মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য (বাংলা ও ইংরেজি) | মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
বাঙালি জাতির ইতিহাসে রয়েছে এক তাৎপর্যপূর্ণ সময়, যে সময়কালে বাংলার এই মানুষকে দিতে হয়েছে রক্ত, স্বীকার করতে হয়েছে ত্যাগ। হ্যাঁ, আমরা সেই সময়ের সেই দিনের কথাকেই ইঙ্গিত করছি। যে সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল এবং যে সময়টা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নামে বিশ্বের বুকে পরিচিত এখনো পর্যন্ত।
দেখুন এটা আমরা সকলেই জানি– বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি উল্লেখযোগ্য সশস্ত্র সংঘাত, যা ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান এর মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল কিছু চুক্তিকে সামনে রেখে। মূলত দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক উত্তেজন আর চূড়ান্ত পরিনিতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল এই যুদ্ধ সংলগ্ন। আর আজকের আলোচনায় আমরা মূলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দশটি বাক্য তুলে ধরবো।
আরও পড়ুনঃ সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান ২০২৩ সম্পর্কিত সকল প্রশ্ন ও সমাধান
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য
মুক্তিযুদ্ধ খুবই আলোচিত এবং পরিচিত একটি বিষয়। আর আমরা মূলত এর সম্পর্কে ৫-১০ বাক্য এমনিতেই বলতে পারব। কিন্তু হ্যাঁ, আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত তাদের জন্য লেখা যারা বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অথবা সরকারি চাকরির জন্য নিজেকে গড়ে তুলছেন। কেননা এই ধরনের পরীক্ষাগুলোতে ভাইবা নামার সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হতেই পারে, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য বলুন।
অতএব সেই সময় আপনাকে অবশ্যই সুন্দর এবং সুস্পষ্ট ভাষায় সে সাথে সবচেয়ে সহজ সাবলীল ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য উপস্থাপন করতে হবে। অনেকেই মূলত সে সময় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান। আবার কেউ কেউ রয়েছেন যারা জানার পরেও উপস্থাপন করতে গিয়ে সবকিছু গুলিয়ে ফেলেন। তাই আমরা খুবই সহজ ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানাবো।
আশা করি এই দশটি বাক্য আপনি একবার পড়ে খুব সহজেই মনে রাখতে পারবেন এবং চাকরির ভাইভা পরীক্ষার সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে সুস্পষ্টভাবে জবাব দিতে সক্ষম হবেন। আর হ্যাঁ, সরকারি বেসরকারি অথবা অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক যেকোনো পরীক্ষায় মূলত মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দশটি বাক্য বাংলায় এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে বলার কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা থাকে।
তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে 10টি বাক্য ইংরেজিতে এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য বাংলায় তুলে ধরবো। তাহলে আসুন– ১৯৭১ সালের পশ্চিম এবং পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত বিপ্লব ও সশস্ত্র সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দশটি বাক্য অবগত হওয়া যাক।
আরও পড়ুনঃ নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে (চাকরি টিপস)
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য বাংলায়
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দশটি বাক্য নিম্নক্ত—
১. মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ১৯৭১ সালে ভারতীয় সাহায্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল।
২. মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও পাকিস্তানি শাসন থেকে চিরতরে মুক্তি লাভ।
৩. সেইসময়ের প্রমুখ নেতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং জিয়াউর রহমান।
৪. ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশে অত্যাচার ও সংহতি ভঙ্গ করে, যা মুক্তিযুদ্ধের উৎপ্রেক্ষিত কারণ ছিল।
৬. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্ব বহন করেছিল বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্গত মুক্তি বাহিনী ও গুপ্তচর সংগঠন।
৭. সে সময় ভারতীয় সেনা, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশাপাশি যুদ্ধ করে বাংলাদেশ বাহিনীকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল।
৮. মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে, মূলত দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর ৩০ লক্ষ বাঙালি শহীদ হওয়ার বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীন দেশের পতাকা ও স্বাধীনতা।
৯. এই যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতি নিজের স্বাধীনতা এবং ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি আত্মগর্ব অর্জন করে।
১০. এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বাংলাদেশের ঐতিহ্যিক এবং সাংস্কৃতিক পরিস্থিতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা স্মৃতিচারণ হিসেবে শহীদ মিনার নামে একটি স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে এবং সেটা এখনো পর্যন্ত শহীদদের স্মৃতি সংবর্ধন করে এবং আগামী প্রজন্মকে উৎসাহ দেয়।
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য নিম্নক্ত—
- Bangladesh Liberation War occurred in 1971, leading to the birth of Bangladesh as an independent nation.
- The war resulted from deep-rooted socio-political and economic disparities between East and West Pakistan.
- The Pakistani military launched a brutal crackdown on Bengali nationalists, causing widespread atrocities.
- The Mukti Bahini, a resistance force, fought for Bangladesh’s independence, gaining support from India.
- India’s intervention in December 1971 played a pivotal role in defeating Pakistani forces.
- The conflict saw a humanitarian crisis, with millions of refugees fleeing to India to escape violence.
- The Liberation War’s intensity increased after the Pakistani military’s Operation Searchlight on March 25, 1971.
- Bangladesh declared independence on March 26, 1971, following the Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman’s call for civil disobedience.
- The war ended on December 16, 1971, with Pakistan’s surrender and the creation of Bangladesh.
- The Liberation War’s legacy remains significant, shaping Bangladesh’s identity and being commemorated annually on Victory Day.
এবার আসুন আলোচনার শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেওয়া যাক। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও তার সমাধান সম্পর্কেও অবগত হওয়া যাক। কেননা সরকারি বেসরকারি যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক চাকরি+ভর্তির পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রশ্ন কম বেশি এসেই থাকে। তাই এই বিষয়গুলো জানা থাকলে আপনার অনেকটাই উপকার হবে।
মুক্তিযুদ্ধের সারসংক্ষেপ
মুক্তিযুদ্ধ, যা বাংলাদেশের ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে নিরন্তর লড়াই, সংঘর্ষ, ও জনগণের সংঘাতের একটি মহৎ চরম অধ্যায় হিসেবে পরিগণিত। বাঙালি জাতি অনেক আগে থেকেই নিজেদের দেশকে নিজেদের ভাষাকে রক্ষা করার জন্য অনেক বেশি সচেষ্ট ছিল অর্থাৎ তারা ছিল প্রতিবাদীমুখর।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, নিজেদের মুক্তি লাভ এবং দেশকে স্বাধীন করাই ছিল বাঙালি জাতির একমাত্র পন। আর তাই শতভাগ একনিষ্ঠ হওয়ার পরবর্তীতে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ, যে যুদ্ধ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে, যা প্রায় ৯ মাস চলমান থাকে। নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দেয় ৩০ লক্ষ মানুষ সেই সাথে লাখো মা-বোন তাদের প্রিয়জন হারায়, ত্যাগ স্বীকার করে। আর সবকিছুর বিনিময়ে পরবর্তীতে অর্জন করে আজকের স্বাধীনতা।
কিভাবে, কখন কোথায়, কোন কোন মাধ্যমে এই স্বাধীনতা অর্জন হয় তার ইতিহাস অনেকটাই লম্বা। তবে আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধের অতি সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ তুলে ধরব। আসুন ধারাবাহিকভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়ে নেওয়া যাক অতিদ্রুত।
১. মুক্তিযুদ্ধের সূচনা: পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত ইস্ট পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) এবং পশ্চিম পাকিস্তানের নিজেদের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশী জনগণের জনসাধারণ আন্দোলন শুরু হয়। ২৬ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে প্রথম বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আর পরবর্তীতে রাজপথে নেমে পড়েন জনসাধারণ আর এভাবেই সূচনা হয় বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের।
২. পাকিস্তানের হামলা: ২৫ মার্চ, ১৯৭১ রাতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বাংলাদেশে হামলা চালিয়ে প্রাথমিক আক্রমণ শুরু করে। এই হামলা দ্বারা অসহায় নাগরিকদের বিরুদ্ধে মারমস্তক সংঘর্ষ ও জনঘাত হয়। কেননা সেই সময়ের সেই দিনে রাজধানী শহর ঢাকায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা চালায়, প্রাণ হারায় শত শত সাধারণ মানুষ, শত শত বুদ্ধিজীবী, পুলিশ আর্মি, চিকিৎসক সহ অনেকেই। যাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হয়নি, মেরে ফেলা হয়েছে নির্মম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে।
৩. মুক্তিবাহিনী গঠন: নির্মম হত্যাযজ্ঞর পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনগণকে সশক্ত করার জন্য “মুক্তিবাহিনী” নামক স্বাধীনতা সেনাবাহিনী তৈরি করেন। আর এরই মাধ্যমে একতাবদ্ধ হয় বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় পরিচালিত হয় মুক্তিযুদ্ধ। এরপর দীর্ঘদিন এক কঠিন লড়াইয়ের পর অর্জন হয় স্বাধীনতা।
৪. যুদ্ধশেষ ও স্বাধীনতা: মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হার মানে এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সরানোর দাবি করে। কিন্তু অতঃপর ভারতীয় সেনা এবং মুক্তিবাহিনীর সংযোগের ফলে পাকিস্তানি সেনা পরাস্ত হতে বাধ্য হয় এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
৫.বাংলাদেশের স্বাধীনতা: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। আর এই দিনটিই বাংলাদেশে বিজয় দিবস হিসেবে পরিচিতি পায় এবং সারাদেশে উৎসবের দিন হিসেবে পালন করা হয়।
আরও পড়ুনঃ চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (টিপস ও ট্রিকস)
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দশটি বাক্য জানার পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নগুলো অবগত হওয়া জরুরী। কেননা চাকরির লিখিত অথবা ভাইভা পরীক্ষায় সচরাচর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন হিসেবে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হতেই পারে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে।
তাই চেষ্টা করুন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন এবং তার সমাধান সম্পর্কে জানবার। মূলত আপনারা যারা যারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চান তারা আর্টিকেলের পরবর্তী অংশটুকু পড়া চালিয়ে যেতে পারেন। তো পাঠক বন্ধুরা, তাহলে আসুন জেনে নেই কিছু সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন এবং তার সমাধান।
১. মুক্তিযুদ্ধ কি?
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধ হলো এমন একটি যুদ্ধ, যা একটি দেশ বা অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন বিচারের জন্য লড়াই। যেটা বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে।
২. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কবে ঘটে?
উত্তর: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ঘটে ১৯৭১ সালে।
৩. মুক্তিযুদ্ধের মূল কারণ কি ছিল?
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের মূল কারণ ছিল পূর্ব পাকিস্তানের শাসনামলে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি সঙ্গতি, সামাজিক, আর্থিক এবং রাজনৈতিক অসমব্যায়ের বিরুদ্ধে বাঙালি জনগণের একঘেয়ে অসন্তোষ।
৪. শেখ মজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় কখন?
উত্তর: ২৫ মার্চ, ১৯৭১ মধ্যরাতে।
৫. মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে সমগ্র বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করেছিলেন?
উত্তর: ১১ টি।
৬. স্বাধীনতা যুদ্ধে কত জন বীরউত্তম খেতাব লাভ করেন?
উত্তর: ৬৮ জন।
৭. স্বাধীনতা যুদ্ধে কত জন বীর বিক্রম উপাধি লাভ করে?
উত্তর: ১৭৫জন।
৮. স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্তির সংখ্যা কত?
উত্তর: ৪২৬ জন।
৯. স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য মোট কতজন খেতাব প্রাপ্ত হন?
উত্তর: ৬৭৬ জন।
১০. মুক্তিযুদ্ধের আত্মসমর্পণ দলিল কোথায় স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে।
১১. কোন সেক্টরে নিয়মিত কোন সেক্টর কমান্ডার ছিল না?
উত্তর: ১০ নং সেক্টর।
১২. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা কোন সেক্টরের অধীনে ছিলো?
উত্তর: দুই নম্বর সেক্টর
১৩. আভ্যন্তরীণ নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল চালনা কোন সেক্টরের অন্তভুর্ক্ত ছিল?
উত্তর: ১০নং সেক্টরে
১৪. স্বাধীনতা যুদ্ধে কত জন বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি লাভ করেন?
উত্তর: ৭ জন।
১৫. জেনারেল এ, কে নিয়াজী কার নিকট আত্মসমর্পণ করে?
উত্তর: জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার।
১৬. আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে কে নেতৃত্ব প্রদান করেন?
উত্তর: বিমান বাহিনীর প্রধান কমোডর এ কে খন্দকার।
১৭. জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পের সময় পাকিস্তানের সৈন্যবাহিনীর কত সংখ্যা ছিল ?
উত্তর: ৯৩ হাজার।
১৮. কোন বীর শ্রেষ্ঠের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি?
উত্তর: বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন।
১৯. কোন বীর শ্রেষ্ঠের কোন খেতাবী কবর নেই?
উত্তর: বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন।
২০. বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবর কোথায় ছিল?
উত্তর: পাকিস্তানের করাচীর মাশরুর বিমান ঘাটিতে।
২১. মুজিবনগরের পুরাতন নাম কি ছিল?
উত্তর: বৈদ্যনাথ তলার ভবের পাড়া।
২২. কে বৈদ্যনাথ তলার নাম মুজিব নগর রাখেন?
উত্তর: তাজউদ্দিন আহম্মেদ।
২৩. মুজিনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন কে?
উত্তর: এম, মনসুর আলী।
২৪. মুজিনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রি ছিলেন কে?
উত্তর: তাজউদ্দিন আহম্মেদ।
২৫. মুজিনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
উত্তর: সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
২৬. মুজিনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
উত্তর: শেখ মুজিবর রহমান।
২৭. মুজিনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
উত্তর: সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
২৮. মুজিনগরে নতুন সরকার গঠনের ঘোষনাপত্র পাঠ করেন?
উত্তর: অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
২৯. মুজিনগরে সরকারকে প্রথম গার্ড অনার কে প্রদান করেন?
উত্তর: মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)
৩০. জেনারেল ওসমানী কবে বাংলাদেশের সেনা প্রধান নিযুক্ত হন?
উত্তর: ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১।
৩১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয় কবে?
উত্তর: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯
৩২. কবে, কোথায় স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা হয়?
উত্তর: ০৩ মার্চ, ১৯৭১, পল্টন ময়দানে।
৩৩. চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করা হয় ?
উত্তর: ২৬ মার্চ, ১৯৭১।
৩৪. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কবে, কোথায় স্থাপন করা হয়?
উত্তর: চট্টগ্রামের কালুরঘাটে, ২৬ মার্চ, ১৯৭১।
৩৫. মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কারা?
উত্তর: ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
৩৬. মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ কবে, কোথায় সংগঠিত হয়?
উত্তর: ১৯ মার্চ, ১৯৭১ গাজিপুরে।
৩৭. শেখ মুজিবুর রহমান কত তারিখে পাকিস্তানের কারাগার হতে মুক্তিলাভ করেন ?
উত্তর: ১০ জানুয়ারী ১৯৭২।
৩৮. ‘এ দেশের মাটি চাই, মানুষ নয়’- এ উক্তি কার?
উত্তর: জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
৩৯. সর্বপ্রথম কবে বাংলাদেশের স্বাধীন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়?
উত্তর: ১০ এপ্রিল, ১৯৭১।
৪০. পাকিস্তানের প্রথম সাধারন নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সাল।
পরিশেষে: তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, বাংলাদেশের ইতিহাস অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ। আর তাই একে ঘিরে রয়েছে হাজারো প্রশ্নের হাজারো উত্তর। আমরা চেষ্টা করেছি আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল বিষয়গুলো তুলে ধরবার।
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য বাংলায় এবং ইংরেজিতে জানার পর আশা করছি আপনারা যেকোন ক্ষেত্রে তা খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন। তো সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, সেই সাথে নিয়মিত চাকরির নিউজ, চাকরির পরীক্ষা এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করবেন আমাদের চাকরি নিউজ ডটকম ওয়েবসাইটটি। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।