সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ এর জন্য প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ এর জন্য প্রস্তুতি নেবো কিভাবে? সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদ সমূহ পূরণের উদ্দেশ্যে, যে নিয়োগ পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয় সেগুলোতে টিকে যাবার উপায় কি? এছাড়াও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নোটিশ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ পরীক্ষা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান সম্পর্কে জানতে অনেকেই আগ্রহী। মূলত যে বা যারা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চাকরি করতে ইচ্ছুক তারা সাধারণত এই প্রশ্নগুলো করে থাকেন।

আর তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৩ এবং পরীক্ষাতে অংশগ্রহণের জন্য কিছু কার্যকরী টিপস আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে উপস্থাপন করব। তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের আলোচনা পর্বে। তাহলে আসুন জেনে নেই- আপনি কিভাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর নিয়োগ পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন সে সম্পর্কে এ টু জেড।

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ এর প্রস্তুতি

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় মূলত জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে মাঝে মাঝেই বিশাল বড় বড় চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের হরহামেশাই নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে সরকারি চাকরির কদর কেমন, সেটা তো কারোই অজানা নয়। আর তাই আমাদের মাঝে অনেকে রয়েছেন, যারা সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চাকরি করতে বিশেষভাবে আগ্রহী।

মূলত আগ্রহ থেকেই জানার ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকেন অডিয়েন্সরা। জানতে চান, কিভাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে সে সম্পর্কে! আর তাই এ পর্যায়ে আমরা উল্লেখ করব–— সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ এর জন্য প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে সে সম্পর্কে কিছু কমন বিষয়বস্তু। যেগুলো চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার কাজে আসবে এবং আপনি বাস্তবিক অর্থে সত্যি সত্যি উপকৃত হবেন।

দেখুন একটা বিষয় যদি লক্ষ্য করেন তাহলে নিশ্চয়ই এটা বুঝতে সক্ষম হবেন যে– চাকরির পরীক্ষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার মধ্যে মূলত বিরাট তবৎ রয়েছে। মূলত এই কথাটি বলার কারণ, আমাদের মাঝে অনেকেরই ধারণা প্রাতিষ্ঠানিক জীবনে আমরা যে সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি এবং যেভাবে পরীক্ষাগুলো দিয়েছি চাকরির পরীক্ষা মূলত ঠিক সেরকমই। তবে যারা এটা চিন্তা করেন এবং এরকমটা ভেবে থাকেন তাদের এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল। আর এটা আপনি বুঝতে পারবেন যদি চাকরির পরীক্ষা একটাও ইতোমধ্যে সম্পন্ন করে থাকেন।

তাই যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক জীবনের পরীক্ষাগুলো থেকে চাকরির পরীক্ষার ভিন্নতা রয়েছে তাই অবশ্যই পড়ার ক্ষেত্রেও ভিন্নতা নিয়ে আসতে হবে। আর এজন্য আপনাকে কর্মঠ হতে হবে এবং সম্পন্ন করতে হবে কয়েকটি বাছাইকৃত কাজ। আরেকটু সহজ ভাবে বললে বলা যায়– চাকরি পরীক্ষায় ভালো করতে হলে করণীয় কিছু কাজ করতে হবে আপনাকে। সেগুলো হলো:-

  • ✓ পড়ার জন্য না পড়ে জানার জন্য পড়া।
  • ✓ সবসময় মাথা ঠাণ্ডা রাখা 
  • ✓ গুলিয়ে ফেলার অভ্যাস পরিত্যাগ করা 
  • ✓ অতিরিক্ত চাপ বা স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করা 
  • ✓ ধৈর্যশীল হওয়ার সক্ষমতা
  • ✓ পরীক্ষা কে ভয় বা আতঙ্কের মনে না করে উপভোগ করার চেষ্টা করা 
  • ✓ সর্বদা সজাগ থাকা 
  • ✓ নেতিবাচক সকল প্রকার চিন্তা বাদ দিয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনায় মনোনিবেশ করা 
  • ✓ বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অর্থাৎ ধারণা লাভের জন্য যেকোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
  • ✓ কোন জটিল বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানার জন্য অনলাইনে এনালাইসিস করা 
  • ✓ প্রতিদিন মক টেস্ট করা এবং প্রতি সপ্তাহে পড়া রিভিশন দেওয়ার অভ্যাস তৈরি করা
  • ✓ একদিন নয় বরং প্রত্যেকদিন একটু একটু করে পড়ার প্র্যাকটিস করা 
  • ✓ আমি পরীক্ষায় খারাপ করব, ফেল করতে পারি😥, এমন ধরনের চিন্তায় বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা
  • ✓ সব সময় খোশ মেজাজে থাকা অর্থাৎ মন ফুরফুরে রাখা
  • ✓ যেকোন বিষয়কে তামাশা হিসেবে না নিয়ে সিরিয়াসলি নেওয়ার চেষ্টা এবং 
  • ✓  নিজের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।

এক কথায়, চাকরির পরীক্ষায় সিলেক্ট হওয়ার জন্য নিজের একটি সঠিক রুটিন তৈরি করে নেওয়া, নিজের এনার্জি টাইম নির্বাচন করা এবং সব সময় কনসেপ্ট ক্লিয়ার রাখার চেষ্টা করা উচিত। ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায় সম্পর্কিত একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়েছে। তাই আপনি চাইলে এখনি ভিজিট করতে পারেন আমাদের দেওয়া (ক্লিক করুন) এই লিংকে। আশা করি, যেকোন চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার জন্য আমাদের উল্লেখিত টিপস এবং আলোচনা আপনাদের অনেকটাই বোধগম্য হবে এবং ব্যক্তিগতভাবে আপনারা উপকৃত হবেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত এই প্রতিষ্ঠানও লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত চাকরিপ্রার্থী সিলেক্ট করে থাকে। তাই সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরবর্তীতে সঠিক প্রক্রিয়ায় আবেদন কার্য সম্পন্ন করার পর বাছাইকৃত প্রার্থীদেরকে পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়।

প্রথমত লিখিত পরীক্ষা সংঘটিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরবর্তীতে ওই পার্থীকে ডাকা হয় ভাইভা পরীক্ষার জন্য। আর তাই সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানার আগ্রহটা ওই সকল মানুষদের মনে অধিক বেশি যারা এই প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত হতে ইচ্ছুক এবং ইতোমধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকার্য সম্পন্ন করেছেন।

আপনি যদি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ পরীক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে ইতোমধ্যে নিশ্চয়ই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে থাকবেন যেগুলো ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। কেননা ধারণা নেওয়ার জন্য পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নগুলো বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তো আপনি যদি সেই প্রশ্নপত্র গুলো দেখে থাকেন তাহলে এটা বুঝতে পারবেন যে সহজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় চাকরি পরীক্ষাতেও মূলত বাংলা গণিত ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞানের উপর কোশ্চেন করা হয়।

আর তাই স্বাভাবিকভাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উল্লেখিত শূন্য পদ সমূহে আবেদনের পর লিখিত পরীক্ষায় টিকে যাওয়ার জন্য আপনাকে চাকরির পরীক্ষায় গণিতে ভালো করার টেকনিক জানতে, চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার টেকনিক জানতে হবে এবং পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কেও রাখতে হবে ধারণা। যাতে করে আপনি আশানুরূপ মার্ক তুলতে পারেন এবং পরবর্তী স্টেপে অর্থাৎ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লিখিত পরীক্ষায় সিলেক্টেড হওয়ার পরবর্তীতে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে নিতে পারেন। এজন্য আমরা সাজেস্ট করব আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশকৃত এই দুইটি আর্টিকেল। যথা:

আরও পড়ুনঃ দ্রুত চাকরি পাওয়ার উপায় (পরিক্ষিত টিপস)

আশা করা যায় আমাদের সাজেস্ট করা এই আর্টিকেলগুলো পড়লে আপনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চাকরি পরীক্ষার জন্য নিজেকে ভালোভাবে প্রিপেয়ার্ড করতে পারবেন। এবার আসুন আলোচনার এই পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার মানবন্টন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লিখিত পরীক্ষার মানবন্টন

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা হয় তার মানবন্টন সম্পর্কে জানাটা জরুরী চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। মূলত সর্বমোট সত্তর মার্কের পরীক্ষা হয়ে থাকে এক্ষেত্রে এবং প্রত্যেকটি প্রশ্ন নৈবিত্তিক আকারে উল্লেখ্য। সময়সীমা দেওয়া থাকে ৭০ টিক চিহ্ন প্রশ্নের জন্য মাত্র ৬০ মিনিট। প্রশ্নপত্রে নিয়োগ এর লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত:-

২০টি প্রশ্ন করা হয় বাংলা বিষয় থেকে, ২০টি প্রশ্ন করা হয় ইংরেজি বিষয়বস্তু থেকে, গণিতের উপর থেকে করা হয় ১০ টি এবং সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে ১০টি প্রশ্ন। মূল কথা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লিখিত পরীক্ষার মানবন্টন মূলত ৭০ মার্কের মধ্যে করা হয়ে থাকে।

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদ সমূহ

আলোচনার শেষ পর্যায়ে আমরা জানবো সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় মূলত কোন কোন পদে নতুন নতুন জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাহলে আসুন জেনে নেই সে সকল শূন্য পদের নাম সমূহ:-

  • ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
  • এম এল এম
  • অফিস সহায়ক
  • সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
  • অ্যাকাউন্টস অফিসার
  • ব্যবস্থাপনা পরিচালক
  • সিস্টেম এনালিস্ট
  • ক্যাশিয়ার সহ প্রভৃতি

মূলত আপনি যদি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তরের চাকরি করতে ইচ্ছুক হন তাহলে নতুন প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করতে হবে। এর জন্য চাইলে আপনি আমাদের cakrinews.com ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন, আবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন নিয়মিত।

কেননা জনবল নিয়োগের প্রয়োজন পড়লে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি নোটিশ প্রকাশ করে থাকে। তবে আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা নিয়মিত নতুন নতুন চাকরির পোস্ট আপডেট করে থাকে। তাই আপনি চাইলে ভিজিট করতে পারেন এবং চাকরির যে কোন খবরাখবর সংগ্রহ করতে পারেন আমাদের এই ওয়েবসাইটটি থেকে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে সরাসরি ক্লিক করতে পারেন http://www.dss.gov.bd/ এই লিংকে।

পরিশেষে: তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগের জন্য প্রস্তুতি সম্পর্কিত আলোচনার আজ এখানেই ইতি টানছি। পরবর্তীতে আবারো নতুন টপিকের নতুন কোন আলোচনা পর্বে আপনাদের সাথে কথা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *