দুদক কনস্টেবল এর কাজ কি? দুদক কনস্টেবল সম্পর্কে A টু Z
দুদক কনস্টেবল এর কাজ কি, এ সম্পর্কে অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কেননা দুদক কনস্টেবল একটি জনপ্রিয় পদের নাম। যে পদটিতে মাঝেমধ্যে বিশাল সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। ঠিক এ কারণেই আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে ধারাবাহিকভাবে আজকে আলোচনা করতে চলেছি– দুদক কনস্টেবল এর কাজ কি, দুদক কনস্টেবল চাকরির যোগ্যতা, দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং বেতন ভাতা ও পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয়াবলী সম্পর্কে।
তাহলে আসুন আজকের এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে দুদক কনস্টেবল পদ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক এ টু জেড। আর হ্যাঁ, আলোচনার শেষ পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন এ কনস্টেবল নামক পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও তার সমাধান। তাই ধারণা পাওয়ার জন্য নিজের অংশটুকু এক নজরে দেখে নিতে পারেন। পাশাপাশি আরও করতে পারেন– কাস্টমস সিপাই এর কাজ কি এ সম্পর্কিত আরো একটি আর্টিকেল।
দুদক কনস্টেবল কি?
দুদক কনস্টেবল হচ্ছে একটি পদের নাম, যে পদে হরহামেশাই বিশাল সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। মূলত বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন এ মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করে থাকে তাদেরকে বলা হয় দুদক কনস্টেবল।
দুদক কনস্টেবল এর কাজ কি?
দুদক কনস্টেবল এর কাজ হলো — নির্দিষ্ট কোন তদন্ত, নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির উপরে তদন্ত অথবা নির্দিষ্ট অভিযোগের উপর তদন্ত এর একটি প্রাথমিক সেল তৈরি করা।
আরেকটু ভিন্ন ভাবে বললে বলা যায়– বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন আইন প্রশাসন ও বিচার ট্রাইবুনাল দুদক কনস্টেবল হলো, এমন একটি পদসংখ্যা যার কর্মক্ষেত্র দুর্নীতি দমন ও বিচার মামলা সংক্রান্ত হয়ে থাকে। মূলত এই পদে নিয়োজিত কর্মীদের যে কাজগুলো সচরাচর সম্পাদন করার প্রয়োজন পড়ে সেগুলো নিচের পয়েন্টগুলোতে উল্লেখ্য —
✓ নাগরিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন: দুদক কনস্টেবল একটি দুর্নীতি দমন কর্মক্ষেত্রে কাজ করে, যেখানে দুর্নীতির অভিযোগ গ্রহণ করে এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ন্যায্য ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব পালন করে। ।
✓ বিচার মামলা সংক্রান্ত সাহায্য: দুদক কনস্টেবল বিচার মামলা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে এবং মামলা প্রস্তুত করে, যাতে সেই মামলা আইন সামগ্রীতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া উপস্থাপন করা যায় এবং সত্যতা প্রকাশ পায়।
✓কোর্টে শাস্তি প্রদান: মামলা আইন সামগ্রীতে প্রক্রিয়া চলাচলের সময়ে বা মামলা সৃষ্টির সময়ে যদি কেউ কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করে তাহলে তাদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে জোর আরোপ করে একজন দুদক কনস্টেবল। অর্থাৎ সুশৃঙ্খলা বজায়করণে দুদক কনস্টেবলরা সদা নিয়োজিত থাকে।
✓ পুলিশ ব্যবস্থাপনা: দুদক কনস্টেবল পুলিশ সংস্থার একটি অংশ এবং পুলিশ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজ সম্পাদন করে থাকে। অতএ ব দুর্নীতি দমন এবং বিচার মামলা সংক্রান্ত সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতার জন্য যে সকল কার্যাবলী সম্পাদন করার প্রয়োজন সেই সবকিছুই হলো দুদক কনস্টেবল এর কাজ এর অন্তর্ভুক্ত।
দুদক কনস্টেবল এর দায়িত্ব ও কর্তব্য
একজন দুদক কনস্টেবল এর অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে– তদন্তের শেষ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ে যে সকল কার্যাবলী সম্পাদন করার প্রয়োজন সেই সবকিছু সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করা। মূলত যে অভিযোগগুলো জমা হয়ে থাকে সেই অভিযোগগুলোকে সামনে নিয়ে আসা এবং সেগুলোর সত্যতা যাচাই করার জন্য মাঠ পর্যায়ে যে কাজগুলো করতে হয় সেই কাজগুলো সঠিকভাবে দায়িত্বের সঙ্গে করাটাই একজন দুদক কনস্টেবলের অন্যতম কর্তব্য।
সত্যি বলতে– দুদক কনস্টেবলের দায়িত্ব ও কর্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জনগণের সুরক্ষা ও সুবিধার জন্য তা সমর্থনযোগ্য। আপনি যদি একটু চিন্তা করেন তাহলে দুদক কনস্টেবল এর কাজের উপর নির্ভর করে খুব সহজেই এটা বলতে পারবেন, দুদক কনস্টেবলের প্রধান দায়িত্ব হলো দুদক জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা, অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ করা এবং সামাজিক আমান্য ঘটনার প্রতি সচেতন থাকা।
সেই সাথে তাদের কর্তব্য হলো – তাদের ক্ষেত্রে স্থানীয় আইন এবং বিধি নিয়ন্ত্রণ করা, গুনাগুন সাক্ষরতা প্রশাসন করা, দুদক কর্মসূচী পরিচালনা করা, দুদক অবস্থানে নিরিক্ষণ করা এবং দুদক প্রতি জনগণের সচেতনতা বাড়াতে নতুনত্ব পরিকল্পনা করা সহজ প্রভৃতি। পাশাপাশি একজন দুদক কনস্টেবলকে আরো বেশ কিছু কাজে করতে হতে পারে। যেমন —
- দুদক সম্পদের নিরিক্ষণ,
- মানবাধিকার সংরক্ষণ,
- যৌন শক্তি এবং নারী ও শিশু সুরক্ষা,
- সামাজিক সেবা প্রদান,
- প্রতিরোধাবলী কর্মসূচীগুলি চালানো এবং
- অন্যান্য জনগণের সাথে সম্প্রদান স্থাপন করা সহ-প্রভৃতি।
এক কথায় – দেশের সম্পদ ও জীবন সুরক্ষা এবং জনগণের সাথে সম্প্রদান এবং সচেতনতা বাড়াতে যে কাজগুলো করার প্রয়োজন পড়ে সেগুলো সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদন করাই হচ্ছে দুদকের অন্যতম দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এবার আসুন জেনে নেই– দুদকে চাকরির যোগ্যতা কি কি এবং আবেদনের জন্য বয়সসীমা কত সেসাথে প্রয়োজনীয় আরো কিছু বিষয়গুলি সম্পর্কে। ।
দুদকে চাকরির যোগ্যতা | দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের যোগ্যতা
দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীকে অবশ্যই এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি শারীরিক যোগ্যতা থাকারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এই পদে আবেদনের জন্য। আপনি যদি একজন পুরুষপ্রার্থী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য উচ্চতা থাকতে হবে ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি এবং ওজন হতে হবে উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অন্যদিকে আপনি যদি দুদক কনস্টেবল পদে মহিলা পার্থী হিসেবে নিযুক্ত হতে চান সেক্ষেত্রে আপনার উচ্চতা হতে হবে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি এবং উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওজন হতে হবে। সেই সাথে দৃষ্টিশক্তি থাকতে হবে ৬/৬। আর হ্যাঁ, আরেকটি কথা হচ্ছে– আপনি যদি এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরবর্তীতে পড়াশোনা চালিয়ে যান অর্থাৎ অনার্সে পড়ছেন বা অনার্স কমপ্লিট করে ফেলছেন সেক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে একটা আপনার প্লাস পয়েন্ট হিসেবে যুক্ত হবে।
ঠিক এ কারণে আপনি বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পেতেও পারেন এমনকি পদোন্নতির সুযোগ থাকলে সেটাও অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে এক্ষেত্রে। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য একজন প্রার্থীর বয়সসীমা কত মধ্যে কত থাকা বাঞ্ছনীয়!
দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের বয়স
দুদক কনস্টেবলে নিযুক্ত হওয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। কেননা এই পদের জন্য আবেদনের বয়সের যোগ্যতায় সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
তো আপনার বয়স যদি আঠারো ও ত্রিশ এর গণ্ডি পেরিয়ে না যায় তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনি দুদক কনস্টেবল হয়ে গিয়েছেন যদি আপনার অন্যান্য যোগ্যতাগুলো থেকে থাকে। তবে হ্যাঁ, দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের যোগ্যতা এবং বয়সসীমা না হয় জানা হলো। কিন্তু এখন কথা হল আপনি যদি দুদক কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করতে চান তাহলে উক্ত পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করবেন কিভাবে? আসুন আলোচনার এ পর্যায়ে দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের নিয়মাবলী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের নিয়ম
দুদক কনস্টেবল অর্থাৎ দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল পদে নিয়োগের নিয়ম একদমই সহজ একটি পদ্ধতি। কেননা আপনি ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে কারো কোনরকম সাহায্য ছাড়া নিজে নিজেই আবেদন করতে পারবেন এই পদে।
তবে হ্যাঁ শুধুমাত্র দুদক কনস্টেবল পদে নয়, মূলত যে সকল চাকরির সার্কুলারে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনের কথা উল্লেখ থাকে সেই সকল চাকরির সার্কুলারের যে কোন পদে আবেদনের জন্য আপনি এই একই পদ্ধতি ফলো করতে পারবেন।
এর জন্য আপনার হাতে রয়েছে দুইটি মাধ্যম– একটি হচ্ছে মোবাইল এসএমএস অন্যটি হচ্ছে ওয়েবসাইট। মূলত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে চাকরির আবেদন করা অত্যন্ত সহজ। এর জন্য প্রথমত আপনাকে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
মানে আপনি যদি দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল নিয়োগ ২০২৩ এ আবেদন করতে চান তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রথমত ভিজিট করতে হবে এরপর আবেদন করুন অপশনে গিয়ে সকল ইনফরমেশন সঠিকভাবে পূরণ করার মাধ্যমে সাবমিট করতে হবে। পরবর্তীতে সার্কুলারের যে আবেদন ফ্রি প্রদানের কথা উল্লেখ রয়েছে সেটা পে করতে হবে।
ব্যাস হয়ে যাবে দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল পদে আবেদন কার্য। তবে আপনি যদি এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন এবং অফলাইনে চাকরির আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কিত একটি আর্টিকেল পড়তে পারেন।
দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হিসেবে যেগুলো আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে সেগুলো হলো–
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- জাতীয় নিবন্ধন পত্রের ফটোকপি
- শারীরিক ফিটনেস এর সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের ফটোকপি
- চারিত্রিক সনদপত্র
- জেলা উপজেলা চেয়ারম্যান এর স্বাক্ষরকৃত নিবন্ধন পত্র ইত্যাদি ইত্যাদি।
যেগুলো সচরাচর সার্কুলার এ উল্লেখ থাকে। আর হ্যাঁ, ইতিমধ্যে আমরা উল্লেখ করেছি দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল পদে এইচএসসি পাসে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো মাধ্যমিক বা সম্মানের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হলেও যোগদান দেওয়া হয় প্রার্থীর অন্যান্য যোগ্যতার উপর নির্ভর করে।
তাই আপনি যদি এসএসসি পাশের পরবর্তী সময়ে দুদক কনস্টেবল হিসেবে চাকরি করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো অনুসরণ করুন। অতঃপর যে বিজ্ঞপ্তিতে এসএসসি পাশে আবেদনের কথা উল্লেখ রয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তি ভালোভাবে পড়ে সকল প্রকার নিয়ম কানুন মেনে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আবেদন কার্য সম্পন্ন করুন।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক– দুদক কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার সম্পর্কে কিছু তথ্য। যেগুলো সম্পর্কে জানলে আপনার অনেকটাই উপকার হবে। আর হ্যাঁ, এর পাশাপাশি আপনি চাইলে নতুন চাকরি খোঁজার টিপস ও বাছাইকৃত সর্বোত্তম উপায় সম্পর্কে আরও একটি আর্টিকেল পড়তে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।
দুদক কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা
এটা আমরা সবাই কমবেশি জানি প্রায় প্রত্যেকটি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুদক কনস্টেবল লিখিত পরীক্ষায় মূলত mcq প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এর জন্য মোট 70 নম্বর বরাদ্দ রয়েছে অন্যদিকে 30 নম্বর রয়েছে মৌখিক পরীক্ষার জন্য।
আর আপনি যদি দুদক কনস্টেবল লিখিত পরীক্ষায় ভালো ফলাফল আশা করেন তাহলে বাংলা ইংরেজি সাধারণ জ্ঞান এবং গণিত এই সকল বিষয়ে খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের ওয়েবসাইটে বাংলায় ভালো করার উপায়, চাকরির পরীক্ষায় গণিতে ভালো করার উপায় এবং চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায় সেইসাথে সাধারণ জ্ঞানমূলক নানা রকমের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে ইতোমধ্যে।
তাই আপনি চাইলে দুদক কনস্টেবল পদে যোগদানের পরবর্তীতে পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিতে আমাদের ইনস্ট্রাকশন গুলো ফলো করতে পারেন। আর হ্যাঁ, পাশাপাশি ভাইভা পরীক্ষাতে অর্থাৎ মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করার উপায় সমূহ জেনে নিতে পারেন।
দুদক কনস্টেবল পদে ট্রেনিং এর সময়সীমা
দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের পরবর্তীতে আপনি যদি লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় সিলেক্টেড হয়ে যান পরবর্তীতে একই ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। আর এই ট্রেনিং এর সময়সীমা মোটামুটি চার থেকে ছয় মাস মেয়াদী।
দুদক কনস্টেবল পদের পদোন্নতি
মূলত একজন দুদক কনস্টেবল হিসেবে চার থেকে পাঁচ বছর কাজ করার পরবর্তীতে পদোন্নতির সুযোগ গ্রহণের ব্যবস্থাপনা রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন এর এই পদে নিয়োজিত কর্মীদের। তাই আপনি যদি চার থেকে পাঁচ বছর একজন দুদক কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত থাকেন পরবর্তীতে প্রমোশন হিসেবে কোর্ট পরিদর্শক পদে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। এবার আসুন আলোচনার এ পর্যায়ে দুদক কনস্টেবল এর বেতন ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কি কি রয়েছে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক
দুদক কনস্টেবল এর বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
দুধ কনস্টেবল পদে কর্মরত ব্যক্তিরা সর্বনিম্ন ৯০০০ থেকে শুরু করে ২১৮০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতন পেয়ে থাকে। এটা মূলত ১৭ গ্রেড এর একটি চাকরি। এছাড়াও বেতন ভাতার পাশাপাশি অন্যান্য আরো বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন ঝুঁকি ভাতা, রেশনের সুবিধা চিকিৎসা ভাতা সহ প্রভৃতি।
দুদক কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস
দুর্নীতি দমন কমিশনে দুদক কনস্টেবল হিসেবে যোগদানের জন্য নিয়োগ পরীক্ষায় টিকতে চাইলে অবশ্যই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। দুদক কনস্টেবল প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সিলেবাস হিসেবে কমপ্লিট করবেন–
- বাংলা ব্যাকরণ – গদ্য ও পদ্যাংশ
- ইংরেজি গ্রামার, Question from comprehension, Word substitution, Spelling, Sentence meaning, Rearrange এবং Sentence correction, Phrase and Idioms, Subject-verb agreement, Synonyms-Antonyms অংশগুলো।
- গণিত অংশে Unitary method (ঐকিক নিয়ম), Fraction and Decimal (ভগ্নাংশ ও দশমিক), Pipes cistern (নল ও চৌবাচ্চা), Boat and Stream (নৌকা-স্রোত), Time-distance-speed (সময়-দূরত্ব-গতিবেগ), Series (ধারা), Percentage (শতকরা), Profit and Loss (লাভ–ক্ষতি), Ratio-Proportion (অনুপাত-সমানুপাত), Age (বয়স), Eqution (সমীকরণ), Mensuration (পরিমিতি) অংশ সমূহ এবং
- সাধারণ জ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান ও কম্পিউটার সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়াবলী।
আর হ্যাঁ, আলোচনার এই পর্যায়ে আমরা বিগত সালের দুদক কনস্টেবল প্রশ্ন এবং তার সমাধান তুলে ধরছি। যেগুলো থেকে আপনি অনেকটাই ধারণা নিতে পারবেন।
আরও দেখুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কী ? ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ? ফ্রিল্যান্সিং এর A টু Z.
দুদক কনস্টেবল সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও তার সমাধান
১. দুদক কি ধরনের প্রতিষ্ঠান
উত্তর–দুদক দুর্নীতি দমনকারী একটি প্রতিষ্ঠান। যাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য দুর্নীতি দমন নিয়ন্ত্রণে আনা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ করা।
২. দুদক কি সরকারি চাকরি?
উত্তর–হ্যাঁ দুদক কনস্টেবল বা দুদক এর অন্যান্য সকল পদের চাকরি রত প্রার্থীরা সরকারি চাকরিজীবী এবং দুদক সরকারি চাকরি।
৩. দুদক কনস্টেবল ড্রেস/দুদক কনস্টেবল ছবি
উত্তর–দুদক কনস্টেবল এর ড্রেস নিম্নোক্ত-
৪. দুদক কনস্টেবল এর পোশাক কি রকম?
উত্তর–দুদক কনস্টেবল এর পোশাক সাদা এবং গারো নীল রঙের। যা আমরা ইতোমধ্যে ছবি হিসেবে সাজেস্ট করেছি।
৫. দুর্নীতি দমন কমিশনের পরীক্ষা কোথায় হয়?
উত্তর– ঢাকায়।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, দুদক কনস্টেবল এর কাজ কি এবং দুদক সম্পর্কিত সকল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনার ইতি টানছি আজ এখানেই। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।