সাব রেজিস্ট্রার এর কাজ কি

সাব রেজিস্ট্রার এর কাজ কি? সাব রেজিস্ট্রার হওয়ার যোগ্যতা? সাব রেজিস্ট্রার সম্পর্কে A টু Z 

সাব রেজিস্ট্রার এর কাজ কি, সাব রেজিস্ট্রার হওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন এবং সাব রেজিস্ট্রার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে– পড়ে ফেলুন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি। কেননা আজ আমরা সাব রেজিস্ট্রার সম্পর্কে A টু Z আলোচনা করব আজকের এই নিবন্ধনটিতে। 

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আসুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নেই—  সাব রেজিস্ট্রারের কাজ এবং তাদের বিশেষ দায়িত্ব সেই সাথে ক্ষমতা ও গুরুত্বপূর্ণ আরো বিষয়াবলী সম্পর্কে বিস্তারিত। সো লেটস স্টার্টেড।

আরও দেখুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কী ? ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ? ফ্রিল্যান্সিং এর A টু Z.

সাব রেজিস্ট্রার | সাব রেজিস্টার অর্থ কি?

সাব রেজিস্ট্রার হলো একটি পরিচিত প্রশাসনিক পদবী, যা বিভিন্ন সেবা সরবরাহকারী সস্তা বা অফিসে ব্যবহৃত হয়। সংশোধিত কোডের ৩৭০৫.১৭ ধারা মতে– সাব রেজিস্ট্রার মানে দেহাবশেষের নিষ্পত্তির জন্য অনুমতি অনুমোদনের উদ্দেশ্যে স্থানীয় রেজিস্ট্রার দাঁড়া নিযুক্ত একজন ব্যক্তি। অন্যদিকে সাব রেজিস্ট্রার মানে হল ভারতীয় নিবন্ধন আইন ১৯০৮ এর অধীনে নিযুক্ত সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা। 

অতএব এই বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে বলা যায়– সাব রেজিস্ট্রার হচ্ছে একটি পদবী, যে পদবীর একটি নির্দিষ্ট অর্থ রয়েছে। মূলত যারা নির্দিষ্ট প্রকারের দলিল, নিবন্ধন, সাবমিশন বা অন্যান্য প্রস্তাবনা সম্পর্কিত কাজগুলো সম্পাদনের জন্য দাখিল পত্র অথবা আবেদনপত্র গ্রহণ ও নিবন্ধন করে তারাই হচ্ছে সাব রেজিস্ট্রার পদে নিযুক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারী। 

সাব রেজিস্ট্রার এর কাজ কি

সাব রেজিস্ট্রার একটি প্রশাসনিক পদবী যা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। আর এই প্রশাসনিক পদবী হওয়ার কারণে অনেকেই ইতিমধ্যে আন্দাজ করতে পারছেন যে একজন সাব রেজিস্ট্রার এর কাজ কি কি হতে পারে! তবে বিষয়টি সুস্পষ্ট করার জন্য আমরা এ পর্যায়ে সাব রেজিস্ট্রার এর কাজ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব।  

মূলত একজন সাব রেজিস্ট্রারের কাজ সাধারণভাবে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।

১. নিবন্ধন ও দলিল: সাব রেজিস্ট্রাররা নিবন্ধন কার্যক্রমে ভূমিকা রাখে। যেমন– জন্ম, বৈবাহিক অবস্থা, মৃত্যু সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদির জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ ও প্রক্রিয়া পূর্ণ করতে সহায়তা প্রদান। 

২. ভূমি এবং জমির দলিল: সাব রেজিস্ট্রাররা বিভিন্ন নিবন্ধন এর কাজে সহায়তা করার পাশাপাশি ভূমি এবং জমির দলিলের কাজগুলি সম্পর্কে সেবা প্রদান করে থাকে। যেমন– ভূমি ক্রয়-বিক্রয, জমির মালিকদের পরিচয়, দলিল নিবন্ধন ইত্যাদি। আর ঠিক এ কারণে ই কেউ কেউ এমন প্রশ্ন করেন একজন সাব রেজিস্ট্রার কি সম্পত্তি নিবন্ধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারেন?

এই প্রশ্নের উত্তর হবে হ্যাঁ, একজন সাব রেজিস্ট্রার চাইলে সম্পত্তিভিত্তিক কাগজপত্রের সমস্যা সহ বিভিন্ন ভিত্তিতে একটি সম্পত্তি নিবন্ধন আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারেন, কেননা এমনটা করার ক্ষমতা রয়েছে তার। 

৩. ব্যবসায়িক নিবন্ধন: ব্যবসা বা কোম্পানি স্থাপন করার জন্য আবশ্যক নিবন্ধন প্রক্রিয়াগুলিও সাব রেজিস্ট্রাররা করে থাকেন। অতএব ব্যবসায়িক নিবন্ধন তৈরিতে সহযোগিতা করা ও একজন সাব রেজিস্টার এর কাজ। 

৪. শিক্ষা এবং শিক্ষার্থী সংক্রান্ত: বিভিন্ন দলিল নিবন্ধন এবং শিক্ষাসংক্রান্ত নিবন্ধন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সনদ, পরীক্ষার দলিল ইত্যাদি সেবাসমূহও প্রদান করে থাকেন একজন সাব রেজিস্ট্রার। 

অতএব সাব রেজিস্ট্রার দের কাজের ক্ষেত্র সমূহের উপর ভিত্তি করে বলা যাচ্ছে একজন সাব রেজিস্টার এর কাজ হচ্ছে—

  • রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা
  • ডেটা ম্যানেজমেন্ট
  • ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন
  • সাব কমিটিতে অংশগ্রহণ
  • প্রকল্প পরিচালনা
  • বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরি। 

সাব রেজিস্ট্রার এর দায়িত্ব কি কি?

একজন সাব রেজিস্ট্রার এর দায়িত্ব হচ্ছে তার কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পাদন করা। মূলত একজন সাব রেজিস্টার এর দায়িত্ব বিভিন্ন সেবা সামগ্রীতে বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে পরিচালিত হতে পারে। যেমন ধরুন—

✓ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাব রেজিস্ট্রার: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাব রেজিস্ট্রার ছাত্র-ছাত্রীদের নিবন্ধন, কোর্স পরিচিতি, যোগাযোগ ও ডকুমেন্টেশন সংক্রান্ত কাজ সম্পাদন করে থাকেন।

✓ভূমি রেজিস্ট্রার: এই ক্ষেত্রে সাব রেজিস্ট্রার ভূমি সম্পত্তি সংক্রান্ত কাজগুলির নিবন্ধন, মৌখিক এবং লিখিত অনুমতিপত্রের ব্যবস্থা এবং ভূমির ডকুমেন্টেশন সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে থাকেন। 

✓ কোর্ট সাব রেজিস্ট্রার: আদালতের কোর্ট সাব রেজিস্ট্রার মামলা ডকুমেন্টেশন, তারিখ সূচীপত্র, সাক্ষ্য তথ্য ইত্যাদি নিবন্ধন করতে সাহায্য করেন। 

✓ উদ্যোগ সাব রেজিস্ট্রার: এই ধরনের সাব রেজিস্ট্রার একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগের কাজে সাহায্য করতে পারেন, যেমন নিবন্ধন, লেখাপড়া, ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি।

এক কথায় – সাব রেজিস্ট্রাররা মূলত নিবন্ধন, সাক্ষ্য তথ্য, ডকুমেন্টেশন সংরক্ষণ, প্রশাসনিক কাজ ইত্যাদি সম্পর্কিত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন। তারা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজে সাহায্য করেন এবং নিবন্ধন, সংক্রান্ত কাজ সহ বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টেশন সংরক্ষণ ও সার্ভিস প্রদান করেন।

আরও পড়ুনঃ বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কি করতে হবে (A টু Z)

সাব রেজিস্ট্রার হওয়ার যোগ্যতা

সাব রেজিস্ট্রার হওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরী যারা ভবিষ্যতে সাব রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পেতে ইচ্ছুক। কেননা যোগ্যতা ব্যতীত আপনি কোন পদেই একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারী হিসেবে নিযুক্ত হতে পারবেন না। তাই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অবশ্যই যোগ্যতা সম্পর্কে অবগত হতে হবে। 

সাব রেজিস্ট্রার পদে আবেদনের যোগ্যতা সময়ের সাথে সাথে কিছুটা পরিবর্তিত হয়। তবে এই মুহূর্তে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে উল্লেখ্য রয়েছে যে– সাব রেজিস্ট্রার পদে আবেদনকারী প্রার্থীকে অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে মাস্টার্স পাস কিংবা দ্বিতীয় শ্রেণীতে অনার্স সহ দ্বিতীয় শ্রেণীতে মাস্টার্স সার্টিফিকেটধারী হতে হবে। 

অতএব সাব রেজিস্ট্রার পদে আবেদনের যোগ্যতা হচ্ছে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে মাস্টার্স ডিগ্রী এবং দ্বিতীয় শ্রেণীতে অনার্স সহ দ্বিতীয় শ্রেণীতে মাস্টার্স সার্টিফিকেটধারি। তবে হ্যাঁ, বর্তমানে এখন এটা কারোরই অজানা নয় যে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি যে কোন কর্মে নিযুক্ত হতে চাইলে অন্যান্য আরো কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে। এজন্য আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা সাব রেজিস্ট্রার হওয়ার অন্যান্য যোগ্যতা সমূহ তুলে ধরবো। যথা:-

  • কাজের সংগঠনা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে দক্ষতা
  • ঝুকি নেওয়ার সক্ষমতা
  • সমস্যার সমাধানের ক্ষমতা
  • মানসিক শক্তির অধিকারী
  • দারুন কমিউনিকেশন স্কিল
  • ডাটা এন্ট্রির কাজে দক্ষতা
  • সংগঠনাত্মক দক্ষতা
  • কর্ম ক্ষেত্রে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা
  • চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার ক্ষমতা
  • বিভিন্ন মিটিং পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা
  • নতুনত্ব টেকনোলজিক্যাল প্রযুক্তির ব্যবহার ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সম্পৃক্ততা।

আর হ্যাঁ, সেই সাথে ইংরেজিতে শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে কথা বলতে পারার সক্ষমতা বা স্কিল থাকাও উচিত। কেননা – আপনি যদি এই সকল যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন তাহলে সাব রেজিস্ট্রার পদে খুব সহজেই একজন যোগ্য ক্যানডিডেট হিসেবে সিলেক্টেড হতে পারবেন। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক– সাব রেজিস্ট্রার এর বেতন কত এবং সাব রেজিস্ট্রার এ অন্তর্ভুক্ত কর্মকর্তারা কি বিসিএস ক্যাডার!

সাব রেজিস্ট্রার এর বেতন কত? 

একজন সাব রেজিস্ট্রার এর বেতন মূলত ৩৩,৯৯০-৬৯,৮৫০ টাকা। এছাড়াও নিবন্ধন ও দলিলের কাজের জন্য মোটামুটি এমাউন্টের টাকা ধার্য করে থাকেন একজন সাব রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা। তাই বেতনের পরিসীমা অনেকটাই বেশিতে গিয়ে দাঁড়ায়। 

তবে হ্যাঁ মনে রাখবেন, প্রতিষ্ঠানের ধরন, অবস্থান অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য ফ্যাক্টরির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশে এবং স্থানীয় স্তরে এই পদের বেতনে বিশাল পার্থক্য হয়ে থাকে। তাই সাব রেজিস্ট্রার এর মাসিক বেতন এগজ্যাক্টলি কত সেটা উল্লেখ করা যাচ্ছে না। তবে হ্যাঁ এখন জানার বিষয়, সাব রেজিস্ট্রার রা কি বিসিএস ক্যাডার?

আরও পড়ুনঃ চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায় (সেরা পরামর্শ)

সাব রেজিস্ট্রার কি বিসিএস ক্যাডার

সত্যি বলতে– এ প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ এবং না দুইটিই সত্য। কেননা কখনো কখনো সাব রেজিস্ট্রার পদে ঐ সকল ব্যক্তিদের কে নিয়োগ দেওয়া হয় শূন্য পদ পূরণের নিমিত্তে যারা বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু ক্যাডার পদ পাননি। 

মাঝেমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আর ঐ সকল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ঐ সকল ব্যক্তিবর্গকে সাব রেজিস্ট্রার পদে নিযুক্ত করা হয়। একইভাবে সাব রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমেও যোগ্য প্রার্থীদের খুঁজে বের করা হয় এবং চাকরি দেওয়া হয় সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে। 

সাব রেজিস্ট্রার নিয়োগ পদ্ধতি

সাব রেজিস্ট্রার নিয়োগ পদ্ধতি দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সেবা স্থাপনের উপর নির্ভর করে।  তবুও বোঝার সুবিধার্থে আমরা সাব রেজিস্ট্রার নিয়োগ পদ্ধতির সাধারণ ধারণা দিতে পর্যায়ক্রমে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরছি। কেননা মূলত নিজের উল্লেখিত পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমেই সাব রেজিস্ট্রার পদে দক্ষ ও যথোপযুক্ত লোকপ্রার্থী নিয়োগ দেওয়া হয়। যথা:-

১. আবেদন পত্র সমগ্র করা: নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় সাধারণভাবে আবেদন পত্র সমগ্র করার মাধ্যমে। অনলাইন ফরম অথবা মুদ্রণযোগ্য ফরম জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে এক্ষেত্রে।

২. প্রাথমিক নিরীক্ষণ এবং নির্বাচন: আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর কোম্পানি বা সংস্থা প্রাথমিক নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া চালায়। এই পর্যায়ে, প্রাথমিক স্ক্রিনিং এবং যোগ্যতা মূল্যায়ন এর মাধ্যমে সঠিক আবেদনকারীদের কে নির্বাচন করা হয়।

৩. লিখিত পরীক্ষা: নির্বাচিত আবেদনকারীদের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় পর্যায়ে। এই পরীক্ষায় সাধারণভাবে প্রাথমিক জ্ঞান, ভাষায় দক্ষতা এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের প্রযুক্তি অধ্যায়নের ক্ষমতা সম্পর্কে প্রশ্নাবলী এসে থাকে।

৪. সাক্ষাৎকার: লিখিত পরীক্ষায় ভাল ফলাফল প্রাপ্ত আবেদনকারীদের সাথে সাক্ষাৎকার সংঘটিত করা হয় চতুর্থ ভাবে। এই সাক্ষাৎকারে আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত দক্ষতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রাপ্তি নিরীক্ষণ করা হয়। আর এতে যদি আপনি নিজেকে যোগ্য ও উপযুক্ত হিসেবে তাদের সামনে উপস্থিত করতে পারেন তাহলে চূড়ান্ত নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়। 

৫. চূড়ান্ত নির্বাচন: মূলত সাক্ষাৎকার পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী চূড়ান্ত নির্বাচন এই পর্যায়ে ঘটে। এরপর নির্বাচিত প্রাথমিক আবেদনকারীদেরকে নিয়োগের জন্য অফার প্রদান করা হয়। এই অফার অনুসারে উপস্থিতি এবং সংস্থা বা সরকারের নিয়োগ শর্তাবলীর বিষয়বস্তু উল্লেখ করা থাকে। 

তবে আপনি যদি প্রকাশিত নিয়োগ সংক্রান্ত নোটিশ ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে এই সব কিছুই আপনার কাছে সুস্পষ্ট হবে। কেননা প্রত্যেকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় শর্তাবলী, দক্ষতা ও যোগ্যতার বিষয়গুলো সমস্ত উল্লেখ করা থাকে। 

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, আপনি ঐ সকল সাব রেজিস্ট্রার নিয়োগ সার্কুলার গুলো সংগ্রহ করবেন কোথায় থেকে? এজন্য নিয়মিত বাংলাদেশের চাকরির জব সার্কুলার প্রকাশিত জব পোর্টাল ওয়েবসাইট গুলো ফলো করুন অথবা বাংলাদেশ কর্ম কমিশন। কিংবা আইন মন্ত্রণালয়ে এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। 

কেননা ঐ সকল ওয়েবসাইটে সাব রেজিস্ট্রার সহ যেকোনো পদের জনবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য নতুন আপডেট কিছু সার্কুলার মাঝেমধ্যেই প্রকাশিত হয়ে থাকে। আপনি চাইলে আমাদের চাকরি নিউজ ডটকম ওয়েব সাইটটিও ফলো করতে পারেন। কেননা এই ওয়েবসাইটেও আমরা সরকারি বেসরকারি ব্যাংক কোম্পানি সকল প্রকার চাকরির সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে নিয়মিত। 

আরও পড়ুনঃ দ্রুত চাকরি পাওয়ার উপায় (পরিক্ষিত টিপস)

সাব রেজিস্টার হওয়ার উপায়

সাব রেজিস্ট্রার হওয়ার উপায় হচ্ছে– একজন সাব রেজিস্ট্রার এর যে সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো পালন করতে হয় সেগুলো সম্পদের জন্য নিজেকে যথোপযুক্ত ভাবে গড়ে তোলা এবং সাব রেজিস্ট্রার নিয়োগ সার্কুলার এ আবেদনের জন্য তাদের উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হওয়া। 

কেননা আপনার মাঝে যদি দক্ষতা বা স্কিল থেকে থাকে তাহলে আপনি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রকাশিত সার্কুলার এর মাধ্যমে সঠিক প্রক্রিয়ায় আবেদন করার মাধ্যমে অবশ্যই সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। 

সাব রেজিস্টার এর গ্রেড | সাব রেজিস্টার নিয়োগ কততম গ্রেড

সাব রেজিস্টার এর গেড নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কেন না সাব রেজিস্ট্রার এর সাধারণত বিভিন্ন গ্রেড বা পদস্থান থেকে থাকে। তবে আপনি যদি এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফলো করতে পারেন কিংবা ইউটিউব এর সাহায্য নিতে পারেন। 

সাব রেজিস্টার নামের তালিকা

সাব রেজিস্ট্রার নামের তালিকা জানার আগ্রহ থেকে থাকে অনেকেরই। আর তাদের কথা বিবেচনা করেই মূলত এই পয়েন্টটি আলোচনা করা। আপনি যদি সাব রেজিস্ট্রার দের নামের তালিকা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এখনই গুগলের সার্চ করতে পারেন “সাব রেজিস্ট্রার এর নামের তালিকা লিখে” অথবা আমাদের সাজেস্টক কৃত (ক্লিক করুন এখানে) এই লিংকে ভিজিট করার মাধ্যমে সরাসরি দেখে নিতে পারেন। 

সাব রেজিস্ট্রার কোন মন্ত্রণালয়

জেলা প্রশাসক মন্ত্রণালয় এবং উপজেলা প্রশাসক মন্ত্রণালয় উভয়তেই সাব রেজিস্ট্রার পদে বিশাল সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেওয়া হয় মাঝেমধ্যেই। তাই সাব রেজিস্ট্রার কোন মন্ত্রণালয় এটা নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়। কেননা, হবিগঞ্জ, বগুড়া, মৌলভীবাজার, পাবনা, সিলেট সহ প্রভৃতি জেলা ও উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয় রয়েছে। 

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, সাব রেজিস্ট্রার এর কাজ কি সাব রেজিস্টার হতে গেলে কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা শেষ করছি এখানেই। যদি কোন মন্তব্য বা প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *