্দ জানবেন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষায় যোগদান করবেন। ব্যাস এটুকুই।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ চাকরি পাওয়ার উপায়
একসাথে একাধিক চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার সেরা ও কার্যকরী টিপস
একসাথে একাধিক চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে আপনাকে যা যা করতে হবে সেগুলো হলো:
✓ প্রথমত নিজের পড়াশোনা সম্পূর্ণভাবে গুছিয়ে নেওয়া
✓ দ্বিতীয়ত চাকরির পরীক্ষায় আসতে পারে এমন বিষয়বস্তু চিহ্নিত করা
✓ তৃতীয়ত মৌলিক জ্ঞান অর্থাৎ বেসিক নলেজ বাড়ানো এবং মৌলিক জ্ঞান বাড়ানোর জন্য নতুনত্ব উপায় অবলম্বন
✓চতুর্থত পূর্ববর্তী চাকরির পরীক্ষার কোশ্চেন অনুসরণ
✓ পঞ্চমত সকল চাকরির পরীক্ষার সাজেশন গুলো খুঁজে বের করা এবং সময় ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে একেক চাকরির পরীক্ষার জন্য একেক বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা।
আপনি যদি একটা বিষয় লক্ষ্য করেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন, আমাদের কিন্তু কখনোই এক বই বারবার পড়তে ইচ্ছা করে না। কয়েকদিন যাবৎ যদি আমরা শুধুমাত্র একটা বই পড়ি তাহলে আমাদের মাঝে একটা একঘেয়েমি ভাব এসে যায়, যেটা পড়াশোনা ভুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
আর এক্ষেত্রে যদি আমরা একাধিক চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে চাই তাহলে আলাদা আলাদা বই পড়তে পারব এবং আলাদা বিষয়সমূহ সম্পর্কে পড়ার ফলে আমাদের মাঝে একটা আগ্রহ সৃষ্টি হবে। আর এটা তো আমরা সবাই জানি, ঘন্টার পর ঘন্টা বই না পড়ে শুধুমাত্র মনোযোগের সাথে যদি একঘন্টা বই পড়া যায় তাহলেও অধিক বেশি জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ দ্রুত চাকরি পাওয়ার উপায় (পরিক্ষিত টিপস)
অতএব একসাথে একাধিক পরীক্ষায় যদি এটেন্ড করতে চান তাহলে আপনি ধারাবাহিকভাবে
- দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি গ্রহণ করুন
- রুটিন তৈরি করুন
- মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করুন
- যোগাযোগ ও খোঁজখবর ঠিকঠাক রাখুন
- অবশ্যই চাকরির জন্য জীবন বৃত্তান্ত ঠিকঠাকভাবে সংরক্ষণ করুন পূর্বেই এবং
- সাম্প্রতিক বিষয়ে নজরদারি হোন
কেননা আমাদের বাংলাদেশে সম্প্রতি এমন অনেক কিছুর অনেক রকম পরিবর্তন ঘটছে যেটা চাকরির পরীক্ষায় আসার মত। সুতরাং চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে চাইলে এবং চাকরির পরীক্ষায় কমন পেতে চাইলে আপনাকে পড়তে হবে, পড়তে হবে এবং পড়তে হবে। মূল কথা পড়ার কোন বিকল্প নেই।
চাকরির পরীক্ষায় সিলেক্টেড না হওয়ার কারণ
চাকরির পরীক্ষায় করা সাধারণ কিছু ভুল আমাদের চাকরি হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই এ পর্যায়ে চাকরির পরীক্ষায় সিলেক্ট না হওয়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করবো যেগুলো প্রত্যেকেরই মনে রাখা জরুরী। যথা:
- অতিরিক্ত চিন্তিত থাকার কারণে পরীক্ষার উত্তরপত্রে ভুল অ্যানসার করা
- একাধিক চাকরির প্রস্তুতি নিতে গিয়ে একটা পরীক্ষার জন্যও ভালো প্রিপারেশন না নেওয়া
- চাকরির পরীক্ষাকে অনেক কঠিন মনে করা এবং অতিরিক্ত নার্ভাস হয়ে পড়া
- পরীক্ষার হলে গিয়ে অন্যের কাছ থেকে শিখিয়ে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাখা
- সবশেষে পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি না নেওয়া।
আর হ্যাঁ, আলোচনার শেষ পর্যায়ে একটা কথা না বললেই নয়। আপনি মূলত সরকারি বেসরকারি বা কোম্পানির যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় বা চাকরিতে টিকে যেতে চাইলে যে ভুলগুলো অবশ্যই না করার চেষ্টা করবেন সেগুলো হলো:
- সামর্থ্য বা যোগ্যতা নেই এমন কোন চাকরি করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা এবং তার পেছনে ছুটে বেড়ানো
- বেসিক ধারণা অর্জন না করার আগেই একাধিক চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার পরিকল্পনা করা
- বারবার প্রস্তুতির ট্র্যাক পরিবর্তন করা, এক কথায় সঠিক পরিকল্পনা না থাকা।
- অযথা সময়ের অপচয় এবং অনলাইনের প্রতি অধিক আসক্তি।
পরিশেষে: সত্যি বলতে একসাথে একাধিক চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। কিন্তু এর জন্য আপনাকে হতে হবে পরিশ্রমী এবং আত্মবিশ্বাসী। তবে আমরা সাজেস্ট করবো একসঙ্গে একাধিক চাকরির প্রস্তুতি না নিয়ে বরং একটা চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া।
কেননা আপনি আপনার জীবনে শুধুমাত্র একটা চাকরিই করতে পারেন। হ্যাঁ এটা ঠিক আপনি চাইলে ওই চাকরিটি ছেড়ে দিয়ে পরবর্তীতে আরেকটি চাকরিতে জয়েন করতে পারবেন কিন্তু এটা সচরাচর আমরা করি না আর করলেও সে ক্ষেত্রে আপনার প্রস্তুতির জন্য আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে আলাদাভাবে তৈরি করতে হবে রুটিন।
মূল কথা আপনি নিজেকে আপনার পছন্দসই চাকরির জন্য যথোপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলুন এবং এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করুন যে আপনার ওই চাকরিটি হবে এবং আপনি ওই চাকরির পরীক্ষাতে অবশ্যই টিকে যাবেন। বারবার পড়ুন, জ্ঞান অর্জন করুন ওই চাকরির জন্য নিজেকে সেরা হিসেবে গড়ে তুলুন ব্যাস এটুকুই। আপনার চাকরি সু-নিশ্চিত।
আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আরও পড়তে পারেনঃ
5 Comments