মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়ম

বাংলাদেশে এখন আধুনিকায়নের পথে পরিচালিত। কেননা প্রযুক্তির উন্নয়নের ছোঁয়ায় এখন সকল ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগের সাথে সমানতালে এগিয়ে চলেছে। আর তাই ঘরে বসে অনলাইন থেকে সহজেই অনেক কিছু শেখার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে মুক্তপাঠ।

মুক্তপাঠ মূলত একটি অনলাইন কোর্স, যেখানে আপনি কোনরকম খরচ ছাড়াই বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের কোর্স সম্পন্ন করতে পারবেন, যা পরবর্তীতে আপনার ক্যারিয়ার জীবনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আপনারা অনেকেই মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত জানেন না। আর তাই মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট কি বা কাকে বলে?

সেই সাথে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়ম, আবেদন করার ইনস্ট্রাকশন এবং মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট কি কি কাজে ব্যবহার হয় এ সম্পর্কে জানতে ধারাবাহিকভাবে আমাদের নিচে উল্লেখিত পয়েন্ট গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়মসহ এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে।

আরো পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর উপবৃত্তি পাওয়া যায় কিভাবে

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট কি?

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট হচ্ছে বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত একটা সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম, যা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বা জ্ঞান বিকাশের সহায়কের অন্যতম একটি অনলাইন মাধ্যম। মূলত মুক্তপাঠ এর প্রধান ও অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার বাইরে আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে অবগত করা এবং তাদের জ্ঞানের প্রবৃদ্ধিকে বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি ওই সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটা দারুন প্লাটফর্ম গড়ে তোলা। 

আপনি যদি এই মুক্তপাঠ এর ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন বা বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করেন তাহলে আপনিও বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেট পেতে পারেন। তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক মুক্তি পাক সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়মাবলী সম্পর্কে। 

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে চাইলে আপনাকে প্রথমত বাংলাদেশ সরকারের মুক্তপাঠ ওয়েবসাইটে কোন একটা কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। আর আপনি যদি কোন কোর্স সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে, মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলে ওই সার্টিফিকেটটি খুব সহজেই মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে সংগ্রহ করতে পারবেন। 

তো ফ্রেন্ডস, আপনি যদি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের মুক্তপাঠ ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন তো মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করুন নিচের নিয়মাবলী অনুসরণ করে। কেননা স্টেপ বাই স্টেপ আমাদের উল্লেখিত ধাপগুলো পূরণ করে এখনই সংগ্রহ করে নিতে পারবেন আপনার অর্জিত সার্টিফিকেট বা নথিপত্র টি।

প্রথমত: ভিজিট করুন muktopaath.gov.bd ওয়েবসাইট।

দ্বিতীয়ত: মুক্ত পাঠ ওয়েব সাইটে গিয়ে লগইন অপশনে ক্লিক করুন।

তৃতীয়ত: আপনার সামনে শো করানো প্রথম কলামে লিখুন আপনার ফোন নম্বর অথবা ইমেইল

চতুর্থত: পাসওয়ার্ড সঠিক ভাবে লিখুন পরবর্তীতে লগইন অপশনে ক্লিক করুন। 

পঞ্চমত: লগ ইন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ডান পাশের মেনু অপশন এ ক্লিক করুন

ষষ্ঠমত: মেনু থেকে সার্টিফিকেট অপশনটি খুঁজে বের করে ক্লিক করুন সার্টিফিকেট অপশনটিতে

সপ্তমত: আপনি যে কোর্সটি ইতিমধ্যে সমাপ্ত করেছেন সেই কোর্সের সার্টিফিকেট ডাউনলোড করুন ডাউনলোড অপশন এ ক্লিক করে।

ব্যাস এটুকুই। আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে এই কয়েকটি ধাপ পেরোতে পারেন তাহলে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই। তবে হ্যাঁ, মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে জানার সাথে সাথে আপনাকে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট আবেদন করার নিয়ম, মুক্তপাঠ রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম এবং যদি কোন ভুল বা ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে, মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কেও জানা জরুরী। তাহলে আসুন ধারাবাহিকভাবে এসকল বিষয় এ অবগত হওয়া যাক। 

মুক্তপাঠ রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

আপনার যদি মুক্তপাঠ ওয়েবসাইটে কোন কোর্স কমপ্লিটের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা না থাকে বা আপনি যদি কখনো রেজিস্ট্রেশন না করে থাকেন সে পর্যায়ে কিভাবে মুক্তপাঠে রেজিস্ট্রেশন করবেন সেটা বুঝতে মুক্তপাঠ রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন। কেননা এ পর্যায়ে আমরা আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে মুক্ত পাঠে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হয়। 

প্রথম ধাপে: গুগল ক্রোম ভাউচারে একটি নিউ ট্যাব নিন।

দ্বিতীয় ধাপে: সার্চ করুন মুক্তপাঠ অথবা muktopaath লিখে।

তৃতীয় ধাপে: ভিজিট করুন মুক্তপাঠ এর অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে। আপনি চাইলে সরাসরি muktopaath.gov.bd এই লিংকেও ভিজিট করতে পারেন। 

চতুর্থ ধাপে: ক্লিক করুন ডান পাশের লগইন অপশনে

পঞ্চম ধাপে: আবারো ক্লিক করুন “রেজিস্ট্রেশন করুন”লেখাটির ওপর

ষষ্ঠ ধাপে: আপনি যদি একজন লার্নার হিসেবে মুক্তপাঠ এ রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে লার্নার। অন্যদিকে ইন্সট্রাক্টর অথবা কন্ট্রিবিউটর হিসেবে যোগদান করতে চাইলে দ্বিতীয় অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। অন্যদিকে আপনি যদি পার্টনার হতে চান তাহলে সিলেক্ট করতে হবে তৃতীয় অপশনটি। অর্থাৎ মুক্তপাঠে আপনি লার্নার, ইন্সট্রাক্টর অথবা কন্ট্রিবিউটর সে সাথে পার্টনার এর যেকোনো একটিতে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তবে যেহেতু আজকের এই আলোচনায় আমরা একজন লার্নার হিসেবে সমস্ত বিষয় তুলে ধরছি তাই সিলেক্ট করুন লার্নার অপশনটি। 

সপ্তম ধাপে: আপনি আপনার নাম, পেশার ধরন সহ যাবতীয় ইনফরমেশন গুলো তুলে ধরুন। পরবর্তীতে ফ্রি রেজিস্ট্রেশনে ক্লিক করুন। 

মূলত এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মুক্তপাঠ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন সঠিক নিয়মে। এবার আসুন মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট আবেদন পত্র সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

লার্নার রেজিস্ট্রেশন

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট আবেদন

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট আবেদন পত্র পেতে হলে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট আবেদন করতে হবে। যেটা আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি। তবে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার পূর্বে একটা বিষয় মনে রাখবেন। আপনি যদি এই ওয়েবসাইটে কোন কোর্স ইতোমধ্যে কমপ্লিট করে থাকেন তাহলে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। আর যদি কোন কোর্স অসমাপ্ত থেকে যায় তাহলে আপনি সেটা দেখতে পারবেন এবং পুনরায় ওই কোর্সটিক সম্পন্ন করতে পারবেন।

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট আবেদন পত্রটি সংগ্রহের জন্য সরাসরি আপনি মুক্তপাঠীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। কেননা সেখানে ভিজিট করার পরবর্তীতে খুব স্পষ্টভাবে সকল অপশান আপনার সামনে তুলে ধরা হবে যেগুলো দেখে আপনি খুব সহজেই মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন, মুক্তপাঠে লার্নার বা কনস্ট্রিবিউটর হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন, সেই সাথে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট চেক করতে পারবেন

হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল জানতে চান?

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট চেক করার নিয়ম

মুক্তপাঠ ওয়েবসাইটে মূলত ফ্রি কোর্স এবং পেইড কোর্স এর ব্যবস্থা রয়েছে। তবে আপনি মুক্তপাঠের সহযোগিতায় ফ্রি কোর্স করার সুযোগ পাবেন। যে কোর্সগুলো কমপ্লিট করে আপনি নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন সেই সাথে অনেক বিষয়ে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন। মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট যদি চেক করতে চান তাহলে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরী।

তবে তার আগে বলি, মুক্তপাঠের মূলত কোর্স এর বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি থেকে থাকে। আর তাই আপনি এই ওয়েবসাইট থেকে যে সকল বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন সেগুলো হলো:-

  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • দক্ষতা উন্নয়ন
  • ফ্রিল্যান্সিং
  • আত্ম কর্মসংস্থান
  • সাংবাদিকতা ইত্যাদি ইত্যাদি। 

আর এই প্রত্যেকটি ক্যাটাগরির কোর্সের রয়েছে তিনটি লেভেল। মানে আপনি লেভেল ওয়ান লেভেল টু এবং লেভেল থ্রি সম্পূর্ণ করার পরবর্তীতে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। তো আপনি যদি মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট চেক করতে চান তাহলে সরাসরি ভিজিট করুন– https://muktopaath.gov.bd/certificate/check লিংকে। 

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম

অনেক সময় সার্টিফিকেট সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে। আর তাই অনেকেই মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম কি এ সম্পর্কে অবগত হতে চান। তাই এ পর্যায়ে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম আমরা খুব সহজেই আপনাদেরকে জানাবো। 

দেখুন সার্টিফিকেটের মূলত সচরাচর বানান ভুল হয়ে থাকে। সেটা হতে পারে আপনার নামের বানান অথবা ঠিকানা বা কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের। আর তাই অনেকেই মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট পুনরায় সংশোধন করতে চান। কেউ কেউ প্রশ্ন করেন মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট এ নাম আসে নাই অথবা নামের বানান ভুল এসেছে তাই কিভাবে সংশোধন করতে পারি?

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সংশোধন করার কোন কি উপায় রয়েছে? মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কি বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়? এই উত্তরটি পেতে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম জেনে নিন। মূলত ধারাবাহিকভাবে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট পুনরুত্থান বা সংশোধন করতে পারবেন।

  • প্রথমত: ভিজিট করুন muktopaath.gov.bd ওয়েবসাইট।
  • দ্বিতীয়ত: মুক্ত পাঠ ওয়েব সাইটে গিয়ে লগইন অপশনে ক্লিক করুন।
  • তৃতীয়ত: আপনার সামনে শো করানো প্রথম কলামে লিখুন আপনার ফোন নম্বর অথবা ইমেইল
  • চতুর্থত: পাসওয়ার্ড সঠিক ভাবে লিখুন পরবর্তীতে লগইন অপশনে ক্লিক করুন। 
  • পঞ্চমত: লগ ইন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ডান পাশের মেনু অপশন এ ক্লিক করুন
  • ষষ্ঠমত: মেনু থেকে সার্টিফিকেট অপশনটি খুঁজে বের করে ক্লিক করুন সার্টিফিকেট অপশনটিতে
  • সপ্তমত: সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার পূর্বে পুনরায় যাচাই করুন এবং ভুল ত্রুটি থাকলে তা সঠিক করুন। এরপর সেভ হওয়ার পরবর্তীতে আবারও সার্টিফিকেট দাবি করুন এবং ক্লিক করুন ডাউনলোড অপশন এ।

ব্যাস তাহলেই আপনি মুক্তি পাঠ সার্টিফিকেট সংশোধনের কাজটি সমাপ্ত করতে পারবেন। আবার অনেকেই জানতে চান মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট অনুমোদনের জন্য কতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এটা মূলত কোর্স এর ওপর নির্ভর করে। কেন না কোর্স ভেদে বিভিন্ন কোর্সের সার্টিফিকেট এর জন্য বিভিন্ন সময় নির্ধারণ করা হয়। তাই আপনি কেমন কোর্স করছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনাকে সার্টিফিকেট অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তো পার্থক বন্ধুরা, মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জেনেছি। কিন্তু কথা হচ্ছে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট আসলে কি কাজে লাগে, মুক্তপাঠ থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে আমরা মূলত সেটা কি কাজে লাগাতে পারব? আসুন আলোচনার শেষ পর্যায়ে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেটের কার্যাবলী সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক। আর হ্যাঁ যদি আপনি এখনো পর্যন্ত মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়ম না বুঝতে পারেন তাহলে পুনরায় আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।

কেননা আমরা মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম, মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম এবং মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়মসমূহ খুব সহজ ও সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

মুক্তপাঠ অনলাইন কোর্স সম্পর্কে A To Z ( মুক্তপাঠ সকল কোর্স )

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট কি কাজে লাগে?

মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট আমাদের বেশ প্রয়োজনীয় কাজে অবদান রাখে। আপনি যদি মুক্তপাঠ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করেন তাহলে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেটের কার্যক্ষমতা বা কার্যকারিতা ইতিমধ্যে বুঝে ফেলবেন। কেননা আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি মুক্তপাঠের কোর্স সম্পূর্ণ করার পর সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, আর ওই সার্টিফিকেট কোর্স প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠানের অথরাইজড সার্টিফিকেট হয়ে থাকে। সুতরাং অবশ্যই সার্টিফিকেটের মূল্য রয়েছে। তাছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে মুক্ত পাঠের নির্দিষ্ট কিছু কোর্সের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

তবে এ পর্যায়ে আমরা মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট এর কিছু কার্যকারিতা তুলে ধরব। যথা:-

  • মুক্তপাঠ এর কোর্স শেষে যখন একটা সার্টিফিকেট অর্জন করা হয় তখন আমাদের প্রাপ্তির খাতায় নতুন একটা অভিজ্ঞতা বা নতুন একটা সার্টিফিকেট যুক্ত হয়, যেটা আমাদের জ্ঞানের পরিসীমা কে কিছুটা হলেও বৃদ্ধি করে। 
  • চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট আপনি সিভিতে যোগ করতে পারবেন যেটা এক্সট্রা কারিকুলাম সেক্টরে যুক্ত হবে। আর তাছাড়াও মুক্ত পাঠিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কথা আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি। তাই বুঝতেই পারছেন এটা চাকরির ক্ষেত্রে আপনার জন্য কতটা সহায় হোক ভূমিকা পালন করবে। 
  • পাশাপাশি বিভিন্ন ইন্টারভিউ এ যখন আপনার স্ক্রিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে তখন আপনি মুক্তপাঠ কোর্স সম্পূর্ণ কথা তাদেরকে জানাতে পারবেন অথবা মুক্তপাঠ সার্টিফিকেটটি প্রমাণস্বরূপ দেখাতেও পারবেন। তাই চাকরির ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রেও মূলত এই সার্টিফিকেটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
  • এছাড়াও আপনি যখন বাইরের দেশে পড়াশোনা করতে যাবেন তখন পড়াশোনার জন্য আবেদন পত্র পাঠানোর পাশাপাশি আপনি এই মুক্তপাঠ সার্টিফিকেটও পাঠাতে পারেন, যেটা আপনার একটা আলাদা ভ্যালু হিসেবে যুক্ত হবে। 

তো পাঠক বন্ধুরা, এই বিষয়গুলোর সম্পর্কে জানার পর আশা করছি আপনাদের কাছে মুক্তপাঠ সার্টিফিকেট সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। তবুও প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানান।

আর হ্যাঁ আপনি যদি মুক্তপাঠ কে নিজের শিক্ষার জন্য ব্যবহার করতে চান তাহলে লার্নার হিসেবে যোগ হবেন আর যদি আপনি নিজেকে একজন শিক্ষক মনে করেন এবং কাউকে কোন কিছু শেখাতে চান তাহলে কনস্ট্রিবিউটর অথবা পার্টনার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন মুক্তপাঠ ওয়েবসাইটে।

তাই দেরি না করে এখনই ভিজিট করুন মুক্তপাঠ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং লার্নার হিসেবে যোগদান করতে চাইলে টিউটোরিয়াল অপশনে ক্লিক করুন অন্যদিকে কনস্ট্রিবিউটর বা পার্টনার হিসেবে যোগ হতে চাইলে শেখাতে চাই অপশনটিতে ক্লিক করে এখনই রেজিস্ট্রেশন কার্যপ্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Similar Posts