বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে A টু Z
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে A টু Z জানতে ইচ্ছুক, পাঠক বন্ধুদের জানাই আমাদের আজকের আলোচনা পর্বে স্বাগতম। কেননা আজ আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চলেছি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কিত সকল প্রশ্নোত্তর।
আর তাছাড়াও, সেনাবাহিনীর চাকরি আমাদের দেশের যুবকের কাছে স্বপ্নের মত। অনেকেরই ইচ্ছা সেনাবাহিনীতে চাকরি করে গড়ে তুলবে নিজের এক সুন্দর ক্যারিয়ার।। আর তাই আজ আমরা সেনাবাহিনী সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক অতি সংক্ষেপে জানানোর চেষ্টা করছি। তাহলে আসুন— বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে জানা অজানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আলোকপাত করা যাক।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর স্থল শাখা। সেই সাথে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্ববৃহৎ শাখা এটি, যাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অখন্ডতা রক্ষাসহ সব ধরনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবরাহ করা।
মূলত ইতিহাস থেকে জানা যায়– বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের এই দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর গঠিত হয় অর্থাৎ ১৯৭১ সাল নাগাদ। আর সেই সময় থেকেই এই বাহিনীর মূল উদ্দেশ্য দেশের সুরক্ষা ও সার্বিক উন্নতির জন্য কাজ করা।
তবে হ্যাঁ, সেনাবাহিনীর প্রারম্ভিক ইতিহাস রয়েছে। এর গঠনে বা যাত্রাপথে রয়েছে এক একটি পর্ব। তবে পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্ম হয়। জানা যায় ১৯৭০ সালের নির্বাচনে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। কিন্তু সে সময় ক্ষমতায় থাকা, সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায়।
যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে শুরু হয় চরমহত্যাযজ্ঞ, যা অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিচিত। ঠিক সেই সময় বেসামরিক জনগণ মিলে গড়ে ওঠে মুক্তিবাহিনী। তখন ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৭ জুলাই সেক্টর কমান্ডারস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই কনফারেন্সে বাংলাদেশ বাহিনীর কমান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।
পরবর্তীতে ২১ নভেম্বর দীর্ঘ কয়েক মাস আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ বাহিনীর সামরিক সদস্যদের নিয়ে। আর এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিকাশ ধীরে ধীরে ঘটতে থাকে। অতঃপর দেশের ও নাগরিকের সুরক্ষা প্রদানে সচেষ্ট শপদে এগিয়ে চলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
যে বাহিনীর রয়েছে বিভিন্ন শাখা এবং বিভিন্ন উপ-শাখা। আমরা মূলত ধারাবাহিকভাবে সেনাবাহিনীর পদবীর সমূহ, সেনাবাহিনীর অর্থ এবং সেনাবাহিনীতে কত ধরনের বিভাগ রয়েছে তার সবটাই উল্লেখ করব আজকের এই আলোচনার মধ্য দিয়ে। তাই অবশ্যই এই আর্টিকেলটি স্কিপ না করে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ থাকলো। আর হ্যাঁ, আপনি চাইলে আরো পড়তে পারেন– মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান মূলক প্রশ্ন ও উত্তর এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য সম্পর্কিত এই আর্টিকেলটি।
সেনাবাহিনী অর্থ কি?
যেকোনো শব্দের অর্থ জানতে হলে প্রথমত শব্দগুলোকে বিভক্ত করতে হয় এবং শব্দগুলো দ্বারা আসলে কি বোঝাতে পারে সেগুলো আন্দাজ করতে হয় উক্ত বিষয়ের উপর কেন্দ্র করে। অনেকের প্রশ্ন সেনাবাহিনী অর্থ কি!
মূলত এ ব্যাপারে যদি বলা হয় তাহলে বলা যায় যে– “সেনাবাহিনী” বাংলা শব্দটি দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে এসেছে: তার একটি হচ্ছে “সেনা” এবং অন্যটি হচ্ছে “বাহিনী”।
আর এখানে “সেনা” শব্দটি বাংলায় “সামরিক বাহিনী” কে ইঙ্গিত করে, যা একটি দেশের সামরিক শক্তি বা আর্মি অথবা সৈন্যবাহিনী বোঝার জন্য ব্যবহৃত হয়। আর তাছাড়াও ইতিমধ্যে আমরা এটা উল্লেখ করেছি যে– সেনা বাহিনী দেশের রক্ষা, সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সম্পদের জন্য দায়িত্ব পালন করে।
অন্যদিকে “বাহিনী” শব্দটি বাংলায় “সম্প্রেষণের মাধ্যমে গঠিত সমাজিক বা সামরিক সংগঠন” কে বোঝায়। অতএব এটি সামরিক, পুলিশ, সীমান্ত রক্ষা, সহায়তা ইত্যাদির জন্য গঠিত যোগাযোগ সংগঠন সম্পর্কিত বাহিনীকে ইঙ্গিত করে।
পরিশেষে সবমিলিয়ে বলা যায়, “সেনাবাহিনী” একটি দেশের সামরিক বা রক্ষাবাহিনী বোঝার জন্য ব্যবহৃত শব্দ, মানে সেনাবাহিনী অর্থ সামরিক বাহিনী অথবা রক্ষা বাহিনী, যা সেনা বা সৈন্যবাহিনী এবং আর্মি সহ অন্যান্য সামরিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠন হয় এবং নিজেদের কার্যসম্পাদন করে থাকে।
সেনাবাহিনীর স্লোগান কি? সেনাবাহিনীর স্লোগান ইংরেজিতে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী। আর এই বাহিনীর রয়েছে একটি নির্দিষ্ট স্লোগান, যে স্লোগান নিয়ে সচরাচর বিভিন্ন ভাইভা পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়। এমনকি সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন চাকরির লিখিত পরীক্ষাতেও করা হয়ে থাকে সেনাবাহিনীর স্লোগান সম্পর্কে প্রশ্ন।
মূলত- এ বিষয়ে জানা গিয়েছে এই বাহিনীর স্লোগান হলো— “সময়ে আমরা, শান্তিতে আমরা, সর্বত্র আমরা দেশের তরে”।
অতএব ইংরেজিতে দাঁড়ায়— “We are in time, we are in peace, everywhere we are in the country” .
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান কে?
১৯৭২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত হাতেগোনা মাত্র ১৭ জন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে পদাধিকারী অর্জনকৃত অফিসার হচ্ছেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। যার মেয়াদকাল দুই বছর ৫১ দিন।
মূলত এর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে ১৯৭২ সালে দায়িত্ব পালন করেছেন মেজর জেনারেল কাজী মুহাম্মদ শফিউল্লাহ বীর উত্তম। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ২৫ শে আগস্ট থেকে দ্বিতীয়তঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তম।
এরপর মাত্র ৭০ দিন পর অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ০৩ রা নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম এবং তার কিছুদিন পর অর্থাৎ ওই একই মাসে ১৯৭৫ সালের ৭ ই নভেম্বর সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে পদ গ্রহণ করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তম।
এরপর দীর্ঘ দুই বছর ১৭২ দিন ক্ষমতায় থাকার পরবর্তীতে ২৯৭৮ সালের ২৯ এপ্রিল সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে ক্ষমতায় আসেন লেফটেন এন্ড জেনারেল হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ, অতঃপর ১৯৮৬ সালে আবারো নতুনভাবে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ আতিকুর রহমান।
পরবর্তীতে আবারো কেটে যায় তিন বছর ৩৬৪ দিন। অতঃপর ১৯৯০ সালের ৩১ শে আগস্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুরুদ্দিন খান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে অবস্থান করেন। এরপর ১৯৯৪ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু মোহাম্মদ নাসিম বীর বিক্রম জায়গা দখল করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে।
এরপর ক্ষমতায় আসেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান, সময়কাল ছিল ১৯৭৬ সালের ২৭ শে মে অতঃপর ১৯৯৭ সালের ২৪শে ডিসেম্বর সেই পদ নতুন ভাবে গ্রহণ করেন জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান বীরবিক্রম। আবারো দীর্ঘ দুই বছর ৩৬৫ দিন পরবর্তীতে ২০০০ সালের ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ নাগাদ লিস্টেন এন্ড জেনারেল এম হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে পদাধিকার প্রাপ্ত হন।
অতঃপর ২০০২ সালে ১৬ই জুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে পদাধিকার প্রাপ্ত হন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান মশহুদ চৌধুরী, এরপর ২০০৫ সালে ১৬ই জুন জেনারেল মহিন উদ্দিন আহমেদ এই একই পথ লাভ করেন। তিনি দীর্ঘ ৩ বছর ৩৬৪ দিন ক্ষমতায় থাকার পরবর্তীতে ২০০৯ সালে ১৬ জুন জেনারেল আব্দুল মুবিন নামক একজন সেনা কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
পরবর্তীতে ২০১২ সালে নতুন ভাবে এই পদ লাভ করেন জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ২৬ শে জুন প্রধান হিসেবে নতুন ভাবে পদ লাভ করেন জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।
এরপর ২০১৮ সালে ২৫ জুন তারিখে জেনারেল আজিজ আহমেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে অবস্থান করেন। অতঃপর ২০২১ সালের ২৪ শে জুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে পদাধিকার প্রাপ্ত হন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, যিনি বর্তমান সময়েও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান কর্মকর্তা।
নতুন সেনা প্রধানের নাম পদবী সহ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মূলত তিনটি ক্যাটাগরি রয়েছে। সেগুলো হলো–
- অফিসার
- জেসিও অর্থাৎ জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার
- নন-কমিশন অফিসার +অন্যান্য পদবী.
আর বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন সেনাপ্রধান হচ্ছেন এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, যার নাম আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি। ইনি হলেন ১৭ তম সেনাবাহিনীর প্রধান।
জন্ম ১৯৬৩ সালের পয়লা ডিসেম্বর অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী বর্তমান বয়স ৫৯ বছর। এই সেনাপ্রধানের জাতীয়তা বাংলাদেশী এবং তিনি খুলনা ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন। ওনার পদের নাম জেনারেল এবং ইউনিট ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট। তবে আপনি যদি নতুন সেনাপ্রধানের নাম পদবী সহ আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে উইকিপিডিয়া থেকে সম্পূর্ণ ডিটেইলস জেনে নিতে পারেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট কয়টি?
ইতিমধ্যে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছি। এখন ধারাবাহিকভাবে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু থেকে কিছু প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। অনেকের প্রশ্ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট কয়টি?
মূলত বাংলাদেশে হাতেগোনা মোট ৩২ টি সেনানিবাস রয়েছে। আর সেগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ঢাকা সেনানিবাস, যেখানে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর অবস্থিত। আপনি যদি সেনানিবাসের নাম জানতে চান তাহলে নিচের তালিকাটি লক্ষ্য করুন। যথা —
- ঢাকা সেনানিবাস
- দীঘিনালা সেনানিবাস, খাগড়াছড়ি
- হালিশহর সেনানিবাস, চট্টগ্রাম
- জাহানাবাদ সেনানিবাস, খুলনা
- জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাস, বগুড়া
- জালালাবাদ সেনানিবাস, সিলেট
- যমুনা সেনানিবাস, টাঙ্গাইল
- যশোর সেনানিবাস
- আলিকদম সেনানিবাস, বান্দরবান
- বান্দরবান সেনানিবাস
- মাঝিড়া সেনানিবাস, বগুড়া
- মিরপুর সেনানিবাস
- ময়মনসিংহ সেনানিবাস
- পদ্মা সেনানিবাস, মাদারীপুর
- পোস্তগোলা সেনানিবাস
- কাদিরাবাদ সেনানিবাস, নাটোর
- রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস, গাজীপুর
- রাজশাহী সেনানিবাস
- সাভার সেনানিবাস
- চট্টগ্রাম সেনানিবাস
- কুমিল্লা সেনানিবাস, কুমিল্লা
- কাপ্তাই সেনানিবাস, রাঙামাটি
- খাগড়াছড়ি সেনানিবাস
- খোলাহাটি সেনানিবাস, দিনাজপুর
- রামু সেনানিবাস, কক্সবাজার
- রাঙ্গামাটি সেনানিবাস
- রংপুর সেনানিবাস
- লালমনিরহাট সেনানিবাস
- সৈয়দপুর সেনানিবাস, নীলফামারী
- শহীদ সালাহউদ্দীন সেনানিবাস, ঘাটাইল
- শেখ হাসিনা সেনানিবাস, লেবুখালী,পটুয়াখালী
- বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ।
আর হ্যাঁ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যেমন ৩২ টি সেনানিবাস রয়েছে ঠিক একইভাবে রয়েছে বেশ কিছু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সমূহ। সেগুলো হলো—
- আর্মি স্কুল অফ ফিজিক্যাল ট্রেনিং অ্যান্ড স্পোর্টস (এএসপিটিএস), ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা
- আর্মি স্কুল অফ মিউজিক, চট্টগ্রাম সেনানিবাস, চট্টগ্রাম
- আর্মড ফোর্সেস মেডিকাল কলেজ (এএফএমসি), ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা
- আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, হালিশহর, চট্টগ্রাম
- স্কুল অফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স, ময়নামতি সেনানিবাস, কুমিল্লা
- ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি), মিরপুর সেনানিবাস ঢাকা
- মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি (এমআআইএসটি), মিরপুর সেনানিবাস, ঢাকা
- আর্মাড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল (এসিসি&এস), জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাস, বগুড়া
- ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অফ মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং, কাদিরাবাদ সেনানিবাস, নাটোর
- সিগনাল ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, যশোর সেনানিবাস, যশোর
- আর্মি সার্ভিস কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, জাহানাবাদ সেনানিবাস, খুলনা
- আর্মি মেডিকাল কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাস, ঘাটাইল, টাংগাইল
- অর্ডন্যান্স কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস, গাজীপুর
- বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট),রাজেন্দ্রপুরসেনানিবাস, গাজীপুর
- ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার, চট্টগ্রাম সেনানিবাস, চট্টগ্রাম
- বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ), ভাটিয়ারি, চট্টগ্রাম
- স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি এন্ড ট্যাকটিকস (এসআই&টি), জালালাবাদ সেনানিবাস , সিলেট.
- ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসি&এসসি), মিরপুর সেনানিবাস, ঢাকা।.
- ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, সৈয়দপুর সেনানিবাস, নীলফামারী
- কোর অফ মিলিটারি পুলিশ সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাস, ঘাটাইল, টাংগাইল
- আর্মি স্কুল অফ এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাস, ঘাটাইল, টাংগাইল
- বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার, রাজশাহী সেনানিবাস, রাজশাহীপ
- নন-কমিশন্ড অফিসারস একাডেমী, মাঝিরা সেনানিবাস, বগুড়া
- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি), মিরপুর সেনানিবাস, ঢাকা
- বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক শাখা কয়টি ও কি কি?
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক শাখা মোট তিনটি। সেগুলো হলো—
- যুদ্ধ শাখা
- যুদ্ধ সহায়ক শাখা এবং
- সেবা সংক্রান্ত শাখা
যুদ্ধ শাখা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক শাখা যুদ্ধ শাখার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে–
- সাঁজোয়া কোর
- গোলন্দাজ রেজিমেন্ট
- পদাতিক: ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট
- প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড
যুদ্ধ সহায়ক শাখা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক শাখা যুদ্ধ সহায়ক শাখার অন্তর্ভুক্ত হলো—
- সামরিক প্রকৌশল কোর
- সামরিক গোয়েন্দা
- সিগন্যাল কোর
- সেনা উড্ডয়ন বিভাগ
- আকাশ প্রতিরক্ষা গোলন্দাজ
সেবা সংক্রান্ত শাখা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক শাখা সেবা সংক্রান্ত শাখার অন্তর্ভুক্ত কোর অথবা বিভাগ গুলো হলো —
- সেনা শিক্ষা কোর
- আর্মি মেডিক্যাল কোর
- আর্মি ডেন্টাল কোর
- সশস্ত্র বাহিনী নার্সিং কোর
- সামরিক পুলিশ কোর
- আর্মি সার্ভিস কোর
- অর্ডন্যান্স কোর
- সেনা বাদক দল
- অশ্ব, গবাদিপশু পালন এবং খামার কোর
- প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কন্সটাবুলারি (সহায়ক আধা-সামরিক বাহিনী)
- তড়িৎ ও যন্ত্রপ্রকৌশল কোর
- সেনা করণিক কোর
- জাজ অ্যাডভোকেট জেনারেল বিভাগ
এবার আসুন জেনে নেই– বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংখ্যা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবী তালিকা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেতন এবং এর ওয়েবসাইট সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্তরবিন্যাসের তালিকা | বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সংখ্যা কত?
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার এর হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সেনা কর্মীর সংখ্যা আনুমানিক ১ লাখ ৭৫ হাজার। সেনাবাহিনীতে ট্যাংকের সংখ্যা মোটামুটি ২৮১ টি এবং সামরিক জান এর সংখ্যা ১৩ হাজার ১০০টি। তবে আপনি যদি এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
কেননা সময়ের সাথে সাথে সেনাবাহিনীর সংখ্যা কমবেশি হয়ে থাকে। জানি আমি তো আপডেট করা হয় তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। আর হ্যাঁ, আপনি যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্তরবিন্যাসের তালিকা জানতে চান তাহলে নিচের তালিকাটি অনুসরণ করুন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ড ও ফরমেশন লিস্ট-
সেনাবাহিনী সদরদপ্তর (ঢাকা সেনানিবাস)-
- আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ
- এডহক প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড
- ১৩ মিলিটারি পুলিশ ইউনিট
- আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট
- লজিস্টিক এরিয়া কমান্ড, ঢাকা
- ৬ স্বতন্ত্র এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেড (মিরপুর সেনানিবাস)
- ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার্স ব্রিগেড
- ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড
- ৮৬ স্বতন্ত্র সিগনাল ব্রিগেড
- স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন – পশ্চিম
- ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড
- ৩৬ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড (চট্টগ্রাম সেনানিবাস)
সাভার এরিয়া কমান্ড (সাভার সেনানিবাস)-
- ৯ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর
- ৯ গোলন্দাজ ব্রিগেড
- ৭১ পদাতিক ব্রিগেড
- ৮১ পদাতিক ব্রিগেড
- ৯৯ মিশ্র ব্রিগেড (পদ্মা সেনানিবাস)
ময়মনসিংহ এরিয়া কমান্ড (ময়মনসিংহ সেনানিবাস)-
- আর্মি ট্রেইনিং অ্যান্ড ডক্ট্রিন কমান্ড (আর্টডক) সদর দপ্তর
- ৪০৩ ব্যাটল গ্রুপ
- ১৫ স্বতন্ত্র সাজোয়া স্কোয়াড্রন
- ৩৪ স্বতন্ত্র ফিল্ড ব্যাটারি আর্টিলারি
- ৪৫ স্বতন্ত্র ফিল্ড কোম্পানি ইঞ্জিনিয়ার্স
- ৯৯ স্বতন্ত্র ডিভিশন সাপোর্ট কোম্পানি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
রংপুর এরিয়া কমান্ড (রংপুর সেনানিবাস)-
- ৬৬ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর
- ৬৬ গোলন্দাজ ব্রিগেড
- ১৬ পদাতিক ব্রিগেড
- ৭২ পদাতিক ব্রিগেড
- ২২২ পদাতিক ব্রিগেড (সৈয়দপুর সেনানিবাস)
যশোর এরিয়া কমান্ড (যশোর সেনানিবাস)-
- ৫৫ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর
- ৫৫ গোলন্দাজ ব্রিগেড
- ২৭ পদাতিক ব্রিগেড
- ৮৮ পদাতিক ব্রিগেড
- ১০৫ পদাতিক ব্রিগেড
- ৩৬ সাজোয়া ব্রিগেড
“‘বরিশাল এরিয়া কমান্ড (শেখ হাসিনা সেনানিবাস)”‘লেবুখালী,পটুয়াখালী-
- ৭ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর
- ৭ গোলন্দাজ ব্রিগেড
- ৬ পদাতিক ব্রিগেড
- ২৬ “হর্স” রেজিমেন্ট
- ৪২ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি
- ৫০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি
- ৬২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
- ১৫১ ফিল্ড ওয়ার্কশপ কোম্পানী
চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ড (চট্টগ্রাম সেনানিবাস)-
- ২৪ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর
- ২৪ আর্টিলারী ব্রিগেড (গুইমারা সেনানিবাস)
- ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড (বান্দরবান সেনানিবাস)
- ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড (খাগড়াছড়ি সেনানিবাস)
- ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড (রাঙামাটি সেনানিবাস)
কুমিল্লা এরিয়া কমান্ড (কুমিল্লা সেনানিবাস)-
- ৩৩ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর
- ৩৩ গোলন্দাজ ব্রিগেড
- ৪৪ পদাতিক ব্রিগেড
- ১০১ পদাতিক ব্রিগেড
কক্সবাজার এরিয়া কমান্ড (রামু সেনানিবাস)-
- ১০ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর
- ১০ গোলন্দাজ ব্রিগেড
- ২ পদাতিক ব্রিগেড
- ৬৫ পদাতিক ব্রিগেড
- ৯৭ পদাতিক ব্রিগেড
- ৬ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন
- ১৬ ক্যাভালরি সাজোয়া রেজিমেন্ট
- ৯ সিগনাল ব্যাটালিয়ন
সিলেট এরিয়া কমান্ড (সিলেট সেনানিবাস)-
- ১৭ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর
- ১৭ গোলন্দাজ ব্রিগেড
- ১১ পদাতিক ব্রিগেড
- ৫২ পদাতিক ব্রিগেড
- ৩০৬ পদাতিক ব্রিগেড
- ২১ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন
- ৮ সিগনাল ব্যাটালিয়ন
বগুড়া এরিয়া কমান্ড (মাঝিরা সেনানিবাস)-
- ১১ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর
- ১১ গোলন্দাজ ব্রিগেড
- ৯৩ সাজোয়া ব্রিগেড
- ১১১ পদাতিক ব্রিগেড
চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ড (চট্টগ্রাম সেনানিবাস)-
- ২৪ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর
- ২৪ আর্টিলারী ব্রিগেড (গুইমারা সেনানিবাস)
- ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড (বান্দরবান সেনানিবাস)
- ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড (খাগড়াছড়ি সেনানিবাস)
- ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড (রাঙামাটি সেনানিবাস)
ঘাটাইল এরিয়া কমান্ড (শহীদ সালাউদ্দীন সেনানিবাস)-
- ১৯ পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তর
- ১৯ গোলন্দাজ ব্রিগেড
- ৭৭ পদাতিক ব্রিগেড (ময়মনসিংহ সেনানিবাস)
- ৩০৯ পদাতিক ব্রিগেড
- ৯৮ মিশ্র ব্রিগেড (যমুনা সেনানিবাস)
- ৭ হর্স সাজোয়া রেজিমেন্ট
সেনাবাহিনী পদবী তালিকা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবী এবং পদক্রম সম্পর্কে জানারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর তাই এ পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিনটি পদক্রম এর ডিফেন্স অফিসার রেঙ্ক গ্রেড, সেনাবাহিনীর পদবী পদবী চিহ্ন সমূহ এবং মোটর গাড়িতে স্টারপ্লেট ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। এর জন্য নিচের ইমেজগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। সেই সাথে আপনি যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে– আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আরো জেনে নিন কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না এবং সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড সম্পর্কে আরো বিস্তারিত।
আশা করি ইমেজটি পড়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবী এবং পদক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করতে পারছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওয়েবসাইট
দেখুন এটা আমাদের প্রায় সকলেরই কম বেশি জানা রয়েছে যে– বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের একটি নিজস্ব অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে থাকে। আর সেই সকল ওয়েবসাইটে উক্ত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সমস্ত আপডেট জানানো হয়।
আপনি যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্পর্কে সমস্ত বৃত্তান্ত জানতে চান অথবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কেও খবরাখবর পেতে চান তাহলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে প্রথমত একটি গুগল ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করতে হবে এবং সেখানে লিখতে হবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অথবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট লিখে। পরবর্তীতে আপনি উক্ত ওয়েবসাইটটি সংগ্রহ করতে পারবেন অতি সহজেই। প্রথম অথবা দ্বিতীয় নম্বরে সাজেস্ট করা হবে আপনাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
তবে হ্যাঁ আপনি চাইলে সরাসরি আমাদের দেওয়া লিংকে ভিজিট করার মাধ্যমেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক– www.army.mil.bd.
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অস্ত্র সমূহ | বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরঞ্জামের তালিকা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে রয়েছে বিভিন্ন অস্ত্রসমূহ। আর আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেই সকল অস্ত্র অর্থাৎ সরঞ্জামের তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চলেছি। যথা —
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পিস্তলসমূহের তালিকা:
পিস্তলের নাম এবং ধরণ | তৈরিকারী দেশ |
ব্রাউনিং হাই পাওয়ার | বেলজিয়াম |
গ্লক ১৭ | অস্ট্রিয়া |
গ্লক ১৯ | অস্ট্রিয়া |
হেকলার এন্ড কক পি৭ এম৮ | জার্মানি |
সিগ সাউয়ার পি-২২৬ | জার্মানি |
সিগ সাউয়ার পি-২২৮ | সুইজারল্যান্ড + জার্মানি |
সিগ সাউয়ার পি২২৯ | সুইজারল্যান্ড + জার্মানি |
বেরসা থান্ডার ৯ প্রো [৯×১৯মিমি প্যারাবেলাম] | আর্জেন্টিনা |
সিজেদ-৭৫ | চেক প্রজাতন্ত্র |
টাইপ ৯২ | গণচীন |
ওয়ালথার পিপিকে [৭.৬৫×১৭মিমি,ব্রাউনিং এস আর (০.৩২এস সি পি)] | জার্মানি |
গ্লক ২৩ [০.৪০এস অ্যান্ড ডাব্লিউ] | অস্ট্রিয়া |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্নাইপার রাইফেলের তালিকা:
নাম ও বিবরণ | তৈরিকারী দেশ |
অ্যাকুরেসি ইন্টারন্যাশনাল আর্কটিক ওয়ারফেয়ার | যুক্তরাজ্য |
হ্যাকলার এবং কোচ এমএসজি ৯০ | জার্মানি |
এম২৪ স্নাইপার ওয়েপন সিস্টেম | যুক্তরাষ্ট্র |
এসআর -২৫ | যুক্তরাষ্ট্র |
এসসি-৭৬ থান্ডারবোল্ট | যুক্তরাজ্য |
অ্যাকুরেসি ইন্টারন্যাশনাল এডব্লিউএম | যুক্তরাজ্য |
টাইপ-৮৫ | গণচীন |
পিএসএল | রোমানিয়া |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাসল্ট রাইফেলের তালিকাঃ
অ্যাসল্ট রাইফেলের নাম এবং সাইজ | তৈরিকারী দেশ |
পিস্তল মিত্রালিয়েরা মডেল ১৯৬৩ [৭.৬২×৩৯ মিমি] | রোমানিয়া |
টাইপ ৫৬ [৭.৬২×৩৯ মিমি] | বাংলাদেশ |
বিডি-০৮ [৭.৬২×৩৯ মিমি] | বাংলাদেশ |
এম ১৬ এ৪ [৫.৫৬×৪৫ মিমি ন্যাটো] | যুক্তরাষ্ট্র |
স্ট্রয়ার আগ [৫.৫৬×৪৫ মিমি ন্যাটো] | অষ্ট্রিয়া |
পিনদাদ এস এস ২ [৫.৫৬×৪৫ মিমি ন্যাটো] | ইন্দোনেশিয়া |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যান্টি ম্যাটারিয়াল রাইফেলের তালিকাঃ
অ্যান্টি ম্যাটারিয়াল রাইফেলের বিবরণ | তৈরিকারী দেশ |
ব্যারেট এম-৮২ [০.৫০ বিএমজি & ০.৪১৬ ব্যারেট] | যুক্তরাষ্ট্র |
আরপিএ রেঞ্জমাস্টার [৭.৬২×৫১মিমি ন্যাটো] | যুক্তরাজ্য |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কারবাইনের তালিকাঃ
কারবাইনের বিবরণ | তৈরিকারী দেশ |
এম৪এ৪ | যুক্তরাষ্ট্র |
টাইপ ৫৬ কারবাইন [এটি এসকেএস এর চীনা সংস্করণ] | গণচীন |
জাসটাভা এম ৫৯/৬৬ | সার্বিয়া |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভারি মেশিনগানের তালিকাঃ
ভারি মেশিনগানের বিবরণ | তৈরিকারী দেশ |
ডিএসএইচকে | রাশিয়া |
টাইপ-৫৪ | গণচীন |
এনএসভি | রাশিয়া |
ডব্লিউ-৮৫ | গণচীন |
এম-২ ব্রাউনিং | যুক্তরাষ্ট্র |
এসটিকে-৫০ এমজি | সিঙ্গাপুর |
কেপিভিটি | রাশিয়া |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শটগানের তালিকাঃ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শটগানের বিবরণ | তৈরিকারী দেশ |
রেমিংটন মডেল-৮৭০ [১২ গজ, ২০গজ এবং .৪১০ বোর] | যুক্তরাষ্ট্র |
মোসবার্গ-৫০০ [১২ গজ, ২০ গজ এবং .৪১০ বোর] | যুক্তরাষ্ট্র |
ফ্রাঞ্চি এসপিএএস-১২ [১২ গজ, কেবল ২-৪ইঞ্চি শেল] এই শটগানটি শুধুমাত্র স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যগণ ব্যাবহার করে থাকেন। | ইতালি |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবমেশিনগানের তালিকাঃ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবমেশিনগানের বিবরণ | তৈরিকারী দেশ |
ক্রিস ভেক্টর | যুক্তরাষ্ট্র |
সিগ এমপিএক্স | যুক্তরাষ্ট্র |
হেকলার এন্ড কক এমপি৫ | জার্মানি |
এসটি কাইনেটিকস সিপিডব্লিউ | সিঙ্গাপুর |
কোল্ট ৯মিমি এসএমজি | যুক্তরাষ্ট্র |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেশিনগানের তালিকাঃ
সেনাবাহিনীর মেশিনগানের বিবরণ | তৈরিকারী দেশ |
বিডি-১৫ | বাংলাদেশ |
টাইপ-৮০ | গণচীন |
এফএন এমএজি | বেলজিয়াম |
এম২৪০বি | যুক্তরাষ্ট্র |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গ্রেনেড লঞ্চার এর তালিকাঃ
সেনাবাহিনীর গ্রেনেড লঞ্চার এর বিবরণ | তৈরিকারী দেশ |
মার্ক-১৯ | যুক্তরাষ্ট্র |
এম-২০৩ | যুক্তরাষ্ট্র |
এসটিকে ৪০ এজিএল | সিঙ্গাপুর |
মিলকর এমজিএল | দক্ষিণ আফ্রিকা |
টাইপ-৮৭ | গণচীন |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এর তালিকাঃ
সেনাবাহিনীর ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এর বিবরণ | তৈরিকারী দেশ |
রেড এ্যারো-৮ | গণচীন |
মেটিস এম-১ [১২০০টি] | রাশিয়া |
বাক্তর-শিকান (পাকিস্তানি রেড এ্যারো-৮) [২৮৬টি] | পাকিস্তান |
পিএফ-৯৮ | গণচীন |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্যাংকের তালিকাঃ
বিবরণ | তৈরিকারী দেশ |
মেইন ব্যাটেল ট্যাংক [এমবিটি-২০০০ মডেলের ৪৪টি] | গণচীন |
মিডিয়াম ট্যাংক [টাইপ-৫৯জি দুর্জয় মডেলের ১৭৪টি] | বাংলাদেশ + গণচীন |
মিডিয়াম ট্যাংক [টাইপ-৬৯II জি মডেলের ৫৮টি] | বাংলাদেশ + গণচীন |
লাইট ট্যাংক [ভিটি-৫ মডেলের ৪৪টি] | গণচীন |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এলএমজির তালিকাঃ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এলএমজির বিবরণ | তৈরিকারী দেশ |
আরপিডি | রাশিয়া |
এম২৪৯ এসএডাব্লিউ | যুক্তরাষ্ট্র |
টাইপ-৫৬ [রাশিয়ার তৈরি আরপিডি মেশিনগানের চীনা সংস্করণ এটি | গণচীন |
বিডি-১৪ | বাংলাদেশ |
তবে হ্যাঁ, এগুলো ছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো বেশ কিছু সরঞ্জাম রয়েছে। আর আপনি যদি সে সকল সরঞ্জাম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে বলব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অথবা গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সরঞ্জাম সমূহ এমন কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করার জন্য। এবার আসুন আলোচনার এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের কত নাম্বার সেনা কল্যাণ সংস্থা হিসেবে অবস্থান করছে সে সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য।
সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন মূলত শুরু হয় ৮ হাজার ৮০০ থেকে এবং এটা সর্বোচ্চ গিয়ে পৌঁছায় ৯০ হাজার পর্যন্ত। আপনি যদি সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে নিচের অংশটুকু পড়ুন।
আর হ্যাঁ আমরা মূলত এ পর্যায়ে বেতন হিসেবে যে টাকার পরিমান উল্লেখ করছি সেই টাকার সঙ্গে অর্থাৎ মূল বেতনের সঙ্গে অন্যান্য ভাতা সমূহ যুক্ত হবে। তবে সেটা সুযোগ সুবিধার ওপর ভিত্তি করে। আর এটা নিশ্চয়ই জানেন বাড়িভাড়া ভাতা, শিক্ষা ভাতা, টিফিন ভাতা চিকিৎসা ভাতা ইত্যাদি সকল মিলিয়ে সর্বসা করলে মূল বেতনের থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে থাকে টাকার পরিমান।
অতএব আমরা এ পর্যায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল পদের জন্য যে টাকার অ্যামাউন্ট উল্লেখ করছি সেগুলো দ্বিগুণ হবে যখন বিভিন্ন ভাতার টাকা সংযুক্ত করে হিসাব করা হবে। তাহলে আসুন জেনে নেই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা কর্মচারীরা সাধারণত কত টাকা বেতন পেয়ে থাকে মাসিক হিসেবে।
- তিন বাহিনীর প্রধান, জেনারেল/ অ্যাডমিরাল/ এয়ার চিফ মার্শাল পদের বেতন ৮৬ হাজার টাকা।
- লে. জেনারেল/ এয়ার মার্শাল/ ভাইস অ্যাডমিরাল/ পদের বেতন ৮২ হাজার টাকা।
- মেজর জেনারেল/রিয়ার অ্যাডমিরাল/এয়ার ভাইস মার্শাল পদের বেতন ৭৮ হাজার টাকা ।
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল/ এয়ার কমডোর/ কমডোর পদের ক্ষেত্রে ৬৩ হাজার ৫৭০ টাকা।
- কর্নেল/ক্যাপ্টেন (নৌ)/গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদের বেতন ৬১ হাজার টাকা।
- লে. কর্নেল/কমান্ডার/উইং কমান্ডারের বেতন ৫০ হাজার টাকা।
- মেজর/লে. কমান্ডার/স্কোয়াড্রন পদের বেতন হচ্ছে ৪৩ হাজার টাকা।
- অনারারি ক্যাপ্টেন/ অনারারি লে. (নৌ) পদের বেতন ৪২ হাজার ৮৯০ টাকা।
- অনারারি সাব লে. / অনারারি (সেনা) বেতন ৩৮ হাজার ৪৮০ টাকা।
- ক্যাপ্টেন/ ফ্লাইট লে./ লেফটেন্যান্ট (নৌ) পদের বেতন ২৯ হাজার টাকা।
- ফ্লাইং অফিসার/ লেফটেন্যান্ট (সেনা)/ সাব লে. এর বেতন ২৫ হাজার।
- সেকেন্ড লে./ অ্যাক্টিং সাব লে. এবং পাইলট অফিসার পদের বেতন ২৩ হাজার ১০০ টাকা।
- মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার এবং মাস্টার চিফ পেটি অফিসার পদের বেতন ২২ হাজার ৫০০ টাকা।
- চিফ আর্টিফিসার পদের বেতন ২২ হাজার ৪০০ টাকা।
- সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার/ সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার পদের বেতন ২২ হাজার ২৫০ টাকা।
- ওয়ারেন্ট অফিসার এবং চিফ পেটি অফিসার পদের বেতন ২২ হাজার টাকা।
- সার্জেন্ট ও পেটি অফিসার – ১৬ হাজার টাকা।
- সুবেদার মেজর – ১৫ হাজার ৭০০ টাকা।
- সুবেদারের – ১৪ হাজার ১২০ টাকা।
- নায়েক সুবেদারের – ১২ হাজার ৫০০ টাকা।
- হাবিলদার/ কর্পোরাল/ এলএস – ১২ হাজার ৫০০ টাকা।
- নায়েক/ এবি/ এলএসি – ১০ হাজার ২০০ টাকা।
- ল্যান্স নায়েক/ এসি-১ রিক্রুট/ ওডি – ৯ হাজার টাকা।
- সিপাহি এবং রিক্রুট (এমওজিটি) পদের বেতন হবে ৮ হাজার ৮০০ টাকা।
সেনাবাহিনীর কোর কি? সেনাবাহিনীর কোন কোরের কি কাজ?
সেনাবাহিনীর কোর কি? সেনাবাহিনীর কোর কারা? আর এদের কাজই বাকি? খুবই কমন একটি প্রশ্ন বলা যায় এটিকে। মূলত যারা সেনাবাহিনীর যান চলাচল ও রসদ সরবরাহের কাজ করে থাকে তারাই হচ্ছে সেনাবাহিনীর কোর অর্থাৎ আর্মি সার্ভিসেস কোর বা এএসসি।
আর এতে নিয়োজিত কর্মীরা মূলত সেনা সদস্য অথবা তাদের পরিবারের চিকিৎসা সেবার নিশ্চিতকরণের কাজগুলো করে থাকে। অন্যদিকে যারা অডিয়েন্স কোরের অন্তর্ভুক্ত তারা যুদ্ধ এবং শান্তিকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সাব সরঞ্জাম অথবা নিত্য ব্যবহার যে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সরবরাহ করে থাকে।
আর ঠিক এরকমই একেক পদের কোর কর্মীদের কাজ একেকরকম। আপনি যদি কোর পদবী সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন তাহলে আন্দাজ করতে পারবেন যে এতে নিয়োজিত কর্মীদের মূলত কি কি কাজ করতে হয়। তাই আমরা বলবো আপনি পুনরায় আমাদের আর্টিকেলটি আবারো করুন। কেননা এ সম্পর্কে ইতোমধ্যে কিছু বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়েছে আমাদের আলোচনা পর্বে।
আর হ্যাঁ, অনেকেই জানতে ইচ্ছুক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের কত নাম্বার সেনা কল্যাণ সংস্থা। চলতি বছরের হিসেব মতে বাংলাদেশ সামরিক শক্তির দিক থেকে ৪০ তম অবস্থানে রয়েছে। সেই সাথে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অবস্থান করছে চতুর্থ স্থানে। তাহলে বুঝতেই পারছেন সেনাবাহিনী বিশ্বের কত নম্বর সেনার অন্তর্ভুক্ত।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা পর্ব। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্পর্কে সমস্ত বৃত্তান্ত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে আপনি যদি জানতে চান সেনাবাহিনী চাকরি পাওয়ার উপায়, সেনাবাহিনীর চাকরি পরীক্ষায় ভালো করার উপায় এবং কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না এ সম্পর্কে আরো খুঁটিনাটি। তাহলে বলবো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই সম্পর্কিত আরো একটি ভিন্ন আর্টিকেল পড়ে ফেলুন।
কেননা আপনাদের সুবিধার্থে আমরা সেনাবাহিনী চাকরি হওয়ার অন্যতম উপায় সম্পর্কিত একটি আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছি। যেখান থেকে আপনি সেনাবাহিনীর চাকরি না হওয়ার কারণগুলো জানতে পারবেন এবং চাকরি পরীক্ষায় ভালো হওয়ার টিপসগুলো আয়ত্ত করতে পারবেন। তো, আজ এ পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।