কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না? আপনি যদি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত হতে চান তাহলে এই সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরী। কেননা সুন্দর স্বাস্থ্যবান হওয়া সত্বেও কখনো কখনো সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না অনেকেরই। আর তাই নির্দিষ্ট দিনে সেনাবাহিনীর লাইনে দাঁড়ানোর পরবর্তীতেও রিজেক্টেড হতে হয়।
আজ মূলত আমাদের এই নিবন্ধনটিতে আপনাদেরকে জানাতে চলেছি– কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না সে সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি যদি সেনাবাহিনীর চাকরি না হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে এ টু জেড জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে বলবো আজকের এই আর্টিকেলটি স্কিপ না করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং জেনে নিন সঠিক তথ্য ও সঠিক কারণসমূহ।
কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
সেনাবাহিনীর চাকরি হওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে বেশ কয়েকটি বিষয় যাচাই-বাছাই করা হয়। আর একজন চাকরিপ্রার্থী হিসেবে আপনি যদি সেনাবাহিনীতে চাকরির যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে তিনটি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান ধারণ করা অতীব ও জরুরি। সেগুলো হলো–
- শারীরিক যোগ্যতা
- বাছাই করেন পদ্ধতি এবং
- রিজেকশন
সেনাবাহিনীর চাকরি না হওয়ার কারণ
সেনাবাহিনীর চাকরি না হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় শারীরিক ফিটনেস ঠিকঠাক তবুও শেষ পর্যায়ে গিয়ে রিজেক্টেড হয়ে যায় অনেকেই। আবার কখনো কখনো দেখা যায় শারীরিক ফিটনেস এর দিক থেকে উনিশ-বিশ থাকা সত্ত্বেও তাদেরিই আবার চাকরি হয়ে যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতেই। এ বিষয়গুলো নজরে আসার কারণে মূলত অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে যে– সেনাবাহিনীর চাকরি না হওয়ার মূল কারণগুলো কি কি?
সেনা কর্মকর্তা হিসেবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন যাদের বা যাদের ইচ্ছা চাকরি হিসেবে এই পেশাকে গ্রহণ করা, তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি। আর আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নারী এবং পুরুষ উভয়েই চাকরির সুযোগ পেয়ে থাকে। তাই উভয়ের ক্ষেত্রেই কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়, যার উপর ভিত্তি করে একজন ছেলে অথবা একজন মেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সুযোগ পায়।
ঠিক এ কারণেই আমরা আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আলাদাভাবে তুলে ধরবো– মেয়েদের সেনাবাহিনীর চাকরি না হওয়ার কারণ অর্থাৎ কি কি সমস্যা থাকলে মেয়েদের সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না এবং ছেলেদের সেনাবাহিনীর চাকরি না হওয়ার কারণ অর্থাৎ ছেলেদের কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না!
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে A টু Z
ছেলেদের কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
ছেলেদের মূলত নিম্ন বর্ণিত সমস্যা গুলোর কারণে সেনাবাহিনীতে চাকরি হয় না। যথা —
- শরীরে গভীর কাটা দাগ
- ওজনের তারতম্যতা
- শারীরিক ফিটনেস ঠিকঠাক না থাকা
- জটিল রোগে আক্রান্ত
- মানসিক সমস্যা
- দাঁতের সমস্যা
- নখের সমস্যা
- নাকের সমস্যা
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে ট্যাটুসহ প্রভৃতি।
মেয়েদের কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
মেয়েদের মূলত নিম্ন বর্ণিত সমস্যা গুলোর কারণে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না। যথা —
- নাকের সমস্যা
- শ্রবণ শক্তি কম থাকা
- শরীরে গভীর কাঁটা দাগ
- বয়স অনুযায়ী ওজনের তারতম্যতা
- মানসিক সমস্যা
- জটিল রোগে আক্রান্ত
- ভার্জিনিটির সমস্যা
- শরীরে বিভিন্ন স্থানের ট্যাটু এবং দাঁত মারি ও ত্বকের আনুষঙ্গিক সমস্যা।
সেনাবাহিনীর শারীরিক যোগ্যতা
সেনাবাহিনীর শারীরিক যোগ্যতা হিসেবে কোন কোন বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় সেগুলোই আলোচনা করব আলোচনার এ পর্যায়ে। আপনি মূলত এই প্যারা টি পড়লে নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য সেনাবাহিনীর শারীরিক যোগ্যতা কি কি সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
একটা বিষয় মনে রাখার জরুরী, সেটা হচ্ছে মূলত কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না এটা যতদিন না পর্যন্ত আপনি জানতে পারবেন এবং তার সমাধান করার চেষ্টা করবেন ততদিন পর্যন্ত আপনি যতবারই সেনাবাহিনীতে দাঁড়ান না কেন সিলেক্টেড হবেন না বরং রিজেক্টটেড হয়ে যাবেন। তাই সবসময় চেষ্টা করুন আমাদের উল্লেখিত নিচের যোগ্যতা গুলো যাচাই-বাছাই করবার।
কেননা সেনাবাহিনীতে শারীরিক যোগ্যতার বিষয়ে অধিবাসী নজর দেওয়া হয়। কিছু রোগ রয়েছে যেগুলো ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের শরীরে থাকলেই তারা রিজেক্টেড হয়ে যায়। আসুন কথা না বাড়িয়ে শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে বা শারীরিক যোগ্যতা ঠিকঠাক রাখতে কোন কোন বিষয় জানার প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
বয়স এবং ওজন
বয়সের সাথে উচ্চতা ওজন অবশ্যই সঠিক থাকতে হবে। সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য ছেলেদের উচ্চতা কমপক্ষে হতে হবে পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি, অন্যদিকে মেয়েদের ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। আর এই উচ্চতার সাথে ঠিক রেখে মেয়েদের ওজন হতে হবে ৪০ থেকে ৪১ কেজি বড়জোর ৪৫ কেজি অন্যদিকে ছেলেদের ওজন হতে হবে ৫৫-৬০ কেজি। তবে বয়স এবং ওজন সে সাথে উচ্চতা এগুলো মূলত সেনাবাহিনীর চাকরির সার্কুলার গুলোতে সর্বদাই উল্লেখ করা থাকে। তাই আবেদনের সময় যাচাই করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
গভীর কাটা দাগ
শরীরে যদি গভীর কোন ক্ষত বা কাটা দাগ থেকে থাকে তাহলেও সেনাবাহিনীতে চাকরি হয় না। এটাও একটা অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেই সাথে মাথায় বড় এবং গভীর কাটা দাগ থাকলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়।
টাক মাথা
যদি আপনি টাকু হয়ে থাকেন, মানে বলতে চাচ্ছি আপনার মাথায় যদি একদমই চুল না থাকে মাথা টাক পরা হয়ে যায় তাহলে সেনাবাহিনীতে চাকরি হবে না আপনার। কেননা এটাও ছেলেদের সেনাবাহিনীতে চাকরি না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ বা সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
অতিরিক্ত দাঁত
স্বাভাবিক এর চাইতে অতিরিক্ত দাঁত থাকলেও সেটা সেনাবাহিনীর চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অতএব আপনার যদি ব্যার দাত থেকে থাকে তাহলেও এটা সমস্যা হিসেবে তারা চিহ্নিত করতে পারে। তবে লক্ষ্য করলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এমন অনেক কর্মীদের দেখতে পাবেন যারা ব্যার দাতের অধিকারী হওয়া সত্বেও চাকরি করছে। তাই এটা খুব একটা গুরুতর সমস্যা নয়। তবে অতিরিক্ত দাঁত কখনো কখনো সেনাবাহিনীর চাকরি হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
ত্বকের সমস্যা
এক কথায় চর্মরোগ থাকলে সেটা সেনাবাহিনীর চাকরির ক্ষেত্রে অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আপনার শরীরে যদি কোন প্রকার জটিল ঘা, চুলকানি, শেতরোগ অথবা কুষ্ঠ রোগের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ধরে নেওয়া যায় শারীরিক যোগ্যতার দিক থেকে আপনি সেনাবাহিনীতে অযোগ্য হিসেবে বিবেচনার মধ্যে পরবেন।
ট্যাটু
আপনার হাতে বা শরীরে যদি কোন স্থানে কারো নাম কোন অক্ষর বা যেকোনো প্রকার ট্যাটু লাগানো থাকে তাহলেও সেটা সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে বাদ পরার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। কেননা শরীরে নাম লেখা বা ট্যাটু থাকা সেনাবাহিনীর চাকরি না হওয়ার সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
হাত ঘেমে যাওয়া
অনেকের ভাত অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। যেটা সত্যি অনেক বেশি অসুস্থ করে। যদি সেনাবাহিনীতে আবেদন করা চাকরি প্রার্থীর হাত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা থেকে থাকে তাহলেও এই কারণ কে বা এই সমস্যাকে চাকরি না হওয়ার সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
নাকের সমস্যা
অনেকের নাকের পলিপাস এর সমস্যা থেকে থাকে। আবার অনেকের এক নাক বন্ধ এবং অন্য নাক খোলা থাকে এরকম কিছু সমস্যা নজরে আসে। যদি সেনাবাহিনীতে আবেদনকৃত চাকরিপ্রার্থীদের এমন কোন রোগ থাকে তাহলে সেও শারীরিক যোগ্যতায় অক্ষম হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।
চোখের সমস্যা
যারা চোখে কম দেখতে পায় তাদেরও সেনাবাহিনীতে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আর এর জন্য আপনি যদি চোখের সমস্যায় ভুগেন তাহলেও ধরে নেওয়া যায় আপনি একজন অযোগ্য প্রার্থী। আর হ্যাঁ কিছু কিছু মানুষের কালার ব্লাইন্ড এর সমস্যা থেকে থাকে। যদি আপনার মাঝেও এটা থাকে তাহলে ধরে নিতে পারেন সেনাবাহিনীতে চাকরি না হওয়ার অন্যতম সমস্যা এটি।
ঠোঁটকাটা
জন্মগতভাবে অনেকেরই ঠোঁট কাটা অথবা কান কাটার মতো সমস্যা গুলো থাকে। আর যাদের এই সমস্যাগুলো রয়েছে অথবা দুর্ঘটনাবশত পরবর্তীতে ঠোঁট কেটে গিয়েছে কিংবা কান কেটে গিয়েছে তারাও স্বাস্থ্যগতভাবে অনুপযুক্ত হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে সেনাবাহিনীতে।
মাদকাসক্ত
যারা নিয়মিত ধূমপান করেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরবর্তীতে তাদেরকেও বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। তাই আপনি যদি মাদকাসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে ধরে নিতে পারেন সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য আপনিও একজন অযোগ্য প্রার্থী, শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অন্যান্য যোগ্যতা থাকলেও আপনার শারীরিক যোগ্যতা নেই।
তোতলা
যারা তোতলায় কথা বলেন অথবা বোবা তারাও মূলত সেনাবাহিনীর চাকরির জন্য উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন না। কেননা এই সমস্যাগুলো কেউ সেনাবাহিনীর চাকরি না হওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
নখের সমস্যা
যাদের হাতে এবং পায়ের নখে প্রায় সময় কোনা পচন রোগ হয় তাদেরকেও সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ রিজেক্টেড করা হয়। তাই আপনার যদি নখের এজাতীয় সমস্যা থেকে থাকে তাহলেও এটি সেনাবাহিনীর চাকরি না হওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন।
হাটু গেলে যাওয়া
সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পর দুই পায়ের মাঝখানে ফাঁকা থাকে? নাকি একদম বন্ধ হয়ে যায়? যদি আপনার পায়ের মাঝে ফাঁকা থাকে তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনি সেনাবাহিনীর চাকরির জন্য যোগ্য শারীরিক দিক থেকে, আর যদি আপনার হাটু গেলে যায় অর্থাৎ দাঁড়ানোর পর মাঝখানে একদমই ভরাট হয়ে যায় তাহলে এটাও আপনার জন্য একটি সমস্যা। কারণ ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই এই পরীক্ষাটি খুবই ভালোভাবে করা হয়।
ভার্জিনিটি
নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ভার্জিনিটি চেকআপ করা হয়। বিষয়টা একটু অন্যরকম হলেও সেনাবাহিনীর চাকরির ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই পরীক্ষা করা হয়। অতএব আপনি যদি ভার্জিন না হন তাহলে এই চাকরি থেকে আপনি বাদ পড়বেন আর যদি ভার্জিন হয়ে থাকেন তাহলে সিলেক্টেড হবেন।
এছাড়াও যৌন কিছু লোক থাকলেও সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না। যেমন হস্তমৈথুন অন্ডকোষ ছোট অথবা অতিরিক্ত বড় ইত্যাদি ইত্যাদি। আর হ্যাঁ এই পরীক্ষাটা অত্যন্ত তীক্ষ্ণ ভাবে করা হয়।
এছাড়াও সেনাবাহিনীর চাকরিতে শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা করার জন্য আরও বেশ কিছু বিষয় নজরে আনা হয়। যেমন–
- আবেদনকারী প্রার্থীর ফ্ল্যাট ফিড এর সমস্যা রয়েছে কিনা
- দাঁত মাড়ি বা শরীরের অভ্যন্তরে জটিল কোন রোগ বাসা বেধেছে কিনা
- মূত্রনালীতে কোন ইনফেকশন জনিত সমস্যা রয়েছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
সেনাবাহিনীতে কি কি পরীক্ষা করা হয়?
সেনাবাহিনীতে মূলত শরীরের অভ্যন্তরে এবং শরীরের বাইরের খুঁটিনাটি সকল বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। অতএব হাত-পা, চোখ নাক কান, মুখ দাঁত ঠোঁট হার, মাংসপেশী সহ প্রভৃতি স্থান। যেগুলো আমরা আলোচনার ইতোমধ্যে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছি। তাই এ বিষয়ে যদি আরো ভালোভাবে জানার প্রয়োজনীয়তা থেকে থাকে তাহলে আমরা বলব আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবারো করার এবং আর্টিকেলে পরবর্তী অংশটুকু স্কিপ না করে কন্টিনিউ করবার।
সেনাবাহিনী হতে কি কি লাগে?
সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে হলে কি কি লাগে? আপনি যদি সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা হতে চান তাহলে কি কি প্রয়োজন পড়বে আপনার? এগুলো কখনো না কখনো আপনার মনে এসেই থাকবে যদি আপনি ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীতে একজন কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হতে চান।
সেনাবাহিনীর চাকরির জন্য মূলত শিক্ষাগত যোগ্যতা, অন্যান্য যোগ্যতা হিসেবে কিছু স্কিল এবং শারীরিক যোগ্যতা থাকতে হবে। শারীরিক যোগ্যতার মধ্যে কোন গুলো পরে সেগুলো আমরা আলোচনার ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি। এবার আসুন জেনে নেই সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় সমস্যা কি এবং সেনাবাহিনীর চাকরিতে বাধা সৃষ্টিকারী জটিল রোগের নাম সমূহ।
সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় সমস্যা কি?
সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো – বৃহত্তম স্বাস্থ্য সমস্যা। কেননা এই চাকরিতে বেশ ঝুঁকি রয়েছে। বারবার শরীরে দীর্ঘস্থায়ী চাপ বা পেশীবহুল আঘাত পাওয়ার কারণে স্বাস্থ্য সমস্যা গুলো দেখা দেয়। আর যে এ কারণেই শারীরিক ফিটনেস এর দিকে অধিক বেশি নজর দেওয়া হয় সেনাবাহিনীর প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে।
সেনাবাহিনীর চাকরিতে বাধা সৃষ্টিকারী রোগের নাম
সেনাবাহিনীর চাকরিতে বাধা সৃষ্টিকারী রোগের নাম গুলো হলো —
- হার্নিয়া
- পাইলস
- ছুলি
- শ্বেতিরোগ
- কুষ্ঠ রোগ
- হাত ঘামা রোগ
- ফ্ল্যাট ফিট
- ঘোষ পাচরা বা চুলকানি জাতীয় রোগ
- যৌন রোগ এবং
- মানসিক সমস্যা
সেনাবাহিনী মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কিভাবে প্রভাব ফেলে?
সেনাবাহিনীতে দাঁতের সমস্যা, সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন রোগ এবং শারীরিক অন্যান্য ফিটনেস সম্পর্কে কম বেশি আলোচনা করা হয়েছে। এখন কথা হচ্ছে সেনাবাহিনী মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কিভাবে প্রভাব ফেলে। কেননা সেনাবাহিনীতে চাকরি করার পূর্বে বা চাকরিতে যোগদানের পূর্বে এ বিষয়গুলোর সম্পর্কে জানার আগ্রহ মানুষের মাঝে জন্মে থাকে।
ইতোমধ্যে চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এটা জানিয়েছেন যে- সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা চাপ এবং আঘাতমূলক ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন। এই অভিজ্ঞতা ট্রমা-সম্পর্কিত মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধির দিকে পরিচালিত করতে পারে। আর সেইসাথে ট্রমা সামরিক সদস্যদের বিভিন্ন উপায়ে প্রভাবিত করতে পারে, যার মধ্যে পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে রাগ বা বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি রয়েছে।
আর তাই সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে চাইলে শিক্ষাগত যোগ্যতা শারীরিক যোগ্যতার পাশাপাশি অবশ্যই মানসিক ভাবেও শক্তপোক্ত হতে হবে। কেননা যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে আপনি যদি এই চাকরিতে জয়েন হয়ে যান পরবর্তীতে কাজের প্রেসার এবং নতুন পরিবেশ নতুন কর্মক্ষেত্র কে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সপ্তপোক্ত মন মানসিকতার অবশ্যই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আশা করি আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি এটা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীতে চাকরি হয় না। তবুও যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দেবেন কেননা আমরা তার উত্তর খুব শীঘ্রই দেওয়ার চেষ্টা করব।
পাশাপাশি শারীরিক ফিটনেস ঠিকঠাক রাখার জন্য অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করবেন, খাবারে রাখবেন পুষ্টি সমৃদ্ধ পরিমিত খাবার, সেই সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।