তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ চাকরি পাওয়ার উপায়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চাকরি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী প্রার্থীদের জানাই আমাদের আজকের আলোচনা পর্বে স্বাগতম। কেননা আজ আমরা আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে– তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চাকরি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আসুন দেরি না করে খুব সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেই– তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চাকরি পাওয়ার উপায় সমূহ সম্পর্কে এ টু জেড।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ চাকরি পাওয়ার উপায়

আজকাল সরকারি চাকরি পাওয়া মানে যেন সোনার হরিণের সন্ধান মিলে যাওয়া। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু সকলের। তবে হ্যাঁ, বেতন আহামরি কিছুই নয়। তবুও আমাদের সমাজে একশ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা সরকারি চাকরির প্রতি অত্যন্ত আকৃষ্ট। আপনি যদি গত কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষার পরীক্ষার্থীর সংখ্যার উপর নজর রাখেন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন, আবেদনকারির সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কেমন হারে বেড়ে চলেছে!

মূলত এ বিষয়ে জনগণের কাছে জানতে চাইলে সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহের অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে আসে, চাকরি নিরাপত্তা বেতন এবং পারিবারিক চাপের কথা। যাদের কেউ আসছে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে, আবার কেউ আসছে স্বচ্ছ পরিবার থেকে। সত্যি বলতে আজ থেকে চার-পাঁচ বছর আগে শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ ছিল এটা ঠিক তবে বর্তমানে এই আগ্রহের পরিসংখ্যানটা আরো বাড়তি হয়ে গিয়েছে। যেটা একেবারেই ধোয়াছোড়ার বাইরে।

আরও পড়ুনঃ সরকারি চাকরির নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সবার আগে পাওয়ার সকল উপায়

আর তাইতো সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কিছুদিন পরপর এত বড় বড় সার্কুলার প্রকাশ করার পরবর্তীতে ও চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা নেহাত কম হচ্ছে না। বরং সেটা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে সময়ের সাথে সাথে। আর এতটা আগ্রহের কারণে মূলত সরকারি চাকরি পাওয়া এখন বড় কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্যই স্বাভাবিকভাবেই চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন করে থাকেন আজকাল সরকারি চাকরি কিভাবে কোন ওয়েতে পাওয়া সম্ভব!

আবার যারা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চাকরি করতে চান তারা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চাকরি পাওয়ার উপায় কি? আসুন এ পর্যায়ে সে সকল উপায় বা কৌশল সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক। যথা:-

  • তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চাকরি পাওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে নিজেকে যোগ্য ক্যান্ডিডেট হিসেবে গড়ে তোলা।
  • স্কিল ডেভেলপ করা
  • নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে চাকরির পথ নির্বাচন করা
  • চাকরির লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রিপারেশন ভালোভাবে নেওয়া
  • মৌখিক অর্থাৎ ভাইভা পরীক্ষা -র জন্য ভালো পূর্ব প্রস্তুতি 
  • ইংরেজিতে দক্ষ এবং স্মার্টনেস
  • পদের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে জ্ঞান অর্জন এবং
  • সঠিক সময়ে সঠিক ওয়েটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চাকরি বিজ্ঞপ্তির উপলক্ষে নির্ধারিত পদে আবেদন করা। 

এবার আসুন জেনে নেই, আপনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে মূলত কি কি চাকরি করতে পারবেন? মানে আপনার জন্য কোন কোন পদে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়-এ। 

আরও পড়ুনঃ নতুন চাকরি খোঁজার টিপস ও বাছাইকৃত সর্বোত্তম উপায়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ চাকরির শূন্য পদ সমূহ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সাধারণত নিম্ন বর্ণিত শূন্য পদ সমূহে জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। যথা:-

  • ইনফরমেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • ফটোগ্রাফার
  • ষ্টোর অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • সাট মোজাকরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
  • ড্রাইভার
  • ক্যাটালগার
  • কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
  • অফিস সহায়ক
  • সহকারি অফিসার সহ প্রভৃতি।

মূলত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মাঝে মাঝেই প্রয়োজন অনুযায়ী জনবল নিয়োগের নিমিত্তে সার্কুলার প্রকাশিত হয় উক্ত প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। যেখানে একেক সময় একেক শুন্য পদের কথা উল্লেখ থাকে। তবে সচরাচর অধিক বেশি জনবল নিয়োগ দেওয়া হয় আমাদের উল্লেখিত এই শূন্য পদ সমূহে। তাই আগ্রহী প্রার্থীরা নজর রাখুন নতুন প্রকাশিত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নোটিশে। এবার আসুন জেনে নেই– উক্ত প্রতিষ্ঠানের চাকরি পাওয়ার জন্য মূলত কিভাবে আবেদন করতে হবে এবং কি কি প্রয়োজনীয় শর্তাবলী রয়েছে!

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ আবেদনের শর্তাবলী

যেকোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী অবশ্যই মেনে চলার প্রয়োজন পড়ে। কেননা প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান কিছু না কিছু নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ। তাই আপনি যদি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে চান এবং চাকরি করার উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে থেকে থাকে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আবেদনের কিছু শর্তাবলী মেনে চলতে হবে। এ পর্যায়ে মূলত আমরা সর্বশেষ প্রকাশিত সারকুলারে যে সকল প্রয়োজনীয় শর্তাবলী উল্লেখ করা ছিল তা সম্পর্কে আপনাদের অবগত করব। 

আরও পড়ুনঃ রিজাইন লেটার লেখার নিয়ম (নমুনাসহ)

আবেদনপত্র পূরণ সংক্রান্ত শর্তাবলী:

✓ পরীক্ষার অংশগ্রহণের ইচ্ছুক প্রার্থীগণ http://pid.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করবেন। আবেদনের সম সময়সীমা নিম্নরূপ:

(১) Online-এ আবেদনপত্র পূরণ ও পরীক্ষার ফ্রি জমাদানের শুরুর তারিখ ও সময় ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩; সকাল ১০.০০টা। 

(২) Online-এ আবেদনপত্র  শেষ তারিখ ও সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : বিকাল ৫.০০টা।

মূলত উক্ত সময়সীমার মধ্যে User ID প্রার্থী Online- এ আবেদনপত্র Submit-এর সময় থেকে পরবর্তী ৭২ (বাহাত্তর) ঘন্টার মধ্যে এসএমএস এ পরীক্ষার ফি জমা দিবেন।

✓ Online আবেদনপত্রে প্রার্থী তার রঙিন ছবি (দৈর্ঘ্য ৩০০ × গ্রন্থ ৩০০) pixel ও স্বাক্ষর (দৈর্ঘ্য ৩০০ × গ্রন্থ ৮০) Pixel স্ক্যান করে নির্ধারিত স্থানে Upload করবেন। ছবির সাইজ সর্বোচ্চ 100KB ও স্বাক্ষরের সাইজ সর্বোচ্চ 6OKB হতে হবে।

✓ Online আবেদনপত্রে পূরণকৃত তথ্যই যেহেতু পরবর্তী সকল কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে। সেহেতু Online-এ আবেদনপত্র Submit করার পূর্বেই পুরণকৃত সকল তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে প্রার্থী নিজে শতভাগ নিশ্চিত হবেন।

✓ আবেদন করতে ইচ্ছুক প্রাণী Online-এ পূরণকৃত আবেদনপত্রের একটি প্রিন্টকপি পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে সহায়ক হিসেবে সংরক্ষণ করবেন এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় এককপি জমা দিবেন।

✓ SMS প্রেরণের নিয়মাবলি ও পরীক্ষার ফি প্রদান: 

Online-এ আবেদনপত্র (Application Form) যথাযথভাবে পূরণ করে নির্দেশনা মতে ছবি এবং Signature Upload করে আবেদনপত্র Submit করা সম্পন্ন প্রার্থী একটি User ID, ছবি এবং স্বাক্ষরযুক্ত একটি Applicant’s Copy পাবেন। উক্ত Applicant’s Copy প্রার্থী প্রিন্ট অথবা Download করে সংরক্ষণ করবেন। Applicant’s কপিতে একটি User ID নম্বর দেয়া থাকবে এবং User ID নম্ব ব্যবহার করে প্রার্থী নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে যে কোন Teletalk pre-paid mobile নম্বরের মাধ্যমে SMS করে 

১-২ নং ক্রমিকের জন্য পরীক্ষার নিবাবদ ৩০০/- (তিনশত) টাকা ও Teletalk এর সার্ভিস চার্জ ৩৬/- টাকা মোট ৩৩৬/- (তিনশত ছয়ত্রিশ) টাকা এবং ৩-৭ নং ক্রমিকের জন্য পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০/- (দুই শত) টাকা ও Teletalk এর সার্ভিস চার্জ ২৩/- টাকা মোট ২২৩/- (দুই শত তেইশ) টাকা এবং ৮ নং ক্রমিকের জন্য পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০/- (একশত) টাকা ও Teletalk এর চার্জ ১২/- টাকা মোট ১১২/- (একশত বার) টাকা বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে জমা দিবেন। 

আরও পড়ুনঃ মেয়েদের জন্য চাকরি | মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো?

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, “Online-এ আবেদনপত্রের সকল অংশ পূরণ করে Submit করা হলেও পরীক্ষার ফি জমা না দেয়া পর্যন্ত Online-এ আবেদনপত্র কোন অবস্থাতেই গৃহীত হবে না। এবার আসুন জেনে নেই কিভাবে আপনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের শূন্য পদ সমূহের আবেদনের ফ্রি জামা করবেন!

১. SMS PID <space> User ID লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে। 

Example: PID ABCDEF Reply: Addressg applicant’s Name, Tk. 336

will be charged as application fee. Your PIN is xxxxxxx. To pay fee Type PID <space> Yes <space> PIN and Send to 16222.

২. SMS: PID <space> YES <space> PIN লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

Example: PID YES XXXXXXXX Reply: Congratulations applicant’s Name, payment completed successfully for PID application for the post of XXXXXXXXX. User ID: (XXXXXXXXX) and Password (XXXXXXXX).

আর হ্যাঁ, আবেদন কার্য সঠিকভাবে সমাপ্ত হওয়ার পরবর্তীতে আপনি প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এ পর্যায়ে প্রবেশপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিয়ে আমরা সংক্ষেপে আলোচনা করব। 

আপনি যদি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেন এবং প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনাকে তেমন কিছুই করতে হবে না। কেননা কেননা http://pid.teletalk.com.bd অথবা তথ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইট www.pid.gov.bd এ এবং প্রার্থীর মোবাইল ফোনে SMS এর মাধ্যমে (শুধু যোগ্য প্রার্থীদেরকে) যথাসময়ে জানানো হবে। 

Online আবেদনপত্রে প্রার্থীর প্রদত্ত মোবাইল ফোনে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় যোগাযোগ সম্পন্ন করা হবে বিধায় উক্ত নম্বরটি সার্বক্ষণিক সচল রাখা, SMS পড়া এবং প্রাপ্ত নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে অনুসরণ করা বাঞ্ছনীয়।

SMS এ প্রেরিত User ID এবং Password ব্যবহার করে পরবর্তীতে রোল নম্বর, পদের নাম, ছবি, পরীক্ষার তারিখ, সময় ও ভেন্যুর নাম ইত্যাদি তথ্য সংবলিত প্রবেশপত্র প্রার্থী Download পূর্বক Print (সম্ভব হলে রঙিন) করে নিবেন। প্রার্থী এই প্রবেশপত্রটি লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় এবং উত্তীর্ণ হলে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময় অবশ্যই প্রদর্শন করবেন। কেননা চাকরির ক্ষেত্রে আবেদনে গ্রহণযোগ্য হলে পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা এবং লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী নিযুক্ত করা হয়। 

আর হ্যাঁ, মনে রাখবেন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী– “শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন থেকে প্রার্থীগণ নিম্নবর্ণিত SMS পদ্ধতি অনুসরণ করে নিজ নিজ User ID, Serial এবং PIN পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। এজন্য নিজের প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে পারেন। 

1. User ID জানা থাকলে PID <space> Help <space> User ID & Send to 16222. 

Example: PID HELP USER ABCD.

PIN Number জানা থাকলে: PID <space> Help <space> PIN No & Send to 16222. 

Example: PID HELP PIN 123456 & send to 16222.

এবার আসুন আলোচনার এ পর্যায়ে জেনে নেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনের সময় সাধারণত আবেদনপত্রের সাথে কি কি কাগজপত্র সংযুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

এক একটি পদের জন্য এক এক রকম কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে। তবে সাধারণত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আবেদনপত্রের সঙ্গে যে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করা হয় সেগুলো হলো:-

  • ক) আবেদনকারীর সদ্যতোলা ০৩ কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি
  • খ) সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সনদের সত্যায়িত অনুলিপি
  • গ) ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক রদ নাগরিক সনদপত্র
  • ঘ) জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত অনুলিপি
  • ঙ) কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে সত্যায়নকারী কর্মকর্তার (১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্করতা) নামযুক্ত সীল থাকতে হবে
  • চ) হেভী ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সত্যায়িত অনুলিপি
  • ছ) প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্র।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ চাকরি পাওয়ার সহজ কিছু টিপস

মূলত ইতিমধ্যে আমরা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া এবং এ প্রতিষ্ঠানে কি কি শূন্য পথ থেকে থাকে এবং শূন্য পদে আবেদনের শর্তাবলী হিসেবে কি কি দেওয়া থাকে তা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। মূলত আলোচনার শেষ পর্যায়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চাকরি পাওয়ার উপায় হিসেবে কিছু টিপস শেয়ার করব। আশা করছি এই টিপসগুলো আপনাদের অনেকটাই কাজে আসবে। যথা:

  • নিজেকে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষর কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা, যাতে করে কর্তৃপক্ষ এটা বুঝতে সক্ষম হয় যে আপনি তাদের ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।
  • আবেদনের সময় সকল প্রকার নিয়ম-কানুন মেনে আবেদন করা এবং আবেদনের সময় অবশ্যই অবশ্যই সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় কাভার লেটার লেখা।
  • চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার জন্য ইংরেজিতে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া পাশাপাশি ইংরেজি স্পিকিংয়ে দক্ষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা
  • অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা দক্ষতার উপর ভিত্তি করে উল্লেখিত পদ সমূহের মধ্যে যেকোনো একটিতে আবেদন করা, যেটা আপনার জন্য একেবারে উপযুক্ত বলে আপনি মনে করেন। 

পাশাপাশি- নিজেকে একজন স্মার্ট ক্যান্ডিডেট হিসেবে উপস্থাপন করার ক্যাপাবিলিটি থাকা। আশা করা যায় এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনি খুব সহজেই যে কোন প্রতিষ্ঠানে একজন এমপ্লয়ি হিসেবে চাকরি করতে পারবেন। 

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, মূলত আজকের আলোচনা পর্ব এ পর্যন্তই। আশা করি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চাকরি পাওয়ার উপায় সম্পর্কিত আমাদের আলোচনাটি আপনাদের এতটুকু হলেও কাজে আসবে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিয়মিত চাকরি রিলেটেড যে কোন প্রশ্নের সমাধান পেতে ভিজিট করবেন আমাদের চাকরি নিউজ ডটকম ওয়েবসাইট।

আপনাদের জন্য আরো থাকছে:

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *